প্রথম থেকে ভালো চলছিল রবীন্দ্র সঙ্গীত শেখাও। কিন্তু তৃতীয় বর্ষে এসে বাধ সাধল অ্যাজমা।
কিন্তু এই অ্যাজমাই তার জীবন ঘুরিয়ে দিল।
তাহসান ভাবতে থাকলেন, যেহেতু তিনি বরীন্দ্র সঙ্গীত বা অন্য কারো গান গাইতে পারেন না, তাই যেভাবে পারেন, সেভাবেই গাইতে হবে। সেই থেকে নিজেই নিজের উপযোগী করে গান লেখা ও কম্পোজ শুরু করলেন।
এ গল্প ১৫ বছর আগের। তবে প্রথম অ্যালবাম বের হওয়ার পর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাহসানকে।
এ পর্যন্ত তার সাতটি অ্যালবাম বের হয়েছে। যার ছয়টিই শ্রোতাদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। আর সপ্তম ও সর্বশেষ অ্যালবাম ‘অভিমান আমার’ প্রকাশিত হলো বৃস্পতিবার (০৭ সেপ্টেম্বর)।
রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গ্রামীণফোন হাউজে জিপিমিউজিকের প্ল্যাটফর্মে অ্যালবামটি প্রকাশ উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’- এ অংশ নেন তাহসান খান। এতে নিজের জীবনের সফলতার গল্পগুলো তুলে ধরেন তিনি।
তাহসান বলেন, ‘অ্যাজমাই আমার জীবনে নতুন করে ভাবার সুযোগ করে দিয়েছিল। গান লিখে, কম্পোজ করে ও গান গেয়েই আমি বেঁচে থাকতে চাই। যা কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি, যা নিয়ে স্বপ্ন দেখার সাহসও হতো না, তাও পেয়েছি। এবার দেওয়ার পালা। এজন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গণে বাংলা গান, বাংলার পরিচিতির জন্য কাজ করবো। সামনে ইংরেজি গানও গাইবো’।
প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, ‘অ্যালবাম ও সিঙ্গেল গাওয়ার পার্থক্য আছে। অ্যালবামে গানের বিবর্তন থাকে আর সিঙ্গেল গাওয়া হয় জনপ্রিয়তা পেতে- যা টেকে না। তাই অ্যালবাম না হলে এ শিল্প টিকবে না’।
‘অভিনয়ে ডাক পাই আমার বিশাল সংখ্যক ভক্ত-শ্রোতা রয়েছেন বলেই। তারাই আমার অভিনয় দেখেন, টিআরপি বাড়ে। কিন্তু অভিনয়ের মানুষ আমি নই। এতে আমার দক্ষতাও নেই। আমি গানের মানুষ, গান গেয়েই বেঁচে থাকতে চাই। এক্ষেত্রে এমন কিছু গান করতে চাই- যা হয়তো প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বেঁচে থাকবে’।
‘শিল্পকে টিকে থাকতে হলে হলে পৃষ্ঠপোষক দরকার। এটি খুব জরুরি। অন্যথায় এ শিল্প টিকবে না’ বলেও মন্তব্য করেন এই গুণি শিল্পী।
মিট দ্য প্রেসে গ্রামীণফোনের হেড অব মার্কেটিং সোলাইমান আলমসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর
** গান গেয়ে সেরা হলে তাহসানের সঙ্গে কনসার্ট