ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

সালমান শাহ থেকে শিমু, অপমৃত্যু হয়েছে যেসব তারকার

বিনোদন ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
সালমান শাহ থেকে শিমু, অপমৃত্যু হয়েছে যেসব তারকার অপমৃত্যু হয়েছে যেসব তারকার

পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যা করেছে তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেল। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফনকার্য সম্পন্ন হয়।

এর আগে সোমবার  (১৭ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জ থেকে তার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

শিমুর অপমৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে ঢালিউডে। একজন শিল্পীর এমন অপমৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না।

তবে দেশীয় শোবিজ অঙ্গনে এমন অপমৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বেশকিছু তারকার এমন মৃত্যু ঘটেছিল।  

স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহ, ডলি আনোয়ার, মডেল তিন্নি, শিমুদের মতো দেশীয় শোবিজ তারকাদের অপমৃত্যুর কথাই তুলে ধরা হলো-

ঢাকাই সিনেমার ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ। যিনি আজও ভক্তদের কাছে এক স্বপ্নের নাম। ক্যারিয়ারের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকার সময় হঠাৎ করে ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তার। এই নায়কের হত্যাকান্ডের কোনো আইনি সুরাহা শেষ পর্যন্ত হয়নি।  

‘সূর্যদীঘল বাড়ি’তে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন অভিনেত্রী ডলি আনোয়ার। এছাড়াও বেশকিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৯১ সালের ৩ জুলাই হঠাৎ এই অভিনেত্রীর আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছিল, স্বামী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে তালাকের আঘাত সইতে পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেন তিনি।

দেশীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম সুদর্শন নায়ক সোহেল চৌধুরী ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবে রাত ২টায় আততায়ীর সামনাসামনি গুলিতে খুন হন। চারবন্ধুসহ ক্লাবে ঘুরতে গিয়েছিলেন সেখানেই তাদের উপর গুলিবর্ষণ হয়। গুলিবিদ্ধ হবার সঙ্গে সঙ্গেই সোহেল মাটিতে পড়ে যায়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এক সময়ের আলোচিত মডেল তানিয়া মাহবুব তিন্নি। ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীর চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতুর নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনেই কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিন্নিকে হত্যা করেছেন সেই সময়ের ছাত্রনেতা গোলাম ফারুক ওভি।

২০১২ সালের ২৭ মার্চ আত্মহত্যা করেন মডেল ও অভিনেতা মঈনুল হক অলি। এখানেও দাম্পত্য কলহকেই দায়ী করা হয়। জানা যায়, বিয়ের পর তার দাম্পত্য জীবন ভালো যাচ্ছিল না। এ কারণেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

নব্বই দশকের লাস্যময়ী অভিনেত্রী মিতা নূর। রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসার ড্রয়িংরুম থেকে ২০১৩ সালের ১ জুলাই তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মিতার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে আত্মহত্যার প্রমাণ পাওয়া যায়। এর পেছনেও স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার কারণ উঠে আসে।

২০১৩ সালের ২৪ মার্চ মোহাম্মদপুরের চান মিয়া হাউজিংয়ের নিজ ফ্ল্যাটে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন লাক্স তারকা সুমাইয়া আসগর রাহা। কিন্তু রাহার বাবা সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি অবহিত না করেই আজিমপুর কবরস্থানে তার লাশ দাফন করেন। এখনো এই আত্মহত্যার কোনো কারণ জানা যায়নি।

বিটিভিতে প্রচারিত ‘এইসব দিন রাত্রি’ ধারাবাহিকে শিশুশিল্পী টুনির ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নায়ার সুলতানা লোপা। ২০১৪ সালের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লোপার অপমৃত্যুর কারণ জানা যায়নি ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।