ঢাকা: রোববার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন।
এসব অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে, ভোর ৬টায় জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় বুদ্ধ পূজা, শীল গ্রহণ ও মহাসংঘদান, বিকাল ৪টায় পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, বিকাল ৫টায় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার আলোকে শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সমবেত প্রার্থনা, প্রদীপ পূজা ও আলোকসজ্জা এবং সন্ধ্যা ৭টায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন ধর্ম সচিব কাজী হাবিবুল আওয়াল ও চীনের রাষ্ট্রদূত লি জোন।
শনিবার বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়ের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ কক্সবাজার, বরগুনা ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৌদ্ধ মন্দির ও মঠগুলোতে অনুষ্ঠিত হবে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
বুদ্ধের জন্ম-বোধি-মহাপরিনির্বাণ লাভের দিন
বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ‘ধমাবলম্বীদের পবিত্রতম ধর্মীয় উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভও করেছিলেন।
এই দিনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড প্রভৃতি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী প্রধান দেশগুলো ছাড়াও বাংলাদেশেও বিশেষ মর্যাদায় এ উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে।
বৌদ্ধ প্রধান দেশগুলোতে এদিন সরকার মদ, মাছ ও মাংস বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বৌদ্ধদেরকে সাদা রঙের পোশাক পরিধানের পরার্মশ দেওয়া হয়।
ভক্তরা মন্দিরে মন্দিরে অসংখ্য প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেন, ফুলের মালায় মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হন। এছাড়া শ্রমণরা বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ প্রার্থনাও করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময় : ০০০০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১২
আইএম/
সম্পাদনা : আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর