ঢাকা: ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হতে চাই। যারা রাস্তায় ঘুমায় তাদের জন্যে বড় বড় দালান তৈরি করতে চাই।
রাজধানীর আইডিবি ভবনে ‘পথশিশুদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এভাবেই নিজের আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরে ১০ বছর বয়সী পথশিশু মো: সজিব হোসেন।
দীর্ঘ আলাপচারিতায সজিব জানায় তার পিতা কে তা জানা নেই। জানা নেই স্থায়ী ঠিকানাও। শুধু জানে গাবতলীর মাজার রোডের সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক এনহান্সমেন্ট প্রোগ্রাম(সিপ) সেন্টারের ঠিকানা। বাকি সবই তার অজানা।
সজিবের শৈশব কেটেছে কখন খোলা আকাশের নিচে, কখনও গাবতলীর বাস টার্মিনালে, পার্কে, রাস্তার পাশে, আবার কখনও কোনো মার্কেটে।
সজিব পেশা হিসেবে বাধ্য হিসাবে বেছে নিয়েছে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করা, পড়ে থাকা বোতল সংগ্রহ করা, হোটেলে পানি দেওয়া, হোটেল বয়, কুলি, গাড়ি ধোয়া-মোছার কাজ।
তবে এ মুহূর্তে গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছে সজিব। রোল নাম্বার ১। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও প্রিয় সজিব।
দেশের রাজনীতি সম্পর্কেও ভালো জানাশোনা মেধাবী তার এক নিমিষে বলে দিতে পারছে দেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় প্রধানের নাম। কার হাত ধরে দেশের স্বাধীনতা এসেছে তাও জানে সজিব।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ক্রমাগত ভাসমান মানুষের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি পথশিশুর সংখ্যা বেড়ে চলছে।
এক গবেষণায় দেখা যায় ২০০৪ সালে এর সংখা ছিল ছয় লাখ ৮০ হাজার এবং ২০১৪ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাড়াবে ১১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫৪ জন।
সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে পথশিশুদের জন্য বরাদ্দ ছিল পাঁচ কোটি ৬৭ লাখ টাকা
বাংলাদেশ সম২: ০৫৩৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এমএফ/এডিএ/রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর