ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

এক বছরে ‘স্বপ্নযাত্রা’

স্বপ্নময় হোক স্বপ্নের দেশে যাত্রা

ফাতেমা আবেদীন নাজলা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৪৯, মে ১৭, ২০১২
স্বপ্নময় হোক স্বপ্নের দেশে যাত্রা

আজ ‘স্বপ্নযাত্রা’র জন্মদিন। শুভ জন্মদিন।

এক বছর আগে এই দিনে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর. কম তরুণদের জন্য  ‘স্বপ্নযাত্রা’ পাতা শুরু করে। দেখতে দেখতে অনেক তথ্য, অনুপ্রেরণার গল্প, স্বপ্নজয়ী মানুষের কথা বলে এক বছরে পা রেখেছে স্বপ্নযাত্রা।

অনানুষ্ঠানিকভাবে ১৫ ই মে ‘চাঁদের মাটি সংগ্রহে সক্ষম রোবট নিয়ে নাসার প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে বাংলাদেশ’ এই লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় স্বপ্নযাত্রা পাতায়। আমাদের স্বপ্নের গল্প দিয়েই শুরু হয়েছিল। এই এক বছরে অনেক অনেক জয়ের গল্প, আনন্দের গল্প আমরা পেয়েছি।

আমরাও স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, ‘মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়’। স্বপ্নযাত্রাও তার স্বপ্নের সমান বড় হোক এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের। তবে এমন সব স্বপ্ন দেখুক যা সবার সার্বজনীন শুধুই ব্যক্তি বিশেষের নয়।

আমরা সবাই কম বেশি স্বপ্ন দেখায় আগ্রহী। তার চেয়েও বেশি আগ্রহী অন্যের স্বপ্ন পূরণের গল্প পড়তে। মনে পড়ে, অমলের স্বপ্ন ছিল দই ওয়ালার সঙ্গে এই পৃথিবীর পথে পথে হাঁটা। অঞ্জন দত্ত বেলার সঙ্গে ঘর বাঁধতে চাওয়া ছাড়া আর তেমন একটা স্বপ্ন দেখেননি। কিংবা আরও অনেক বড় স্বপ্নের পরিধি ছিল অঞ্জন দত্তের। তার মধ্যে আমরা শুধু বেলার কথাই জানতে পেরেছি।

সবাই স্বপ্ন দেখে। তবে সেই স্বপ্নময় পথ পর্যন্ত পৌঁছানোটাও বন্ধুর হয়; কখনো হয় আনন্দময়। যারা শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন তাদের আমরা অদম্য বলি আর মেতে উঠি তাদের বন্দনায়।

শুভকামনায় শুভেচ্ছায় ভেসে যাওয়া সেই মানুষগুলোও ভুলে যান এই কঠিন পথে তাদের অন্য সহযাত্রীদের কথা। কেমন ছিলেন তারা? আদৌ কি পৌঁছাতে পারবেন? পথ ভুলে যাওয়া মানুষদের কথা তো আমরা মনেই রাখি না। আমরা শুধু তাদের কথাই মনে রাখি যারা পৌঁছাতে পেরেছেন।
থ্রি ইডিয়টস ছবিতে প্রিন্সিপাল জিজ্ঞাসা করেছিলেন, চাঁদের মাটিতে প্রথম কে পা রেখেছিলেন? সবাই জানে উত্তরটা। নীল আর্মস্ট্রং। কিন্তু দ্বিতীয় কে পা রেখেছিলেন? কেউ জানে না। কারণ দ্বিতীয় হওয়াকে কেউ মনে রাখে না, পরের জনদেরকে তো আরো নয়।

তবে এইটুকু প্রত্যাশা অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর ‘স্বপ্নযাত্রা’ পাতায় যেন সব মানুষের কথা থাকে। সবার জীবনের সংগ্রামের কথা উঠে আসে। কারণ পেট ভরে এক মুঠো ভাত খাওয়ার স্বপ্ন দেখা লোকটার মূল্য বিল গেটস থেকে কোনো অংশে কম নয়।

পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের একটা অবস্থান আছে। আমরা যেন সে অবস্থান কখনও ভুলে না যাই। অভিযোগ বলতে চাইলে এটাই বলব, কর্পোরেট কালচারে মানুষ হওয়া আমরা শুধু চাকচিক্যের ভিড়ে হারিয়ে না যাই।

মার্কিন দূতাবাসের অর্থায়নে করা ইয়ুথ সামিটের গল্প ছাপা হলে তার পাশে যেন লালপুর গ্রামের মানুষের চেষ্টায় খাল কেটে  ইরি ক্ষেতে পানি দিতে সক্ষম মানুষগুলোর গল্পটাও যেন ছাপা হয়।

আমরা যারা ঢাকায় থাকি তারা কি করে এত দূরের গ্রামের গল্প  জানব এমন অবান্তর প্রশ্ন যেন মনে না আসে। আমরা আফ্রিকার উসাইন বোল্টের গল্প জানতে পারলে বহুদূরের নাফ নদীর ধারেও পৌঁছাতে পারব।

আমাদের জেলা, উপজেলা প্রতিনিধিদেরও সুযোগ দেওয়া হোক তাদের দেখা স্বপ্ন জয়ের গল্পগুলো বলতে। শুভকামনা স্বপ্নযাত্রা। শতায়ু নয়, পরমায়ু হোক।

বাংলাদেশ: ১৩৩৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১২
সম্পাদনা: শেরিফ আল সায়ার, বিভাগীয় সম্পাদক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।