ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

করোনা পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্রে রেকর্ড পরিমাণ সরকারি অনুদান

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্রে রেকর্ড পরিমাণ সরকারি অনুদান

করোনো পরিস্থিতির মধ্যে দেশিয় চলচ্চিত্র শিল্পের কল্যাণের জন্য এবার বড় উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এমনিতেই চলচ্চিত্রের বাজার মন্দা চলছিল। তারপর করোনাকালে আরও থমকে গেছে কার্যক্রম। এমন দুঃসময়ে চলচ্চিত্রের জন্য সরকারের বাজেটে রেকর্ড পরিমাণ অনুদান বরাদ্দ কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়েছে।

শনিবার (২৭ জুন) তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান সম্পর্কে ঘোষণা হয়। করোনা মহামারির মধ্যে নতুন অর্থবছরে মোট ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান দিচ্ছে সরকার।

এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য ৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বরাদ্দ হয়েছে। বাজেটের আকার কিংবা চলচ্চিত্রের সংখ্যা উভয়ের দিক থেকেই এটি সর্বোচ্চ পরিমাণের রেকর্ড।

এবার সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা অনুদান পাচ্ছেন ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী খোকা’ নামের চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার। এছাড়াও ‘কাজলরেখা’র জন্য গিয়াস উদ্দিন সেলিম, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘যোদ্ধা’র জন্য এস এ হক অলিক, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘আশীর্বাদ’ ও ‘শ্যামা কাব্য’ চলচ্চিত্রের জন্য বদরুল আনাম সৌদ অনুদান পাচ্ছেন।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংকট থেকে চলচ্চিত্র শিল্পের উত্তরণের জন্য অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অধিক সংখ্যক চলচ্চিত্রের জন্য অনুদান দিয়েছে সরকার।

যে সকল পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সরকারি অনুদান পাচ্ছে সেগুলো হলো- প্রদীপ ঘোষের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ভালোবাসা প্রীতিলতা’, মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালনা ও প্রযোজনায় ‘টুঙ্গিপাড়ার দুঃসাহসী’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’, অনুপম কুমার বড়ুয়ার প্রযোজনা ও সন্তোষ কুমার বিশ্বাসের পরিচালনায় ‘ছায়াবৃক্ষ’, রওশন আরা রোজিনার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফিরে দেখা’, এম এন ইস্পাহানীর প্রযোজনা ও ইস্পাহানী আরিফ জাহানের পরিচালনায় ‘হৃদিতা’, ফজলুল কবীর তুহিনের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘গাঙকুমারী’, তাহেরা ফেরদৌস জেনিফারের প্রযোজনা ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় ‘আশীর্বাদ’, ইফতেখার আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘লেখক’, আবদুল মমিন খানের প্রযোজনা ও মনজুরুল ইসলামের ‘বিলডাকিনী’।

এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- পংকজ পালিতের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘একটি না বলা গল্প’, অনম বিশ্বাসের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘ফুটবল ৭১’ ও এসএ হক অলিকের ‘যোদ্ধা’।

এ বাজেটে দু’টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র অনুদান পাচ্ছে- আমিনুল হাসান লিটুর প্রযোজনা ও আউয়াল রেজার পরিচালনায় ‘মেঘ রোদ্দুর খেলা’ ও নুরে আলমের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘রাসেলের জন্য অপেক্ষা’।

নির্বাচিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- প্রবীর কুমার সরকারের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘আগন্তুক’, শরীফ রেজা মাহমুদের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান’, এবিএম নাজমুল হুদার প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘প্রথম রূপকথার বই’, দেবাশীষ দাশের প্রযোজনা ও পরিচালনায় ‘মুকুলের জাদুর ঘোড়া’ (শিশুতোষ), সাজেদুল ইসলামের প্রযোজনা ও পরিচালনায় প্রামাণ্যচিত্র ‘পটুয়া’, ফাখরুল আরেফীন খানের প্রামাণ্যচিত্র ‘অবিনশ্বর’, সোহেল আহমেদ সিদ্দিকীর ‘ধূসর দিগন্ত’, মিতালি রায়ের ‘দূরে’ ও চৈতালি সমাদ্দারের ‘মরিয়ম’।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।