ঢাকা, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০২ জুন ২০২৫, ০৫ জিলহজ ১৪৪৬

বিনোদন

এক বছর পর ‘এ ম্যান ফর অল সিজনস’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩:৫৩, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬
এক বছর পর ‘এ ম্যান ফর অল সিজনস’ দৃশ্য : ‘এ ম্যান ফর অল সিজনস’

প্রাচ্যনাটের ষষ্ঠ প্রযোজনা ‘এ ম্যান ফর অল সিজনস’ এক বছর আবার মঞ্চে আসছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে এর প্রদর্শনী হবে।

নাটকটি অনুবাদ করেছেন শাহেদ ইকবাল, নির্দেশনা দিয়েছেণ আজাদ আবুল কালাম।  

‘এ ম্যান ফর অল সিজনস’ নাটকটি ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়। পরের বছরের ২২ নভেম্বর নিউইয়র্কের আন্টা থিয়েটারে এটি মঞ্চস্থ হয়। নাটকটির ঐতিহাসিক পটভূমি ষোড়শ শতকের ইংল্যান্ড। মধ্যযুগের শেষ দিকে শুধু ইংল্যান্ড নয়, সমগ্র ইউরোপে তখন পরিবর্তনের জোয়ার সূচিত হচ্ছিলো। ফলে ধর্ম, রাজনীতি ও অর্থনীতির মধ্যকার বিরোধ অনিবার্য হয়ে ওঠে। ১৫২০ সালের দ্বিতীয় অর্ধ থেকে ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরি ও পোপের মধ্যে বিরোধের সূচনা ঘটে। যার অনিবার্য পরিণতি ‘দি ইংলিশ রিফর্মেশন’।

রাজা অষ্টম হেনরি সিংহাসনে আরোহনকালে তার ভাইয়ের বিধবা পত্মী স্পেনের রাজকন্যা ক্যাথরিনকে বিয়ে করেন। খ্রীস্টিয় রাষ্ট্রের বন্ধুত্বের কথা ভেবে আইনের সংশোধন করে এই বিয়েতে মত দেন পোপ। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দুই দেশের বন্ধৃত্ব নষ্ট হয়। ক্যাথরিন পুত্রসন্তানের জন্ম দিতে ব্যর্থ হলে অ্যান বুলেন নামের এক নারীর প্রণয়াসক্ত হন রাজা। তারপর তিনি বিয়ে অবৈধ দারি করে পোপের কাছে বিচ্ছেদের অনুমোদনের চান। পোপ তাতে অসম্মত হলে ‘এ্যাক্ট অব সুপ্রিমেসি’ বিল পাশ করে নিজেকেই ইংল্যান্ডের চার্চের প্রধান বলে অভিষিক্ত করেন রাজা। এরপর ক্যাথরিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে অ্যান বুলেনকে বিয়ে করেন।

রোমের সবাই এ বিয়ে মেনে নিলেও তৎকালীন লর্ড চ্যান্সেলর স্যার টমাস মোর এ বিয়েতে সম্মতি দেননি। তিনি প্রতিবাদও করেননি। শুধু তিনি নিজ পদ থেকে ইস্তফা দেন। এই নাটকের ঘটনাপ্রবাহ মূলত তাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত এবং সমাজ ও নিজের সঙ্গে দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে তার চিন্তাধারার সুস্পষ্টতাই নাটকটির মূল উপজীব্য।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৬
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।