ঢাকা: জ্যোতি বসু, কিংবদন্তি কমিউনিস্ট নেতা। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দু’যুগ ধরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
রোববার প্রতিথযশা এই রাজিনীতিকের ৯৯তম জন্মদিন। ১৯১৪ সালের ৮ জুলাই তিনি কলকাতার ৪৩/১ হ্যারিসন রোডের একটি বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নিশিকান্ত বসু চিকিৎসক ও মা হেমলতা ছিলেন একজন গৃহীনী। জ্যোতি বসুর পূর্বপুরুষদের আদিনিবাস বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী গ্রামে।
শিক্ষালাভে ইংল্যান্ডে গিয়ে জ্যোতি বসু প্রখ্যাত কমিউনিস্ট লেখক রজনী পাম দত্তের লেখায় প্রভাবিত হন। পড়তে থাকেন কার্ল মার্কসের ‘দাস ক্যাপিটাল’, কার্ল মার্কস ও এঙ্গেলসের ‘কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’ ইত্যাদি গ্রন্থ। একই সঙ্গে ভারতের স্বাধীনতার প্রশ্নে মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু প্রমুখের রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকেন তিনি। তাদের বক্তব্য কিংবা বাণী তার দেশপ্রেমের চেতনাকে আরও শাণিত করে।
জ্যোতি বসুর রাজনৈতিক জীবন মূলত: শুরু হয় মিডেল টেম্পল থেকে বারে-অ্যাট-ল সম্পন্নের পর ১৯৪০ সালে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদানের মধ্য দিয়ে। ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলার বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
রাজনৈতিক দক্ষতা আর জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনকে সঙ্গী করে বাধাহীনভাবে এগিয়ে চলেছেন তিনি। একনাগাড়ে ২৩ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন জ্যোতি বসু।
শারিরীক অসুস্থতার জন্য ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর সতীর্থ রাজনীতিক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়ে অবসরে যান তিনি।
নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি বিধাননগরে মারা যান এই বর্ণাঢ্য রাজনীতিবিদ।
সুদীর্ঘ সময় রাজনীতি ও দুই যুগ মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা জ্যোতি বসুর সামগ্রিক কর্মকাণ্ডে সাফল্য-ব্যর্থতা দু’ই রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে সব ছাপিয়ে জনগণের সঙ্গে তার নিবিড় সেতুবন্ধন মৃত্যুর পরও সমানভাবেই টিকে রয়েছে এবং থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১২
এআই/সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর