ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

বাংলাদেশ মাতাবে নীলয়!

বাবু আহমেদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:০৭, মে ২, ২০১২
বাংলাদেশ মাতাবে নীলয়!

শাহরিয়ার সাদাত আহমেদ নীলয়। বাবা মরহুম আজিজ আহমেদ ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং প্রযোজক।

বাবার সঙ্গেই মাঝে মাঝে যাওয়া হতো মুভির শ্যুটিং স্পটে অথবা মিউজিক স্টুডিওগুলোতে। সেখানে গান গাইতেন বরেণ্য সব শিল্পীরা। এভাবেই আস্তে আস্তে গানের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে নীলয়ের।

বড় হয়ে বন্ধুরা গড়েন ‘বিভীষিকা’ নামের ব্যান্ড। ২০০৩-০৫ সালের মধ্যে জি-সিরিজ থেকে বের হওয়া তিনটি মিক্সড অ্যালবামে স্থান পায় বিভীষিকার তিনটি গান। এরপরে ভেঙ্গে যায় বিভীষিকা। অনেকদিন পর হুট করেই একদিন পত্রিকায় দেখতে পান ডি রকস্টারের বিজ্ঞাপন।

নিলয়ের মা তখন নিজে জমা দিয়েছেন ছেলের গানের ডেমো। এরপরের গল্পতো সবাই জানে। ২০০৬ সালের রকস্টারের রানারআপ হন নীলয়। পেয়ে যান বেস্ট ডিজুস রকস্টারের সমালোচক পুরষ্কার।

সেখানেই তিনি থেমে যাননি। ২০০৮ সালে ‘সাউথ এশিয়ান রক স্টার প্রতিযোগিতায়’ নাম লেখান। চলে যান সেরা ১০ ফাইনালিস্টের তালিকায়।

ডি রকস্টার এবং সাউথ এশিয়া রকস্টার প্রতিযোগিতার ব্যাপারে বলেন, নিঃসন্দেহে আইয়ুব বাচ্চুর সাথে কাজ করাটা ছিলো সৌভাগ্যের ব্যাপার। সাউথ এশিয়ান রকস্টারে ছিলো দেশ-বিদেশি নানা শিল্পীরা। এদের সাথে কাজ করা ছিলো নতুন অভিজ্ঞতা।

নীলয়ের বেশকিছু মিক্সড অ্যালবামের পাশাপাশি বের হয় দুটো সলো আলবাম ‘ফায়ারব্যান্ড’ এবং ‘বেস্ট অব নিলয়’ । এ দুটো অ্যালবাম বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম অ্যালবাম যা কিনা শুধুমাত্র অনলাইনেই রিলিজ পেয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে তার নিজেরই একটা ব্যান্ড দল রয়েছে যার নাম ‘স্কুল অব নিলয়’। এই গ্রুপে আছেন তার ছোট ভাই। সে ড্রামস বাজায়।

ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? এমন প্রশ্নের উত্তরে নীলয় বলেন, আমি ও আমার ভাই মিলে বাংলাদেশ মাতাতে চাই। পাশাপাশি মা’কে দেখাশোনা করতে চাই। বাবা নেই। মার পাশে থেকে সব সমস্যা থেকে তাকে দূরে রাখতে চাই।

বাংলাদেশের সংগীতে তরুণদের অবস্থান কোথায়? এ প্রশ্নের উত্তরে নীলয় বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যান্ডগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই তরুণরা গড়েছে। আমাদের মিউজিক অনেক উচ্চ জায়গায় পৌঁছে গেছে। বিশ্বের যেকোন জায়গায় যে কারো সাথে প্রতিযোগিতার মত অবস্থায় আছি আমরা। সেটা সম্ভব হয়েছে তরুণদের জন্যই।

আমাদের সাহস আছে। আমরা সাহস করে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারি। আশা করি, ভবিষ্যতে আমাদের অবস্থান আরো এগিয়ে যাবে। তবে সত্যি কথা হলো, রক মিউজিকের আমাদের শ্রোতা খুব কম। এই শ্রোতার সংখ্যাটা বাড়তে হবে।

নীলয় স্বপ্ন দেখেন দেশ নিয়ে। দেশের মানুষ নিয়ে। দেশের মানুষের অবস্থান ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে চান।   নিজের গান দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে যেতে চান।

সবশেষে বাংলানিউজের মাধ্যমে দেশের মানুষের কাছে দোয়া চাইলেন। তিনি যাতে দেশের মান রাখতে পারেন এবং শ্রোতাদের জন্য ভবিষ্যতে আরো ভালো ভালো গান উপহার দিতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ২, ২০১২
সম্পাদনা: শেরিফ আল সায়ার, বিভাগীয় সম্পাদক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।