ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

জীবে দয়া করি

শিমুল সুলতানা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৬, মে ১৮, ২০১২
জীবে দয়া করি

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আল্লাহ আমাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন।

আল্লাহর সৃষ্ট প্রতিটি জীবের ওপর দয়া করা আমাদের দায়িত্ব।

আমরা অনেকেই পশু-পাখি ভালোবাসি, আবার অনেকে এদের কষ্ট দিই। কিন্তু হাদিসে জীব-জন্তুর ওপর দয়া করার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

আবু হোরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, একবার এক ব্যক্তি পথ চলছিলেন, এ সময় খুব পানি পিপাসা পেলে তিনি রাস্তার পাশের কুয়ায় নেমে পানি পান করলেন। এরপর তিনি কুয়া থেকে উঠে দেখলেন, একটি পিপাসার্ত কুকুর হাঁপাচ্ছে আর নিজের পা চাটছে। তখন তিনি আবার কুয়ায় নেমে নিজের মোজায় পানি ভরে মোজাটি কামড়ে ধরে উপরে উঠলেন এবং কুকুরটিকে পানি পান করালেন। আল্লাহ তার এ কাজটি কবুল করলেন এবং তার গুনাহ মাফ করে দিলেন।

এ কথা শুনে সাহাবীরা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলে কি আমাদের সওয়াব মিলবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক সজীব বস্তু ও প্রাণীর উপকার করাতেই সওয়াব রয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ও আসমা বিনতে আবুবকর (রা.) হতে বর্ণিত। সূর্যগ্রহণের সালাত আদায় করে রাসুল (সা.) বলেছেন, দোযখ আমার কাছে আনা হলে আমি বললাম, হে আল্লাহ আমিও কি এর অন্তর্ভূক্ত হবো। এ সময় হঠাৎ এক নারী আমার নজরে পড়ল। বর্ণনাকারী আসমা বলেন, আমার মনে হয় আল্লাহর রাসুল বলেছেন, বিড়াল ওই নারীকে খামচি দিচ্ছিল। রাসুল (সা.) তখন জিজ্ঞেস করলেন, ব্যাপার কি? উত্তরে ফেরেশতারা বললেন, ওই নারী একটি বিড়াল বেঁধে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত বিড়ালটি ক্ষুধায় মারা যায়।

এ ব্যাপারে রাবী (রা.) হতে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ ভালো জানেন বাঁধা থাকাকালে ওই নারী বিড়ালটিকে খাবার খেতে বা পানি পান করতে দেয়নি, আবার তাকে ছেড়েও দেয়নি। ছেড়ে দিলে সে মাটির কীট-পতঙ্গ খেয়ে বেঁচে থাকত।

তাই আসুন আমরা জীব-জন্তুর প্রতি দয়াশীল হই।

শিমুল সুলতানা, বিভাগীয় সম্পাদক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।