ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

সংগীতে পরিবর্তন আনবে তরুণরাই: তাহসীন

শেরিফ সায়ার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:৩১, জুলাই ১১, ২০১২
সংগীতে পরিবর্তন আনবে তরুণরাই:  তাহসীন

নতুন প্রজন্ম সংগীত নিয়ে ভাবে। তাদের মধ্যে অনেকেই সংগীত বা মিউজিক নিয়ে কাজ করছেন।

তাহসীন আহমেদ তাদেরই একজন।

ঢাকায় বেড়ে ওঠা তাহসীন গতবছর (২০১১) আগস্টে এয়ারটেল রেডিও ফূর্তি আয়োজিত ‘ইয়াংস্টার অব দ্য মান্থ’ নির্বাচিত হয়েছিলেন। এয়ারটেল আয়োজিত এই ইভেন্টে প্রতি মাসে দু’জনের গান নমিনেশন পায়। সেখান থেকে একজনকে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

গানের সঙ্গে সম্পর্ক কবে থেকে? এ প্রশ্নের জবাবে তাহসীন বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবা খুব ভালো গান করেন। তবে তিনি প্রফেশনাল গায়ক না। বাবার মাধ্যমেই গানের সঙ্গে সম্পর্ক। তারপর আমার বড় ভাইয়ারও ব্যান্ডদল ছিল। সেখান থেকেও উৎসাহ পেয়েছি।

গানের চর্চার বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাহসীন বলেন, আমি নিজে নিজেই শিখেছি। কেউ আমাকে শেখায়নি। বাংলাদেশের গানের স্কুলিং নেই। থাকলে হয়তো অনেক ভালো হতো। অনেক ভালো শিল্পী উঠে আসতো।

বিশ্বায়নের যুগে গানের পাশাপাশি পেশাগত জীবনেও সফল হতে চান তাহসীন। তাই তিনি পড়াশোনা করছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাইলে। বর্তমানে তিনি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গানের পাশাপাশি শিক্ষা জীবনেও সফল হতে চান তাহসীন।

নিজের স্বপ্ন সম্পর্কে তাহসীন বলেন, আমি কম্পোজার হতে চাই। ভালো ভালো গান উপহার দিতে চাই। একসঙ্গে সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

এয়ারটেল প্রতিযোগিতায় ‘স্মৃতিচারণ’ গান দিয়ে সবার মন জয় করলেও তার আগেই ২০১১ সালের জুন মাসে নিজের সোলো অ্যালবাম ‘ভালোবাসার রং’ দিয়ে সংগীত জগতে প্রবেশ করেছিলেন তাহসীন।

ভবিষ্যতে তিনি নতুনদের সঙ্গেই কাজ করতে চান। যারা সুযোগের অভাবে সামনের সারিতে আসতে পারেন না। তাদের নিয়েই তিনি এগিয়ে যেতে চান। এজন্যই নতুনদের নিয়ে তিনি একটি অ্যালবামের কাজে হাত দিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে তাহসীন বাংলানিউজকে বলেন, নতুনরাই পরিবর্তন আনতে পারবে। সংগীতে এখন পরিবর্তন প্রয়োজন। যেটা নতুন প্রজন্মই এনে দেবে।



 বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।