বাচ্চুর শ্যালক (অভিনেতা সুজা খন্দকারের ভাই) বাজু খন্দকার বাংলানিউজকে জানান, পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার দুলাভাইয়ের লাশ ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে গুলশান আজাদ মসজিদ প্রাঙ্গনে নেওয়া হয়। জীবদ্দশায় নিজের কন্যার কাছে এখানে জানাযা পড়ানোর আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন বাচ্চু।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাচ্চুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার সহকর্মীদের মধ্যে তেমন কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তবে জানাযায় অভিনেতা ঊজ্জ্বল, সম্রাট প্রমুখ এসেছিলেন। এর আগে বাচ্চুকে শেষবারের মতো দেখতে তার ইন্দিরা রোডের বাসায় যান অনেকে। এই তালিকায় আছেন
অভিনেতা হাসান ইমাম, মামুনুর রশীদ, মাসুম আজিজ, আজিজুল হাকিম, কণ্ঠশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী, খুরশীদ আলম, উপস্থাপক হানিফ সংকেত প্রমুখ।
২৮ জুন ভোর ৪টা ২০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭৮ বছর বয়সী বাচ্চু।
নাজমুল হুদা বাচ্চু জীবদ্দশায় অভিনয় করেছেন অসংখ্য চলচ্চিত্র ও নাটকে। তার হাত ধরে অভিনয় শুরু করেছিলেন মহানায়ক বুলবুল আহমেদ, নায়ক উজ্জ্বলসহ অনেকেই।
প্রবীণ এ অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে অজ্ঞাতনামা (২০১৬), রানওয়ে (২০১০), চন্দ্রগ্রহণ (২০০৮), ডাক্তার বাড়ী (২০০৭), বিদ্রোহী পদ্মা (২০০৬), চন্দ্রকথা (২০০৩), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), শঙ্খনীল কারাগার (১৯৯২), সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯), অলংকার (১৯৭৮), দরিয়া পাড়ের দৌলতী, সারেং বৌ, বেহুলা লক্ষিন্দর প্রভৃতি। জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র বিভিন্ন নাট্যাংশে নিয়মিত দেখা গেছে তাকে।
সুঅভিনেতা বাচ্চু স্ত্রী লিনা নাজমুল ও তিন কন্যাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্মাননা পেয়েছিলেন এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন>>>
চলে গেলেন নাজমুল হুদা বাচ্চু
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৭
এসও