ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের প্রথম নারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:০৮, মে ১৯, ২০১২
এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশের প্রথম নারী

ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করলেন নিশাত মজুমদার।

শনিবার সকাল নয়টা ৩০ মিনিটে এই নারী এভারেস্ট চূড়ায় পা রাখেন।



এছাড়া একই সময়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে এমএ মুহিত দ্বিতীয়বার এভারেস্ট জয়ের গৌরব অর্জন করলেন। এর আগে তিনি তিব্বতের দিক থেকেও এভারেস্ট চূড়া জয় করেন। এম এ মুহিতই একমাত্র বাঙালি যিনি উত্তর ও দক্ষিণ দুই দিক থেকেই এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড গড়লেন।

মুহিতের ছোট বোন রাবেয়া বেবী বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া নেপাল থেকে পেমবা দর্জি শেরপা এ খবর নিশ্চিত করেন।

নিশাতের জন্ম লক্ষ্মীপুরে। দুই বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় আসেন। রাজধানীর বটমূ‍লী হোম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ঢাকা সিটি কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

নিশাত মজুমদার  ও এমএ মুহিত দুজনই বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্র্যাকিং (বিএমটিসি) ক্লাবের সদস্য।

১৯৭৫ সালের ১৬ মে জাপানের জুনকো তাবেই বিশ্বের প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ এ পর্বত জয় করেন স্টেসি অ্যালিসন, ১৯৮৮ সালে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এভারেস্টের উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার (২৯ হাজার ২৯ ফুট)।

২০০৩ সালে এভারেস্ট বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে সে সময়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ (৩,১৭২ ফুট) কেওক্রাডং জয় করেন নিশাত। এই আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।

২০০৬ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বাংলাদেশের নারী অভিযাত্রী দলের সঙ্গে আবারও কেওক্রাডং চূড়ায় ওঠেন তিনি। এই আয়োজনে ছিল বিএমটিসি।

২০০৭ সালের মে মাসে বিএমটিসির অর্থায়নে দার্জিলিংয়ের হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ নেন। একই বছর ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে হিমালয়ের মেরা পর্বতশৃঙ্গ (২১ হাজার ৮৩০ ফুট) জয় করেন নিশাত মজুমদার।

২০০৮-এর মে মাসে হিমালয়ের সিঙ্গুচুলি পর্বতশৃঙ্গে (২১,৩২৮ ফুট) ওঠেন। একই বছরের সেপ্টম্বরে তিনি ভারতের উত্তর কাশীর গঙ্গোত্রী হিমালয়ের গঙ্গোত্রী-১ পর্বতশৃঙ্গে (২১,০০০) বাংলাদেশ-ভারত যৌথ অভিযানে অংশ নেন। নিশাত ২০০৯ সালের এপ্রিলে বিশ্বের পঞ্চম উচ্চতম শৃঙ্গ মাকালুতে (২৭,৮৬৫ ফুট) ভারত-বাংলাদেশ যৌথ অভিযানে অংশ নেন।

২০১০ সালের ২৩ মে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন মুসা ইব্রাহিম। এরপর ২০১১ সালের ২১ মে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন এমএ মুহিত। এটা মুহিতের দ্বিতীয় বারের মতো এভারেস্ট জয়, যা বাংলাদেশের পর্বতারোহণের ইতিহাসে অনন্য।

ভারতের ব্রিটিশ সার্ভেয়ার জেনারেল স্যার জর্জ এভারেস্টের নামে পর্বতশৃঙ্গটির নামকরণ করা হয়েছে। স্যার জর্জ সর্বপ্রথম এভারেস্টের অবস্থান নির্ণয় করেন এবং এর উচ্চতা মাপেন।

১৯৫৩ সালের ২৯ মে নিজজিল্যান্ডের স্যার এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের দরিদ্র শেরপা তেনজিং নোরগে সর্বপ্রথম এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করে সেখানে মানুষের জয়পতাকা ওড়ান।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১২

সম্পাদনা: আরিফুল ইসলাম আরমান, নিউজরুম এডিটর/রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
Jewel_mazhar@yahoo.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।