ঢাকা: ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও কেবল অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই সুখ-শান্তির নিয়ামক হতে পারে না, এটা আবারও প্রমাণ করলো পৃথিবীর দরিদ্রতম দেশ ভুটান।
ক্ষুদ্রায়তনের দেশটি শান্তিতে ভরপুর।
আরো সুখের কথা হচ্ছে, জাতিসংঘও এখন শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তুলতে ভুটানের পদক্ষেপকে অনুসরণ করে এগুচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত আর্থ ইন্সটিটিউটের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুটান এগিয়ে যাচ্ছে এমন একটি লক্ষ্যের দিকে, যা অত্যন্ত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিগমে থিনলে সম্প্রতি জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে বলেছেন, ‘সাধারণ মানুষরা যেন ভালোভাবে এবং সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেটাই করা হচ্ছে। সবার মাঝে যেন প্রশান্তি থাকে আমরা সেদিকে খেয়াল রাখছি৷`
তিনি আরো জানান, ‘একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্য এমন হতে হবে যা দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনে। `
ভুটানের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ। মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ মানুষ বসবাস করে দরিদ্রসীমার নিচে ৷ ২০১০ সালের একটি জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির শতকরা ৪১ ভাগ মানুষ সুখী। জীবন-যাপন, দেশ, পরিবার নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই৷ শুধু টাকা-পয়সা এবং ধন দৌলত সুখ দিতে পারে – এমনটা বিশ্বাস করে না ভুটানের মানুষরা। বরং তাদের কাছে অপার্থিব এবং আধ্যাত্মিক সুখ অনেক বেশি গুরুত্ব পায়।
সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া, শিক্ষা, সহমর্মিতা, সহনশীলতা, সবার সঙ্গে সখ্য, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াকে ভুটানের মানুষরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১২
সূত্র: ডয়েচে ভেলে অনলাইন
এআই
সম্পাদনা : আহমেদ জুয়েল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর