ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

৫৫ বছরে কিছুটা ম্লান শাহরুখ খান

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২০
৫৫ বছরে কিছুটা ম্লান শাহরুখ খান শাহরুখ খান

১৯৬৫ সালের ২ নভেম্বর বলিউডের ‘বাদশাহ’খ্যাত সুপারস্টার শাহরুখ খানের জন্ম। বড় পর্দার অন্যতম উজ্জ্বল এ তারকার দ্যুতি ৫৫ বছর বয়সে এসে যেন কিছুটা ম্লান হয়ে পড়েছে।

সোমবার (২ নভেম্বর) শাহরুখ খানের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী। স্বাভাবিকভাবেই কিং খানের জন্মদিনে অগণিত ভক্তের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন অভিনেতা। তবে প্রিয় তারকার প্রতি ভক্তদের অভিমানও আছে। প্রায় দুই বছর ধরে বড় পর্দায় অনুপস্থিত শাহরুখ খান। প্রিয় তারকাকে আবারও সিনেমায় ফিরে পেতে ভক্তদের তীব্র আকাঙ্ক্ষা দিনদিন জোরদার হচ্ছেই। ২০১৮ সালে ‘জিরো’ সিনেমাটি ফ্লপ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আর কোন নতুন সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি ‘এসআরকে’।  

আশির দশকে টিভি ধারাবাহিকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেন শাহরুখ খান। ১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে তার বলিউডে অভিষেক। শুরুতে কিছুটা এন্টিহিরো ধরণের চরিত্রে জনপ্রিয়তা পান শাহরুখ, যেমন- ‘বাজিগর’ (১৯৯৩), ‘ডর’ (১৯৯৩) ও ‘আনজাম’ (১৯৯৪)। এরপরই তিনি রোমান্টিক অভিনেতা হিসেবে দারুণ সাফল্য পান। ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ (১৯৯৫), ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ (১৯৯৭), ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’ (১৯৯৮), ‘মোহাব্বতেঁ’ (২০০০), ‘কাভি খুশি কাভি ঘম’ (২০০১) সিনেমাগুলোতে রোমান্টিক শাহরুখ উজ্জ্বল হয়ে ওঠেন।  

সমালোচকদের কাছেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছে শাহরুখের অনেক সিনেমা। ‘দেবদাস’ (২০০২), ‘স্বদেশ’ (২০০৪), ‘চাক দে ইন্ডিয়া’ (২০০৭), ‘মাই নেম ইস খান’ (২০১০) সিনেমাগুলো সর্বমহলে দারুণ প্রশংসিত হয়। তার সর্বোচ্চ আয়ের সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ (২০১৩), ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ (২০১৪), ‘দিলওয়ালে’ (২০১৫) এবং ক্রাইম থ্রিলার ‘রইস’ (২০১৭)।  

শুধু অভিনয় নয়, চলচ্চিত্র প্রযোজনাতেও সফল ‘কিং খান’। তার প্রযোজিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘ম্যায় হুঁ না’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘ডিয়ার জিন্দেগি’, ‘রইস’ ও ‘বদলা’। তবে নব্বইয়ের দশক থেকে শুরু করে চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকে শাহরুখ খানের যে তুমুল সাফল্য ছিল, গেল দশকে সেই সাফল্য তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। আর ২০১৮ সালে ‘জিরো’ সিনেমার ব্যর্থতার পর যেন অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছেন ‘বাদশাহ’। পরিবারকে সময় দেওয়ার কথা বলে বড় পর্দা থেকেই মূলত দূরে সরে আছেন তিনি। তবে তার অভিমান ভুলে আবারও সিনেমায় ফিরে আসার জন্য বারবার আওয়াজ তুলছেন এসআরকে’র অগণিত ভক্তরা।

নয়াদিল্লির এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া কিং খানের জন্মগত নাম শাহরুখ খান। তবে তিনি ‘শাহ রুখ খান’ লিখতেই পছন্দ করেন। সংক্ষেপে ‘এসআরকে’ লেখাটাও তার পছন্দ। বিয়ের আগে পাঞ্জাবি হিন্দু মেয়ে গৌরি চিবারের সঙ্গে ছয় বছর প্রেম করেছেন শাহরুখ। তারপর ১৯৯১ সালের ২৫ অক্টোবর ঐতিহ্যবাহী হিন্দু রীতিতে তারা বিয়ে করেন। তাদের এক ছেলে আরিয়ান (১৯৯৭) ও এক মেয়ে সুহানা (২০০০)। ২০১৩ সালে তারা সারোগেসি পদ্ধতিতে তৃতীয় সন্তান নেন। ছেলেটির নাম আবরাম।  

শাহরুখ খানের অনেক সিনেমাতেই দেশপ্রেম, জাতীয়তাবোধ, লিঙ্গ-বর্ণ-সামাজিক ও ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও সমন্বয়ের গুরুত্ব ফুঠে উঠেছে। ৮০টিরও বেশি সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন। ভারত সরকার শাহরুখ খানকে সম্মানজনক ‘পদ্মশ্রী’ পদবীবে ভূষিত করেছে। ফ্রান্স সরকারও তাকে বিশেষ সম্মাননা ‘লিজিয়ন অব অনার’ প্রদান করেছে। শাহরুখ খানের ঝুলিতে রয়েছে ১৪টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২০
এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।