পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক হলো ‘মা’। ছোট্ট এই শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম দরদ।
প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবস পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এদিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন।
১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। যুক্তরাষ্ট্রে সূচনা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশসহ প্রায় বিশ্বেই দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে।
মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। তবুও আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই বিশ্বের প্রতিটি মায়ের জন্য শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা প্রকাশের দিন আজ।
নিজের হাতের তৈরি বিশেষ কার্ড উপহার, মাকে নিয়ে ঘোরাঘুরি, কেনাকাটা বা বাইরে খাওয়া-দাওয়া করা ও বৃদ্ধ মায়ের সঙ্গে দেখা করা বা কাজের জন্য দেশের বাইরে থাকলে মাকে ফোনকল করলে দিনটি অন্যরকম হয়ে উঠবে। যদিও ৩৬৫ দিনও মাকে ভালোবাসা জানানোর জন্য পর্যাপ্ত নয়, তারপরও একটা দিন যদি শুধু মায়ের জন্য উৎসর্গ করা যায় সেটা তার কাছে দারুন এক উপহার হবে।
মা যেমন সন্তানকে পরম মমতায় আগলে রাখেন সারাজীবন, তেমনি সন্তানের কাছেও মায়ের গুরুত্ব সীমাহীন। জীবনের প্রতি পরতে পরতে মায়ের প্রতি সন্তান কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাতে পিছপা হয় না। জীবনে মায়ের অবদান বোঝাতে বিখ্যাত ব্যক্তিরা তাই বিভিন্ন সময় নানা ধরনের উক্তি দিয়েছেন। এই মা দিবসে একটাই প্রত্যাশা, পৃথিবীর প্রতিটি মায়েরা থাকুক সম্মান আর ভালোবাসায়।
এএটি