ঢাকা: কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সচিবালয়ের প্রাচীর ঘেঁষে জন্ম নেওয়া আগাছা দীর্ঘদিন পরিষ্কার না করায় অবশেষে তা রূপ নিয়েছে ছোটখাট জংলায়।
সেখানেই বাসা বেধেছে বিষাক্ত সাপ।
সচিবালয়ের উত্তর অংশের প্রাচীর ঘেঁষে এসব অব্যস্থাপনার চিত্র চোখে পড়ে। প্রাচীরের ঠিক উপরেই স্থাপন করা একাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা থাকলেও তা নজরেই আসছে না কর্তৃপক্ষের।
সচিবালয়ের প্রাচীর ঘেঁষে ওই পথে নিয়মিত যাতায়তের কারণে প্রতিনিয়তই এই দৃশ্য চোখে পড়লেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মাথায় চাপে সম্প্রতি একটি ঘটনা প্রত্যক্ষ করে।
প্রেসক্লাব থেকে পল্টন মোড় আসছি হেঁটে। হঠাৎ দেখি, এক রিকশাচালক সচিবালয়ের উত্তর অংশের প্রাচীরের ঠিক মাঝামাঝি জংলার পার্শ্বে ফুটপাতে, নিবিড়ভাবে কি যেন দেখছেন। কাছাকাছি গিয়ে দেখা গেল, কেঁচো স্বদৃশ্য কিছু একটা। পরক্ষণেই ভুল ভাঙলো।
আরে! কেঁচো স্বদৃশ্য ওই প্রাণীটি মোটেও কেঁচো নয়, ওটা একটা বিষাক্ত দু’মুখো সাপের বাচ্চা। একে একে আমার মতোই কৌতূহলী আরোও কয়েকজন জড়ো হয়ে গেলেন।
উপস্থিত প্রবীণ এক ব্যক্তি বললেন, “লক্ষণ দেখে বোঝা যাচ্ছে, এখানে সাপের বাসা রয়েছে। প্রচণ্ড গরমে হয়তো একটি সাপের বাচ্চা বেরিয়ে এসেছে। ”
কতক্ষণ পর ওই রিকশাচালক সাপের বাচ্চাটিকে জংলার মধ্যে ‘পুশব্যাক’ করে বিদায় নেন, সঙ্গে আমিও।
প্রাচীর ঘেঁষে জংলার ভেতরে চোখ গেলে দেখা যায়, সৌন্দর্য বর্ধণের জন্য রোপন করা ফুল ও পাতাবাহার গাছ। দীর্ঘদিনেও পরিচর্যার ছোঁয়া না লাগায় ক্রমশ: সেটি আগাছার ছোট জংলায় পরিণত হয়েছে।
সচিবালয়ের উত্তর অংশের প্রাচীর ঘেঁষেই পূর্বদিকে পুলিশ বক্স। সচিবালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় দপ্তরের প্রাচীর ঘেঁষে প্রতিনিয়ত জলবিয়োগ করছে পথচারিরা, তাও পুলিশের সামনেই!
নিয়মিত যাতায়ত করলেও সাপের ভয় আর দুর্গন্ধে তাই এখন বন্ধ করে দিয়েছি ওই পথে যাওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১২
এআই/সম্পাদনা: আবু হাসান শাহীন, নিউজরুম এডিটর