বিধবা মাহেলা বেওয়ার মোটে ২০ শতক জমি। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ঘেঁষে এই জমির অর্ধেকটাতে বোরো রোপণ করেছেন।
কুড়িগ্রাম শহরের ১০ কিলোমিটার দূরে ধরলা নদীর পারের ছোট এই গ্রামটি স্বাধীনতার পর থেকেই অনুন্নত ও সুবিধাবঞ্চিত। উন্নয়নের কোন ছোঁয়া এখানে এসে পৌঁছেনি। সরকারের সুযোগ সুবিধার ছিটেফোঁটাও মেলে না প্রান্তিক পর্যায়ের এই মানুষগুলোর জীবনে। তাদের জীবনে এই সৌর শক্তি এসেছে এক অবিস্মরণীয় আর্শিবাদ হয়ে। বিনামুল্যে এ ধরনের সুবিধা তাদের কাছে এক অকল্পনীয় বিষয়।
গত ডিসেম্বর মাসে এই গ্রামে মিনি গ্রিড প্যানেলে ১.৭৫ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপন করেছে রবি। আর তারের মাধ্যমে সেই বিদ্যুত সরবরাহ করছে গ্রামটির ঘরগুলোতে। গত ৩ ফেব্র“য়ারি রবির সামাজিক দায়বদ্ধতা বিভাগের উদ্যোগে ‘রবির আলো প্রকল্পের আওতায় গ্রামটিকে আলোকিত করার কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম ২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জাফর আলী। রবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট সেগুফতা ইয়াসমীন সামাদ ও কুড়িগ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই প্রকল্প সমন্ধে রবির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা রবির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের প্রধান ও অন্যতম বিষয়। এদেশে গুণ ও মানসম্পন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়ার পাশাপাশি রবি সবসময়ই বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থার ইতিবাচক উত্তরণের জন্য কাজ করে আসছে। রবির আলো এদেশের দরিদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের অবস্থার উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।
রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট মহিউদ্দিন বাবর জানান, ৫ বছর মেয়াদের এই প্রকল্পের কাঠামো গড়ে তুলতে পরিবেশ সচেতনতা এবং প্রান্তিক পর্যায়ের সুবিধা ও উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ১৫০টি বাড়িতে এই বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হলেও ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে গ্রামটির প্রতিটি ঘরে দুটি লাইট ও একটি মোবাইল চার্জার দেওয়া হয়েছে।
কালুয়ার চর গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক স্কুলে ক্লাশ চলছে স্কুল মাঠে। ‘রবির আলো’তেই আলোকিত হওয়ার চেষ্টা গোটা চর জুড়ে।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১২
এমএমকে