ঢাকা : প্রজাপতির ডানায় ভর করা রঙ্গিন কৈশোর না পেরুতেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল সে। কিন্তু রেখে গেল নিজের অস্তিত্ব।
এসব প্রশংসা জেমিমা লেজেলের জন্য। মাত্র ১৩ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া এ ব্রিটিশ কিশোরী ক’দিন আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মারা গেছে। বাঁচিয়ে দিয়ে গেছে আট জন মানুষের প্রাণ।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান জানিয়েছে, জেমিমা তার অন্তিম সময়ে তার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ দান করে গেছে। তার এসব অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে জীবন পেয়েছে পাঁচ শিশু এবং আরো তিন জন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ। আর তার চোখের টিস্যু দিয়ে আলো ফিরেছে দু’জন অন্ধের।
১৯ ও ২৪ বছর বয়সী দু’জন মানুষ এখন পাঁজরে ধারণ করছে জেমিমার কিডনি। আর ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিয়েছেন তার অগ্ন্যাশয়।
জেমিমার অকালমৃত্যুতে পাগলপ্রায় মা সোপি এবং ফটোগ্রাফার বাবা হারভে মেয়ের এই মহৎ কাজের কথা বলতে গিয়ে বলেন, “সে রেখে গেল কিছু স্থায়ী উত্তরাধিকার আর উদাহরণ। ”
ইংল্যান্ডের সমারসেটে বসবাস করে জেমিমার পরিবার। মায়ের জন্মদিন অনুষ্ঠানের সব আয়োজন নিজেই করছিল সে। এসময় হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে যায়। ডাক্তাররা বলেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ। হাসপাতালে চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সবাইকে কাঁদিয়ে, অনেককে বাঁচিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যায় জেমিমা। আর রেখে যায় অসাধারণ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর/ আহসান কবীর, আউটপুট এডিটর