ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ট্রাভেল

তুলনাহীন শৈলশহর দার্জিলিং

লিয়াকত হোসেন খোকন, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০০, জুন ১৪, ২০১২
তুলনাহীন শৈলশহর দার্জিলিং

আমি বরাবর ভ্রমণপিপাসু। তাই একবার শীতে বেড়াতে বের হলাম।

তেঁতুলিয়ায় গিয়ে উঠলাম সেখানকার ডাকবাংলোয়। শীতের রাত।  চৌকিদার এসে বললো, স্যার দার্জিলিংয়ের আলো দেখবেন নাকি। রুম থেকে বেরিয়ে এলাম আমি ও মোস্তফা। অনেকটা অস্পষ্টভাবে বহু দূরের দার্জিলিংয়ের লাইটপোস্টের আলো দেখে কেমন যেন হয়ে পড়লাম। মোস্তফা বললো, আঙ্কেল আগামী মাসে দার্জিলিংয়ে চলুন।

আগেও কয়েকবার দার্জিলিংয়ে গিয়েছি। পশ্চিমবাংলার জেলাশহর দার্জিলিং। এর উত্তরে সিকিম রাজ্য, পূর্বে ভুটান ও জলপাইগুড়ি জেলা, পশ্চিমে নেপাল রাষ্ট্র, দক্ষিণে উত্তর দিনাজপুর জেলা ও বিহারের পূর্ণিয়া জেলা।

দার্জিলিং জেলায় রয়েছে ৪টি মহকুমা, দার্জিলিং সদর, কালিম্পং, কার্সিয়াং আর শিলিগুড়ি। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে মোট জনসংখ্যা ২৮ লাখ ৪২ হাজার ৩৪ জন। থানা- দার্জিলিং, গৌড়বাথান, জোড়বাংলো, জলঢাকা, কালিম্পং, কার্সিয়াং, মিরিক, নকশালবাড়ি, প্রধাননগর, পুলবজার আর শিলিগুড়ি।

শিলিগুড়ির ফাঁসি দেওয়ার পূর্ব দিক থেকে রয়ে গেছে মহানন্দা নদী। এর ওপারেই বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা। দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে একবার ফাঁসি দেওয়ায় এসে খুব কাছ থেকে বাংলাদেশকে দেখেছিলাম। মহানন্দার পাড়ে বসে বারবার মনে পড়লো হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ``ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে/ বলো কোথায় তোমার দেশ/ তোমার নাই কি চলার শেষ ও নদীরে/ তোমার কোনো বাঁধন নাই/ তুমি ঘর ছাড়া কি তাই/ এই তো দেখি আছ ভাটায়/ আবার দেখি জোয়ারে ও নদীরে`` গানের এই কথাগুলো।

কলকাতা থেকে বিকাল ৪টায় উঠলাম পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের গাড়িতে। পথে কয়েক জায়গায় বাস থামলো। কেননা রাত এড়িয়ে সাত সকালে পৌঁছানোর জন্য বাস কয়েক জায়গায় থামলো । সন্ধ্যা ৬/৭ টায়ও বাস ছাড়ে। যা পৌঁছে সকালে। যাইহোক, পরদিন সকালে পৌঁছলাম শিলিগুড়ি। ভাবলাম, শিলিগুড়ি দেখে দুপুরের দিকে রওয়ানা দেবো দার্জিলিংয়ের দিকে।

উত্তর বাংলাসহ সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ ছাড়াও নেপাল ও ভুটানের প্রবেশদ্বার এই শিলিগুড়ি। উত্তর বাংলার অন্যতম বাণিজ্যক শহর শিলিগুড়ি। রিকশা নিয়ে শহরটা ঘুরে দেখলাম। বেলা ২টার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দার্জিলিং যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।

ট্যাক্সিতে উঠলাম আমি ও মোস্তফা। সঙ্গে আরও কয়েকজন ট্যুরিস্ট। পাহাড়ের গা বেয়ে বেয়ে রাস্তা উঠে গেছে উপরের দিকে। কলকাতা থেকে ৬৬৫ কিমি দূরে ২ হাজার ১৩৪ মিটার উচ্চতায় পশ্চিমবাংলার অন্যতম শৈলশহর এই দার্জিলিং। ১২ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে হিমালয় গিরিশ্রেণির ধাপে ধাপে দার্জিলিংয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ।

শৈল শহরের রানি দার্জিলিংয়ের রূপের তুলনা নেই। চারদিকে সবুজ অরণ্য পাহাড়ের ঢেউ, মাঝে দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ ছোঁয়া বরফে মোড়া রূপালী রঙের কাঞ্চনজঙ্ঘা। সূর্যোদয়ে স্বর্ণাভ রঙের ছোঁয়া লাগে। খুবই সুন্দর এই দৃশ্য। আর আছে অনিন্দ্যসুন্দর পার্বত্য প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে কনকনে হিমেল ঠাণ্ডা বাতাস।   মিঠেকড়া রোদ্দুর ও ক্ষণে ক্ষণে পাহাড়ি মেয়েদের আনাগোনা। এসব দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে গেলাম দার্জিলিংয়ে।

আগেই জানতাম, দার্জিলিংয়ের দর্শনীয় হলো টয় ট্রেন, রক গার্ডেন, টাইগার হিল, রাজভবন, চিড়িয়াখানা, সিঞ্চল হ্রদ, ধীরধাম মন্দির, দার্জিলিং-রঙ্গিত রোপওয়ে, বোটানিক্যাল গার্ডেন, আর্ট গ্যালারি, নাইটিঙ্গেল পার্ক, ম্যাল, গৌরীপুর হাউস, কালীবাড়ি, রিশপ গ্রাম, লাভা, লোলেগাঁও, কার্সিয়াং।

এই জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে- তিস্তা, মহানন্দা, জলঢাকা, মেচি, রাম্মা, বালাসন প্রভৃতি নদী। এখানে পাহাড় পর্বত হলো- দূরবিনদার পর্বত, খুন পাহাড়, কাটা পাহাড়, টাইগার হিল, সন্দকফু, ফালুই, সবরগ্রাম, ঋষিলা, সিঞ্চুলা।

দার্জিলিংয়ে গিয়ে জানলাম, ২০১১ সালের ১৮ জুলাই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং গুর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তিতে দার্জিলিং গুর্খা হিল কাউন্সিল বাতিল করে গুর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দার্জিলিং জেলার তিনটি মহকুমা- দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্সিয়াং ছাড়া শিলিগুড়ি মহকুমার ১৩টি মৌজা এই প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

আমরা গিয়েছিলাম মে মাসে। ওই সময়টাই দার্জিলিং বেড়াবার মনোরম সময়। উঠেছিলাম অশোকা হোটেলে। প্রতিদিন সকালে একবার, আরেকবার বিকেলে ম্যালেতে গিয়ে বসে থাকতাম।

ম্যালে বসে বারবার মনে পড়ছিল সুপ্রীতি ঘোষের গাওয়া- ``পথিক মেঘের দল চলেছে/ আকাশগাঙের তীর ঘেঁষে/ আমার মন বাউল হয়ে/ ছুটলো কি তাই দূর দেশে/ কৃষ্ণচূড়ার রঙ লেগেছে প্রান্তরে/ নীল পাখিরা কাজ ভুলে/ তাই গান করে/ দিগন্তে ওই ফাগ ছড়ালো/অস্ত রবির রঙ মেশে/ ওই যে নামে সন্ধ্যা/ বনগন্ধা ফুলের সম্ভারে/ জোনাকী বধূ প্রদীপ জ্বেলে/ বরণ করে তাই তারে/ অন্তরে মোর বন্ধ ছিল ছন্দরে/ আজকে সে যে গান হলো মোর অন্তরে/ নিরুদ্দেশে তাই তো আমার/ সুরের তরী যায় ভেসে ...`` গানের কথাগুলো।

এদিকে দেখি সন্ধ্যা নেমে এসেছে। মোস্তফা ও আমি পথের পাশে এক পানশালায় ঢুঁ মেরে হোটেলে ফিরলাম। রাতে হোটেলে এসে শুনলাম ট্যুরিস্ট ব্যুরো নেহেরু রোড চৌরাস্তা, দার্জিলিং থেকে দার্জিলিংয়ের দ্রষ্টব্য দেখিয়ে আনে।

এছাড়া এদের টাইগার হিল, কালিম্পং, মিরিক ও গ্যাংটক দেখার আলাদা আলাদা ট্যুর আছে। আবার মোটরস্ট্যান্ড থেকে একাধিক প্রাইভেট সংস্থাও দেখিয়ে আনে এসব স্থান। তেমনি চুক্তিতে জিপ, ল্যান্ডরোভার নিয়েও দার্জিলিংসহ দ্রষ্টব্যস্থান ঘুরতে যাওয়া যায়।

দার্জিলিং গিয়ে এবারও সবচেয়ে ভালো লেগেছিল ম্যাল। পাহাড়ি ধাপে ছোট সমতল জায়গা এই ম্যাল। চারপাশ রেলিং দিয়ে ঘেরা। একপাশে গভীর উপত্যকা। আর দূরে বরফে মোড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা। হঠাৎ ম্যালে বসে দেখি মেঘ জমেছে। এই মেঘের আনাগোনা নিচের উপত্যকা জুড়ে দেখে বার বার তাকিয়েছিলাম।  

দেখলাম, ছোট বড় সব বয়সের লোকজন ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ম্যালে বসে আছি-  ঠিক তখনই বিশ বছরের এক তরুণের সঙ্গে পরিচয় হলো। তরুণটির নাম মৃণাল। ইতিহাসের ছাত্র। বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে মৃণাল বললো, লাভা লোলেগাঁও থেকে ঘুরে আসতে পারেন।

বহু বছর আগে লাভার পাহাড়ের বুকে এক গাঁয়ে সুলেখা নামে একটি মেয়ে থাকতো। সংসারে আপন বলতে ছিল তার মা আর বাবা। শুনেছি, আমার মামা নাকি ওই গ্রামে গিয়ে রাখালের কাজ নেয়। মাঠে বসে সারাক্ষণ বাঁশি বাজায়। সুলেখা আমার মামার বাঁশির সুর শুনে পাহাড়ের পাদদেশে  গান গেয়ে বেড়াতো। একদিন এক সন্ন্যাসী সুলেখাকে বললো, এক রাখালের বুকভরা ভালোবাসাই তোমার যথেষ্ট।

সুলেখা সেই কথা শুনে মামার প্রেমে পড়ে গেল। এও শুনেছি, মামা নাকি সুলেখাকে বিয়ে করেছিল। এ রকম নানান কথা শুনেছি কিন্তু মামাকে এ পর্যন্ত কখনও দেখিনি। শুধু শুনেই আসছি তিনি নাকি এখনও লাভায় থাকেন। মৃণালের মুখে ওর মামার কাহিনী শুনে আমারও ইচ্ছে জাগলো, পাহাড়ি এলাকায় বেড়ানোর।

বললাম, দার্জিলিংতো দেখা শেষ। চলো না আমরা লাভা-লোলেগাঁও বেড়াতে যাই। মৃণাল জানালো, তার সম্পূর্ণ খরচ দিলে যেতে পারে।

দার্জিলিং থেকে ঘণ্টা তিনেক পর আমরা লাভায় এসে পৌঁছলাম। রাতটি আমাদেরকে লাভায় থাকতে হবে। সাজানো গোছানো এক হোটেলে এসে উঠলাম। দেখলাম ব্যালকনিও আছে। চেয়ার নিয়ে বসলাম, শুধুই দেখা যাচ্ছে পাহাড়ঘেরা অরণ্য। ম্যানেজার এসে বললেন, কোনো সমস্যা হলে ফোন করবেন।

বিকেলে বেরিয়ে পড়লাম। যে দিকে তাকাই মুগ্ধ হয়ে পড়ি। আহা এ যে মেঘ পরীদের দেশ। অর্কিডের শহর এই লাভা। ঘুরতে ঘুরতে জানলাম, পাহাড় আর সবুজ গাছপালায় ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম লাভার উচ্চতা ২ হাজার ১০০ মিটার। চারপাশের নৈসর্গিক শোভা অসাধারণ।

দেখলাম লাভার বাজার অঞ্চলের মাঝখান দিয়ে রয়েছে ঢালু রাস্তা। এই পথ দিয়ে পায়ে হেঁটে এলাম এক গুহার কাছে। একজন বললো, এখানে বড় বড় ২টি গোখরো সাপ থাকে। রাতের বেলা এরা বাইরে চলে আসে। যে জন্য এ পথে কেউ রাতের বেলাতে যায় না, এমনকি গাড়িও তখন এ পথে চলাচল করে না। লাভায় আমরা থেকেছিলাম নেহারবিন্দু গেস্ট হাউসে।

লাভা থেকে জিপে গেলাম রিশপে। লাভা থেকে রিশপের দূরত্ব ১১ কিলোমিটার। রিশপের উচ্চতা ৪ হাজার ৩১০ মিটার। ‘রি’ অর্থ পাহাড় চূড়া, ‘শপ’ হলো প্রাচীন বৃক্ষ। রিশপের মনোরম প্রাকৃতিক শোভা উপভোগ করতে হলে অন্তত দুটো দিন থাকলে ভালো লাগবে। বরং আমরা একটা দিন থেকেছিলাম। এখান থেকে স্পষ্টভাবে দেখলাম, কাঞ্চনজঙ্ঘা ছাড়াও সিঙ্গালিলা, কাবরু প্রভৃতি তুষারশৃঙ্গ। এখান থেকে দেড় কিলোমিটার ট্রেক করে গেলাম টিভিনদাঁড়া ভিউ পয়েন্টে। কিছুটা ভয় ভয় লাগলো।

নির্জন পাহাড় আর ধুপি, দেওদার, পিপল পাইনের ঘন আরণ্যক শোভার মাঝে অপর একটি ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম লোলেগাঁও। লাভা থেকে দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। লোলেগাঁওতে গিয়ে উঠলাম গোর্খা হিল কাউন্সিলের ট্যুরিস্ট লজে।

লোলেগাঁওয়ের স্থানীয় নাম ‘কাফের’। এখানে বাজার আর বাসস্ট্যান্ডের মধ্য দিয়ে পথ গিয়েছে হেরিটেজ জঙ্গলের দিকে। দেখলাম জঙ্গলের মধ্যে ক্যানোপি ওয়াকের ব্যবস্থা আছে। ঝুলন্ত সেতুর মতো দড়ি বাঁধা কাঠের পথ এক গাছের মাথা অন্য গাছের মাথা ছুঁয়ে জঙ্গলের দিকে চলে গিয়েছে।

কাঠের তক্তাবাঁধা এই পথই হলো ‘ক্যানোপি’। এখানের বাসস্ট্যান্ড থেকে ৪ কিলোমিটার দূরের ঝাণ্ডিদাঁড়া ভিউ পয়েন্টে খুব ভোরে গিয়ে সূর্যোদয়ের অপরূপ শোভা দুচোখ ভরে দেখলাম। অপরূপ দৃশ্যে মুগ্ধ হয়ে মৃণাল গেয়ে উঠলো ‘সেই তো আমার পাগল করা, সূর্য কাটা আলো/ প্রাঙ্গণে মোর মেঘের ছায়া কেটে যায়/ আজি সপ্তরঙের রামধনু কে এঁকে যায়/ উজাড় করে দিলাম যারে সে তো জানে না/ এই জেগে থাকা মায়া চাঁদ/ আর তারাদের মিটি হাসি ...। ’

গানের কথাগুলো শুনে মুগ্ধ হয়ে পড়লাম। মোস্তফা আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো, বাহ রে আংকেল এমন সুন্দর জায়গা, বুঝি আজ এই প্রথম দেখলুম! এখানে ক`টা দিন থেকে যাই। এমন প্রাকৃতিক শোভা যে আর খুঁজে পাবো না।

লাভা আর লোলেগাঁও পাশাপাশি দুই জায়গা। আমাদের কাছে মনে হয়েছিল, এ যেন যমজ কন্যা। এখানে প্রতিদিন বিকেলে পায়ে হেঁটে বেড়িয়েছি। পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখায় দারুণ আনন্দ আছে। পথ চলতে গিয়ে কতজনার সঙ্গেই না পরিচয় হলো। একেক সময় ভাবতাম, এখানকার লোকজন কতই না অতিথিবৎসল।

এখানকার মেয়েরাও বন্ধুত্বকামী ও বন্ধুবৎসল। আমাদের চোখে পড়েছিল কতো না মায়াবী চেহারার সুন্দর সুন্দর মেয়ে। এখনও মনে পড়ে মেয়েটির নাম ‘দিপালী’। ওর বাড়িতে নিমন্ত্রণ করেছিল। কিন্তু  ইচ্ছে  করেই যাইনি বলে পরদিন হোটেলে এসে দু’কথা শুনিয়ে গিয়েছিল।

তখন ভীষণ লজ্জা পেলাম। লোলেগাঁও থেকে ফিরে এলাম দার্জিলিংয়ে। মোস্তফা বললো, এখানে ক’দিন থাকি। তাই হলো। বড্ড ভালো লাগে দার্জিলিং শহরকে-- এতো নতুন কথা নয়।

প্রথম দার্জিলিংয়ে গিয়েছিলাম ১৯৭৯ সালে। তারপর এ নিয়ে তেরো বার ওখানে যাওয়া। ভালোলাগা দার্জিলিংয়ে ইচ্ছে করেই থেকে গেলাম মোট পনেরো দিন। শেষ দিন সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেনে উঠে এলাম কার্শিয়াংয়ে।

কার্শিয়াংয়ে দু’দিন থাকার পরে এলাম শিলিগুড়ি। তারপরতো কলকাতা হয়ে দেশে ফেরা। দার্জিলিংয়ে গেলে একদণ্ড যে শান্তি পাওয়া যায়।   তাই ওখানে আবারও ফিরে যেতে ইচ্ছে জাগে।

বাংলাদেশ সময় : ১৩৪৭ ঘন্টা, জুন ১৪, ২০১২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর;
জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
jewel_mazhar@yahoo.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।