ঢাকা: মোহাম্মদ রফি। কোনো বিশেষণ ছাড়াই যাদের পরিচিতি যুগ যুগে স্বগৌরবে সমুজ্জ্বল তিনি তাদেরই একজন।
ভারতীয় উপমহাদেশের সংগীত জগতের কিংবদন্তী শিল্পী মোহাম্মদ রফি প্রায় চার যুগ তার মোহনীয় সুরের জাদুতে মাতিয়ে রাখেন কোটি ভক্তশ্রোতার মন।
বহুমাত্রিক গুনী এ শিল্পী প্রয়াত হয়েছেন ১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই। মৃত্যুর ৩২ বছর অতিবাহিত হলেও তিনি চিরঞ্জীব কোটি ভক্তের হৃদয়ে। তার অমর কীর্তি কালোত্তীর্ণ সব গান আন্দোলিত করে তনুমনপ্রাণ।
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ঐতিহাসিক অমৃতসরের কোটলা গ্রামের শিশু রফি ওরফে ফিকো মহল্লার এক ফকিরের ভজন শুনে আকৃষ্ট হয় সংগীতের প্রতি। সেই আগ্রহ ক্রমে গভীরতর হয়।
মোহাম্মদ রফি মাত্র ১৩ বছর বয়েসে লাহোরে এক কনসার্টে গান গেয়ে সংগীত শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে তিনি বোম্বে যান। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের ওপর তালিম গ্রহণ করেন, ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলী, জীবনলাল মত্তো, ফিরোজ নিজামী, আব্দুল ওয়াহিদ খান প্রমুখের কাছে।
বহুভাষায় পারদর্শী মোহাম্মদ রফি একাধারে শাস্ত্রী সংগীত, দেশাত্মবোধক, প্রেম-বিরহ, ভজন, গজলসহ বিভিন্ন আঙ্গিকের ২৬ হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। গান গেয়েছেন, হিন্দি, উর্দু, বাংলা, মারাঠি, কোনকানি, সিন্ধী, কানাড়া, গুজরাটি, অহমিয়া প্রভৃতি ভাষায়।
Ôগাও কি গোরীÕ চলচ্চিত্রের জন্য আজি দিল হি কাবু মে তো দিলদার কি এ্যায়সী তাঈসী গানের মাধ্যমে মোহাম্মদ রফি হিন্দি চলচ্চিত্রে প্রথম গান রেকর্ড করেন।
দীর্ঘ সংগীত সাধনার স্বীকৃতি স্বরুপ মোহাম্মদ রফি ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পুরস্কার, ছÕবার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হন।
হৃদরোগের কাছে হার মেনে মাত্র ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন উপমহাদেশের সংগীত জগতের এই বরপুত্র। তার মৃত্যুতে দুÕদিনের রাষ্ট্রীয় ছুটি ঘোষণা করে ভারত সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১২
এআই / সম্পাদনা: প্রভাষ চৌধুরী, নিউজরুম এডিটর