সিলেট: দশ জোড়া কানি বক। প্রতি জোড়া ২০০ টাকা।
পরে বিক্রেতার নিজহাতে বকগুলোকে অবমুক্ত করতে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জলাশয়ের তীরে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানে নিয়ে যেতে যেতে ২টি বক মারা যাওয়ায় ১৮ টি কানি বক বিক্রেতার নিজ হাতে অবমুক্ত করানো হয়।
আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও পাখি শিকার ও বিক্রির প্রবণতায় জনসচেতনতা বাড়াতে এভাবেই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও শাবি’র পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিণ এক্সপ্লোর সোসাইটি।

সেখানে গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির প্রতিনিধিদলের সহযোগিতায় পাখিগুলোকে শাবিপ্রবির মুক্ত প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। খাঁচায় বদ্ধ অবস্থায় থাকা ও ফাঁদে আটকা পড়ার প্রাথমিক আক্রমণে পাখিগুলোর অধিকাংশ অসুস্থ ছিল, এদের মধ্যে ২ টি পাখি মারা যায়। তবে মুক্ত হয়ে পাখিগুলো আবার সচল হয়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে বাপা সিলেট শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, আমরা সবাই যদি সচেতন হই তাহলে খুব সহজেই এভাবে বন্যপাখি বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব।
এ সময় তিনি পাখি বিক্রেতা সাজ্জাদ আহমাদের ছেলের চিকিৎসার যাবতীয় সহযোগিতায় বাপা পাশে থাকবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, ছেলের চিকিৎসা করানোর জন্যে তিনি এই পাখিগুলো নগরীতে নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য।
গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির সভাপতি অনিমেষ ঘোষ বলেন, পাখিগুলো যেন ক্যাম্পাসে নিরাপদ থাকে সেই ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
এ সময় বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিণ এক্সপ্লোর সোসাইটির সভাপতি অনিমেষ ঘোষসহ পরিবেশকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত দুই সপ্তাহে গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ২৬ টি বক পাখি অবমুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৩
এএএন/টিকে/এমজেডআর