ঢাকা: এশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের সংখ্যায় হংকংকে ছাড়িয়ে গেছে সিঙ্গাপুর।
গত বছরের পরিসংখ্যান টেনে ক্যাপজেমিনি এবং আরবিসি ওয়েল্থ ম্যানেজমেন্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, হংকংয়ের স্টক মার্কেট গত বছর ধপাস করে এক ধাক্কায় শতকরা ১৬.৭ ভাগ পড়ে যায়। এর ফলে সৃষ্ট সংকটের মুখে সেখানকার শেয়ারবাজারে এক মিলিয়ন ডলারের ওপরের বিনিয়োগকারীর সংখ্যা আশংকাজনক হারে কমে যায়। কারণ, তাদের বিনিয়োগের বিরাট এক অংশ স্টক-শেয়ারে আটকা পড়ে।
এ কারণে হংকংয়ের দক্ষিণ এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বী সিঙ্গাপুর ছাড়িয়ে যায় তাকে।
তবে এটাও সত্য বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার স্রোতে দক্ষিণ এশিয় দেশগুলো এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে মন্দাবস্থা শক্তভাবে মোকাবেলা করে। দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর অভ্যন্তরীন ব্যয়প্রবাহ সংকটে ধুঁকতে থাকা তাদের রফতানি আয়ের ক্ষতিটা ভালোমত পুষিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ধনীদের সংখ্যায় ২০০৮ সালে পিছিয়ে পড়ার পর ২০১০ সালে হংকং ফের সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
এদিকে, মঙ্গলবার প্রকাশিত ক্যাপজেমিনি এবং আরবিসি ওয়েল্থ এর ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্টের তথ্যমতে, দ্রুত বর্ধণশীল অর্থনৈতিক অঞ্চল এশিয়া কোটিপতির সংখ্যায় গত বছর প্রথমবারে মত উত্তর আমেরিকাকে ছাড়িয়ে যায়।
তবে সিঙ্গাপুর যে কোটিপতিদের সংখ্যায় হংকংকে ছাড়িয়ে গেছে তার কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি গবেষণা সংস্থাটি।
অর্থনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের স্থিতি আর ক্রমোন্নতির কারণে আকৃষ্ট হয়ে গত কয়েক বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দলে দলে ধনী আর সম্পদশালী ব্যক্তিরা সেখানে গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন। এ দলে আছেন সামাজিক ওয়েবসাইট ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এদুয়ার্দো সাভেরিনও। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে সাভেরিন সিঙ্গাপুরে থিতু হন। ছোট্ট নগর রাষ্ট্র সিঙ্গাপুর সম্পর্কে আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য হচ্ছে, এদেশে ইন্দোনেশিয়ান বংশোদ্ভূত কোটিপতির সংখ্যা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার কোটিপতিদের সংখ্যার চেয়েও বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, ২০ জুন, ২০১২
সম্পাদনা : আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর