ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

মিথ্যার ছড়াছড়িতে মিথ্যুক ধরবেন কি ভাবে?

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:৩০, এপ্রিল ১১, ২০১২
মিথ্যার ছড়াছড়িতে মিথ্যুক ধরবেন কি ভাবে?

শতকরা ৭২ ভাগ মানুষ অন্যের মিথ্যাচার ধরতে পারে! বিশ্বাস হচ্ছে না! ঠিক আছে বিশ্বাস না করুন, মনে করুন আমি এমনিতেই বলেছি। অর্থাৎ কথাটি সত্য না।



আচ্ছা, আমরা কি বলতে পারি কখন বা কোন অবস্থায় আমাদের আশপাশের মানুষ মিথ্যা বলছে! আপনি হয়তো বিরক্ত হচ্ছেন বিষয়টা নিয়ে এবং ভাবছেন, পরিবারের সদস্য, বন্ধু, অফিসের সহকর্মী- সবার ব্যাপারেই আপনি জানেন এবং সেক্ষেত্রে তারা কে কখন কি বলছে তা সত্য না মিথ্যা-তা ধরাধরির কোনও ব্যাপার না। এটা সবাই পারে!

কিন্তু সাম্প্রতিক এক পর্যবেক্ষণে পাওয়া তথ্য হয়তো আপনাকে একটু চিন্তায় ফেলে দিতে পারে। ওই পর্যবেক্ষণে দেখা যায়-

☻ অধিকাংশ মানুষ দিনে অন্তত ২টি কঠিন মিথ্যা বলে
☻ কথা এককান থেকে দুই কান হওয়ার ক্ষেত্রে এর সত্যাসত্যে কিছু বিচ্যুতি ঘটে অর্থাৎ মিথ্যার অঙ্কুরোদগম ঘটে
 চাকরি বাঁচাতে শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি লোক মিথ্যার আশ্রয় নেয়

জার্মান পণ্ডিত নিৎসের সেই আলোচিত বক্তব্যটি এখানে স্মরণ করা যেতে পারে। তিনি বলেছেন, মিথ্যা হচ্ছে জীবনেরই একটি শর্ত বা অবস্থা। হয়তো বাউল সম্রাট লালন এ কারণেই বলেছেন- সত্য বল সুপথে চল ওরে আমার মন!

মিথ্যাচার বা প্রতারণা-প্রবঞ্চনা-জোচ্চুরি প্রমাণে পাশ্চাত্যের একজন আলোচিত পেশাদার নারী পামেলা মেয়ার। মিথ্যা যাচাই  করার ক্ষেত্রে নানান লাগসই কৌশল নিয়ে তার লেখা একটি বই আছে ‘লাইস্পটিং: প্রুভেন টেকনিক্স টু ডিটেক্ট ডিসিপশন’ নামে। পামেলার দাবি, প্রতিদিন আমরা ২০ থেকে ২০০টি মিথ্যা শুনে থাকি। একথা শুনে আপনারা হয়তো বলবেন, তিনি নিশ্চয়ই পলিটিশিয়ানদের সঙ্গে ওঠাবসা করেন! নাহলে এত মিথ্যা তিনি পান কই? আর পলিটিশিয়ানদের সঙ্গে কাজ না করে থাকলে তার এখনি উচিৎ পলিটিশয়ানদের মিথ্যা ধরার কাজে নেমে পড়া।

‘মিথ্যা-নির্ণয় কৌশল এমন এক জটিল-আধুনিক কলা, যা ছল-চাতুরি-ধোঁকাবাজিপূর্ণ গোলকধাঁধাঁর পাঁকচক্রের এই যুগজীবনে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে সত্যকে যাচাই করতে আপনার অবশ্যই জানা উচিৎ। আপনার প্রতিদিনকার চারপাশের দুনিয়া অনেক ভালোমানুষ সাধু-সন্ত-দরবেশ ছাড়াও ছেয়ে আছে আপনাকে প্রতারণার জালে ফাঁসাতে একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ভুয়া ডিজিটাল বন্ধু, চাকরিপ্রার্থীর ফোলানো ফাঁপানে রিজিউম (জীবনবৃত্তান্ত), পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া (সংবাদ মাধ্যম), বন্ধুর পরিচয়ে থাকা ছদ্মবেশী জোচ্চোর, মষেমেজে পরিবতর্ণ ঘটানো পাসপোর্ট-ব্যাংক-আইডি নাম্বার, বর্ণচোরা কুচক্রী, প্রেমিকের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ভয়াবহ ধর্ষকসহ হাজারো ঠগ-বাটপারে।


উৎকর্ষের চরম সীমায় পৌঁছানো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে একইসঙ্গে ঈর্ষণীয় বিকাশ ঘটেছে যোগাযোগ প্রযুক্তির। এ ‍দুয়ের কল্যাণে, বিশেষ অবস্থার সুযোগ নিয়ে মিথ্যার ঠাসবুনোটে এখন তিলকে তাল বানানো আর ‘বাঙালকে হাইকোর্ট দেখানো’ সহজ থেকে সহজতর হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তির চরম উন্নতির এই যুগকে একই সঙ্গে মিথ্যা আর প্রতারণার এক মহামারী যুগ বললেও বাড়িয়ে বলা হয়না, বোধ করি।  

ছোট ছোট মিথ্যাগুলি   
দৈনন্দিন জীবনের কিছু মিথ্যাকে বলা যায় লোকাচারের অংশে পরিণত হয়েছে। এসব মিথ্যা যেন আমাদের দৈনন্দিন স্বাদহীন আটপৌরে জীবন চলায় কিছুটা লবণ-মশলার যোগান দেয়। আমরা সবাই বুঝি কথাটা মিথ্যা, তারপরও আশা করি কেউ এটা বলুক, কারণ শুনতে ভালো লাগে, এরকম ‘কোমল-মিথ্যা’ অনেক সময়েই আনন্দদায়ক।

যেমন, মুটকু টাইপের বেঢব বপুওয়ালা কোনও বন্ধু বা কলিগ টাইট জিন্স পড়ায় তাকে বিদঘুটে লাগছে। বেচারা বিষয়টা নিয়ে নিজেও অস্বস্তিতে আছে। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তা বদলানোর সুযোগও নেই। এদিকে, আপনাকে মুখভর্তি মেকি হাসি নিয়ে বলতে হয়- প্যান্টটা আপনাকে যা মানিয়েছে না বস! কিংবা কাগতাড়ুয়ার মত চুল কেটে আসা বন্ধুকে দেখে বলে উঠলেন- দো...স...ত, যা একখান ছাট দিছো না, পুরা টম ক্রুজ লাগতেছে!

আরেকটা জনপ্রিয় আর অবশ্য ব্যবহার্য মিথ্যা হচ্ছে, ‘আরে না না, মনে করার কী আছে, আমি কিছুই মনে করিনি। ’ অস্বস্তি আর মেনে না নেওয়ার চিরতা তিতা কষ্টগুলো গিলেও সামাজিকতার কারণে এ ধরনের মিথ্যাচর্চা আমরা অহরহ করে থাকি। কিন্তু এ ধরনের হালকা মিথ্যাও কিন্তু চাকরি-বাকরি-ব্যবসা এমনকি আপনার দাম্পত্য বা রোমান্টিক জীবনে অতটা সহজপাচ্য নয়। কারণ, এখানে সত্যটা জানা দরকারি বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

মিথ্যা ধরার সনাতন ধারণাগুলো
দুঃখজনক ব্যাপার হল মিথ্যা ধরা সহজ কাজ নয়। বিষয়টা গল্পের সেই পিনোকিওর নাকের মত নয় যে মিথ্যা বললেই (মিথ্যুকের) সেই নাক লম্বা হয়ে যাবে বেশ কিছুটা সময়ের জন্য। আর আপনি চেঁচিয়ে উঠলেন- ব্যাটা মিথ্যুক!

আপনি হয়তো বলবেন, কেউ মিথ্যা বলার সময়ে স্বাসপ্রস্বাস দ্রুত হয়ে ওঠা, চোখে চোখ না রাখা বা ঘেমে ওঠা, শরীরের কোনো অংশের মাংসপেশী কুঁচকে ওঠা- এসব দেখে খুব সহজেই মিথ্যাবাদীকে ঠাহর করা যায়। মিথ্যাবাদীকে চিহ্নিত করতে এসব তো সুপ্রাচীনকাল থেকেই আমরা অনুসরণ করে আসছি। কিন্তু আমাদের জন্য হতাশার বিষয় হচ্ছে, জনপ্রিয় এই ধারণাগুলো সবসময়ে ‘ফুলপ্রুফ’ ফলদায়ক হয় না। মানুষ এমন অসাধারণ এক জানদার যন্ত্র- যে আপনি অধিকাংশ সময়েই ধরতে পারেন না যে এইমাত্র আপনার সামনে থেকে যাওয়া বা বসে থাকা লোকটি আপনাকে মিথ্যা গিলিয়েছে। তার সেই মিথ্যাকেই আপনি সত্য মেনে নেন, যদি না পরবর্তীতে কোনো এককালে এই ধারণা আপনার ভুল প্রমাণ হয়।

একবার ঠকলে ঠগের দোষ, দ্বিতীয়বার তোমার দোষ
মিথ্যার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতির একটি হতে পারে যে, এ ব্যাপারে ধারণা রাখা যে, আপনার সামনে কোন ব্যক্তিটি মিথ্যা বলতে পারে এবং কেন? এক গবেষণায় দেখা গেছে, অন্তর্মুখীtrovertimi স্বভাবের ব্যক্তিদের চেয়ে বহির্মুখীxtro স্বভাবের ও আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিরা মিথ্যা বেশি বলে থাকেন। মিথ্যা বলার কৌশল আর দক্ষতায় ইনারা অন্তর্মুখীদের তুলনায় এগিয়ে। আর ব্যক্তিটি যদি হন ক্ষমতার শীর্ষে, সেক্ষেত্রে তার সেই দক্ষতা শৈল্পিক পর্যায়ে পৌঁছে যায়। গবেষণা মতে- তারা মিথ্যা বলেনও বেশি। আর মানুষ সাধারণত সেসব লোকের সামনে মিথ্যা বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করে যাদেরকে ফাঁকি দেওয়া সহজ মনে হয়।

পরিবারের কিছু সম্পর্কের মাঝেও (যেমন অভিভাবক আর টিনএজ সদস্যদের মাঝে) সারাক্ষণ একটি ফাঁকিঝুকির সম্পর্ক বিরাজ করে। বেলা ডি পাওলো নামের এক মনস্তত্ত্ববিদ তার পর্যবেক্ষণে দেখতে পেয়েছেন- কলেজ পড়ুয়ারা মায়েদের সঙ্গে প্রতি দুবারের কথাবার্তায় অন্তত একবার মিথ্যাচার করে।

মিথ্যার ফল বা প্রভাব যাই হোক, এর দু’টি রূপ আছে। এক হচ্ছে আক্রমণাত্মক, আর দ্বিতীয়টি রক্ষণাত্মক। আক্রমণাত্মক মিথ্যার মূল উদ্দেশ্য থাকে কোনো কিছু অধিকার করা (যেমন ধরুন কোনো সুবিধা, চুক্তি বা কাজ বাগানো), নিজের নেতিবাচক স্বভাবের বিপরীতে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলা (নিজের টুঁটাফাটা অর্জনকে মিথ্যার অলঙ্কারে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রকাশ অথবা নিজেকে মহিমান্বিত করতে কল্পকথার ফানুস ওড়ানো)।

আর রক্ষণাত্মক মিথ্যার উদ্দেশ্য থাকে সাধারণত কোনো শাস্তি বা অপ্রস্তুত অবস্থা কিংবা অপদস্থ হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া অথবা কাউকে এ ধরনের অবস্থা থেকে রক্ষা করা। প্রসঙ্গত, মেয়েদের মিথ্যা বলার অন্যতম কারণের একটি হলো এই ‘অন্যকে বাঁচানো’র মহতি চেষ্টা।

যদি ধারণা করেন যে কেউ মিথ্যা বলছে, বুদ্ধি খাটান, তাকে এতে উৎসাহিত করে পরীক্ষা করুন- এ কায়দায় আপনার সন্দেহের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেন (আবার নাও পারেন। কারণ মিথ্যাবাদীরা একটা মিথ্যাকে ঢাকতে ১০টি মিথ্যা বলে থাকে)।


মিথ্যা সনাক্ত করণের কিছু কৌশল
মানুষের অভিজ্ঞতালব্ধ প্রজ্ঞা বলে- একজন মিথ্যাবাদী কখনো আপনার চোখে চোখে তাকিয়ে কথা বলতে পারবে না বা দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবে। কিন্তু আপনার-আমার জন্য হতাশার বিষয় হচ্ছে, একজন দক্ষ মিথ্যুক ঠিক আপনার চোখে চোখে রেখে কথা বলবে- আপনাকে এটা বোঝানোর জন্য যে সে মিথ্যা বলছে না। কারণ- সনাতনি ওই ধারণাটা (মিথ্যুক সরাসরি চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না) তারও অজানা নয়। অন্যকে বোকা বানাতে এই সুযোগটাই নেয় কামেল টাইপের মিথ্যুকরা।

পামেলা মেয়ারের মতে, সাদাসিধা, নির্ভেজাল কথোপকথনের সময়টায় আমরা শতকরা ৬০ ভাগ সময় চোখে-চোখে তাকাই।

মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক এডওয়ার্ড গিসেলম্যান (তিনি তথ্যানুসন্ধানী ইন্টারভিউয়িং কৌশল শিক্ষা দিয়ে থাকেন এফবিআই’র ঝানু গোয়েন্দাদের) এর মতে- যদি অনুভব করেন, কথা বলার সমেয় কেউ আপনার চেহারায় তাকিয়ে আছে বা বোঝার চেষ্টা করছে আপনি তার ‘গল্প’ কতটা গিলছেন- সাবধান হয়ে যান। এক্ষেত্রে বুঝবেন, তার ‘মিথ্যা’ আপনার ওপর কতটুকু আসর করছে- ওই তাকানোটা আসলে তাই বোঝার চেষ্টা।

মিথ্যা বেঝার আরও কিছু শরীরী আচরণগত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- বক্তার শরীরের উর্ধাংশ আড়ষ্ট হয়ে যাওয়া, উচ্চগ্রামে কথা বলা (মনে করুন- ‘চোরের মার বড় গলা’ প্রবাদটি) কিংবা কথা বলার ভঙ্গি বদলে ফেলা, বিস্ফারিত চোখের মণি, আলাপ শেষ হওয়া মাত্র স্বস্তির প্রকাশ, দীর্ঘস্বাস ছাড়া, একটু মুচকি হাসি কিংবা বসা বা দাঁড়ানোর ভঙ্গি পরিবর্তন করা।

কথার মাঝে যতি আর পুনরুক্তি
চাপের মধ্যে পড়ে যখন কথা বলতে বাধ্য হয় (যেমন পুলিশের জেরা) তখন মিথ্যুকরা সাধারণত পাল্টা প্রশ্ন করে এবং একই প্রশ্ন বারবার করে কিংবা থেমে যায়- চিন্তা বা মিথ্যাগুলোকে সুবিন্যস্ত করে সাজানোর জন্য। এ ধরনের ব্যক্তিরা যদি একটু রিহার্সেল করার সুযোগ পায়- ধরে নিন তারা দ্বিধা-দ্বন্দ্বহীন অনায়াস ভঙ্গিতে যে উত্তর দেবে, তা প্রায় বিশ্বাসযোগ্য হবে।

পুলিশ কর্মকর্তারা সন্দেহভাজনদেরকে প্রায়ক্ষেত্রেই তাদের বক্তব্য দোহরাতে বলেন। সন্দেহভাজনের একই বয়ানের পুনরুক্তির সময়ে পুলিশ কান পেতে থাকে- অসঙ্গতি ধরার জন্য। সাধারত পেশাদার অপরাধীদের মিথ্যা কথাগুলি সংক্ষিপ্ত হয়। এর পেছনের কারণটা হলো- অপরাধীরা (বা মিথ্যুক) মনে করে- যত কম বলবে, ফেঁসে যাওয়ার সম্বাবনা তোমার তত কমবে।

শব্দ ব্যবহারে সতর্কতা
কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, মিথ্যা ধরার মূলসূত্র গাঁথা থাকে বক্তার শব্দ ব্যবহারে পছন্দ-অপছন্দের মাঝে। মনস্তত্ত্বের অধ্যাপক জেমস পেনিবাকের এক্ষেত্রে দু’টি প্রথামিক লক্ষণচিহ্নের ওপর আলোকপাত করেছেন:
 
পাকা মিথ্যুকরা সর্বনাম (প্রথম পুরুষ) যথাসাধ্য কম ব্যবহার এবং নিজেদের সম্পর্ক বাদ দিয়ে বক্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করবে। মিথ্যুকরা নিজের বলা ‘মিথ্যা’ থেকে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করে। তারা ‘আমি’; ‘আমাকে’ বা ‘আমার’ ধারার শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবে। কারণ এসব শব্দে ঘটনার সঙ্গে অপরাধী বা মিথ্যুকের সম্পর্ক নির্দেশিত হওয়ার সহজ সম্ভাবনা থাকে।

পেনিবাকের এর মতে- মিথ্যুকরা সাধারণত বেশ উদ্বেগ আর অপরাধবোধে আক্রান্ত থাকে। সাধারণত তারা বাক্যের মাঝে প্রসঙ্গান্তর বা বাধ সাধে- এ ধরনের শব্দ কম ব্যবহার করে। ‘কিন্তু’; ‘ব্যতীত’, ‘ওটাও না’- ধরনের শব্দ কম উচ্চারণ হয় তাদের কণ্ঠে। এসব শব্দ তারা যা করেছে এবং যা করেনি সহজেই চিহ্ণিত করে ফেলতে পারে।

কারণ এসব শব্দের পিঠে স্বাভাবিকক্রমেই আরও অনেক বিপজ্জনক প্রশ্ন এসে পড়তে পারে জেরাকারী বা প্রশ্নকর্তার কাছ থেকে।

সূত্র: খালিজ টাইম্স

বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, ১১ এপ্রিল, ২০১২
সম্পাদনা: আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।