সাতক্ষীরা শহর ঘুরেটুরে এলাম দেবহাটায়। তখন আমার বয়স উনিশ কি বিশ।
ইছামতি নদীর ওপারে চব্বিশ পরগনা জেলার টাকিতে স্বপনের অনেক নিকটাত্মীয় থাকেন। পরদিন গেলাম টাকিতে। তখন ছিল শীতকাল। স্বপনের মামাবাড়ি ওখানে। টিনের ঘর। রাতের আহার শেষে স্বপন ও আমি একত্রে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরদিন প্রাচীন জমিদার বাড়ি দেখবো বলে বের হলাম। স্বপনের মামাতো বোন নীলিমা সেন পড়তো নবম শ্রেণিতে। নীলিমাই আমাদের নিয়ে গেল রাজ বাড়ি দেখাতে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখালো নীলিমা। ওকে দেখতে অনেকটা চিত্র নায়িকা সুচিত্রা সেনের মতোই লাগছিল। যেন ‘শিল্পী’ ছবির নায়িকা।
বিকেলে এলাম ইছামতি নদীতে নৌ-বিহার করার জন্য। নৌকার এক প্রান্তে বসে আছে নীলিমা। অপর প্রান্তে আমি। স্বপনের মামাতো ভাই পনেরো বয়সী স্বপন নৌকা বাইছে....। স্বপন বললো, নীলিমা তুমি তো গান গাইতে জানো তা একটা গান শোনাও তো। নীলিমা গাইতে কী আর চায়।
অনেক অনুরোধের পরে নীলিমা গাইতে শুরু করলোÑ ‘আকাশে রঙ লাগলো নদীতে ঢেউ জাগলো/ নতুন করে দুটি কুসুম একটি শাখায় মঞ্জুরে/ আবার অন্তরে এলোরে/ একটি নদীর দুই কিনারা দুটি বনের পাখি গো/দুটি বনের পাখি/ আজকে তারা মনে মনে বাঁধলো নিলয় রাখী গো/ বাঁধলো মিলন রাখীগো/ আলোর বাঁশি বাজলো আজ এই ধরণী সাজালো/বাঁশি বাজলো/দুটি হিয়া বাঁধলো আবার ভালবাসার কুঞ্জরে/ আবার বসন্ত এলোরে। মালঞ্চে ডাকল কুহু কুহু...।
গানখানি যে আমাকে উদ্দেশ্য করে গাইলো তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এর কয়েকদিন পরে এলাম দেবহাটায়। ঢাকায় ফিরে এসে নীলিমা সেনকে কয়েকটি চিঠি লিখেছিলাম। নীলিমাও উত্তরে যা লিখেছিল তা-তো আজ জীবনের স্মৃতিময়। সেদিন তো চলে গেছে। ভেবে আর কী লাভ!
টাকি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার একটি শহর। এক সময় চব্বিশ পরগনা ছিল একটি জেলা। ১৭৫৭ সালে ২৪ পরগনা নবাবের হাত থেকে ইংরেজদের হাতে চলে যায়। সেই থেকে জেলার নামকরণ হয় চব্বিশ পরগনা। ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ জেলা বিভক্তি হলো। একটি হলো উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা, অপরটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার উত্তরে নদীয়া ও বাংলাদেশ, দক্ষিণে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি পশ্চিমে। পূর্বদিকে বাংলাদেশ। এ জেলার আয়তন ৪ হাজার ০৯৪ বর্গ কি.মি.। জেলা শহর এখন বারাসাতে।
মহকুমা ৫টি, বারাসাত সদর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, বসিরহাট, বিধান নগর। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা দিয়ে বয়ে গেছে- হুগলি, যমুনা, ইছামতি ও কালিন্দী নদী। ২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে জেলার মোট জনসংখ্যা ১ কোটি ৮২ হাজার ৮৫২ জন।
প্রসিদ্ধ শহর ও স্থান পারামদান বন্য প্রাণী প্রকল্প। দক্ষিণেশ্বর, চন্দ্রকেতুগড় এবং সল্ট লেক নিকো পার্ক, সাইন্স সিটি, অ্যাকোয়াটিকা, বিভিন্ন মার্কেট কমপ্লেক্স, টনহাটি, হালিশহর- রাম প্রাসাদের বাসস্থান। পানিহাট, খড়দহের গঙ্গার ধার অতি মনোরম স্থান।
গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন- ব্যারাকপুর, বারাসাত, দক্ষিণেশ্বর, দমদম, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, বিরাটি, মধ্যমনগর, সোদপুর, হাবড়া, নৈহাটি, বরানগর, শ্যামনগর, সোদপুর, টিটাগড়, বনগাঁ।
থানাগুলো হলো- এয়ারপোর্ট, দমদম, আমডাঙ্গা, অশোকনগর, বাদুড়িয়া, বরাহনগর, বারাসাত, দোলতলা, বসিরহাট, বিধানগর (উত্তর), বিধান নগর (দক্ষিণ), বনগাঁ, বাগদা, দেগঙ্গা, গাটঘাটা, ঘোলা, গোপালনগর, হাওড়া, হাড়োয়া, জগদ্দল, খড়দহ, মধ্যম গ্রাম, বনহাটি, মিতা, ব্যারাকপুর, নোয়াপাড়া, রাজারহাট, টিটাগড়, টাকি, ব্যারাকপুর, স্বরূপনগর, সন্দেশখালী, হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ।
বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ইছামতি নদী। এই নদীর ওপারে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জায়গাগুলো হলোÑ বাঁকরা, হিঙ্গলগঞ্জ, মামুদপুর, দুলদুলি, পুকুরিয়া চক, বরুণহাট, পাটলি খানপুর, হরিহরপুর, নিমদারী, টাকিপুর, ধনেখালি, রূপমারী, স্বরূপকাঠি, বন্দরখালি, সন্দেশখালি, হাটগাছা, রামাপুর, মাধবকাঠি।
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার টাকি শহরের অবস্থান ইছামতি নদীর ধারে। নদীর ওপারেই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলা। আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখা টানা হয়েছে। তা সত্ত্বেও এপার থেকে ওপারের চলমান জীবনযাত্রার খন্ড খন্ড ছবি বেশ ভালোভাবেই দৃষ্টিগোচর হয়।
টাকি শহরে রাত্রিবাসের সেরা জায়গাটি হলো টাকি পৌরসভা পরিচালিত অতিথি নিবাস ‘নৃপেন্দ্র অতিথিশালা’। ইছামতির তীরে অবস্থিত এই সুন্দর গেস্ট হাউসে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা বেশ ভালই।
১৯৮২ সালে ওখানে একবার গিয়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করে বারাসাতে চলে গেলাম। এরপর একে একে ঘুরে দেখলামÑ দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির, বরানগর বাজারে শ্রীরামকৃষ্ণ মহাশ্মশান। কলকাতার কাছে হলেও এই দুই প্রসিদ্ধ জায়গা পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।
দক্ষিণেশ্বরে গিয়ে শুনলাম, কাশী চলার পথে স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে কৈবর্তের মেয়ে স্থানবাজারের রানি রাসমণি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫ একর জমির ওপর ১৮৪৭ সালে শুরু করে ১৮৫৫ সালে গড়ে তোলেন এই মন্দির। সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে দক্ষিণেশ্বরের সঙ্গে।
বাসও করতেন রামকৃষ্ণদেব এই মন্দিরের উত্তর-পশ্চিম কোণের একটি ঘরে। দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরে যে দিন গিয়েছিলাম ওইদিন (১৯৮২ সালে) চিত্র নায়িকা সুচিত্রা সেনও এসেছিলেন। দেখলাম, অনেক লোকের ভীড়। সুচিত্রা সেন নামটি শুনে তার অভিনীত ‘পথে হলো দেরি’,‘হারানো সুর’, ‘শিল্পী’, ‘সাগরিকা’ নানা ছবির কথা বারবার মনে পড়ছিল।
ভাবলাম, দেখে যাই না সুচিত্রা সেনকে। ভীড় ঠেলে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখে নিলাম সুচিত্রা সেনকে। কে জানি একজন বললো, বয়স ৫২/৫৩ হলে কী হবে, এখনও তো সুচিত্রাকে নায়িকার মতো মনে হয়। মনে মনে ভাবলাম, ব্যাটাতো ঠিকই বলেছে। সেদিন সিল্কের শাড়ি পরে এসেছিলেন সুচিত্রা সেন। কাছ থেকে এক পলকের দেখা সেকি ভোলা যায়। এখনও যে মনে পড়ে।
বরাহনগর বাজারে শ্রীরামকৃষ্ণ মহাশ্মশানটি দেখে শুধু তাকিয়ে রইলাম। ভাবলাম, মানুষের জীবন তো কিছুই না। আজ আছে কাল নেই। তবে রামকৃষ্ণ সবার কাছে চিরকাল ঘুরে-ফিরে বিচরণ করবেন। ঠাকুর রামকৃষ্ণর নশ্বর দেহ পুতাগ্নিতে বিলীন হয়েছিল এই মহাশ্মশানে।
বরাহনগর বাজার থেকে এলাম মাঠকলের দিকে। পথের পাশে দাঁড়িয়ে আছি সেই মুহূর্তে একজন অচেনা লোক বললেন, আপনি কী পিরোজপুর থেকে এসেছেন? নাম কী খোকন! বললাম, হ্যাঁ।
বুকে জড়িয়ে ধরে বললো- ‘আমি তো অপূর্ব। কী চিনতে পারোনি। স্কুলে তোমার সঙ্গে লেখাপড়া করেছিলাম। চিনতে আর অসুবিধা হলো না। কত কথা, কত স্মৃতি মনে পড়লো সেইক্ষণে। অপূর্ব ওর বাড়ি বেলঘরিয়ায় নিয়ে গেল। ওই রাতে ওখানে ছিলাম। অপূর্ব বললো, উত্তর ব্যারাকপুর গেলে গান্ধীঘাট দেখতে পাবে।
বারাসাতে ফিরে এসে এবার মধ্যমগ্রামে উজ্জ্বলের বাড়িতে উঠলাম। পরদিন সকালে রিকশা নিয়ে বারাসাত শহর দেখে নিলাম। এই শহরে দেখলাম- কাছারী ময়দান, স্টেডিয়াম, সরকারি কলেজ, ইংরেজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বরিশাল কলোনি।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দক্ষিণে দক্ষিণ-২৪ পরগনা জেলা। এই জেলার আয়তন ৯ হাজার ৯৬০ বর্গ কিমি। জেলার সদর দফতর বসেছে কলকাতার কাছেই আলিপুরে। বর্তমানে এই জেলার ডায়মন্ডহারবার মহকুমাকে পৃথক করে একটি পৃথক জেলা গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ জেলাটি প্রেসিডেন্সি বিভাগের অন্তর্গত। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী এ জেলার (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) লোকসংখ্যা ৮ লাখ ১৫ হাজার ৩১৭ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে- হুগলি, রায় মঙ্গল, মাতলা, বিদ্যাধরি নানা নদী।
বঙ্গোপসাগরের মোহনা এই জেলার দক্ষিণে। এর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্যতম আকর্ষণ সুন্দরবন। এছাড়া দর্শনীয় স্থান হলো- গঙ্গা সাগর, ফলটা, নূরপুর, রাইচক, ডায়মন্ড হারবার, বকখালি, মথুরাপুর, জামতলা, নামখানা, রামদেবপুর, কুলপি, মধ্য গুরগুরিয়া, বাসন্তি, আরামপুর, ক্যানিং, সোনারপুর, বাহারু, হরিণডাঙ্গা।
আগেই শুনেছিলাম, এ জেলার আরেক আকর্ষণ কপিলমুনি আশ্রমের কথা। সাগরদ্বীপ হয়েই এসেছিলাম এখানে। সাগরদ্বীপে বাসস্ট্যান্ডের ডাইনে ২ আর ৩নং রাস্তায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের মন্দির। শংকরাচার্যের আশ্রম, কালীমন্দির ছাড়াও যোগেন্দ্র মঠ রয়েছে। এগুলো দেখে এলাম কপিলমুনির মন্দিরে।
মন্দিরটি দেখার সময় জানলাম, কপিলমুনির শাপে ভস্ম হয় সাগর রাজার ষাট হাজার সন্তান। আর সাগরকূলের রাজর্ষি ভগীরথের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে মকরবাহিনী গঙ্গা স্বর্গ ছেড়ে মর্ত্যে নামেন মহাদেবের জটায় ভর করে। আর ভগীরথ পথ চিনিয়ে নিয়ে আসেন গঙ্গাকে এই সাগর দ্বীপে।
গঙ্গার স্পর্শে প্রাণ ফিরে পায় সাগরকূলের সন্তানরা। আর মা গঙ্গা বিলীন হন মহাসঙ্গমের সাগরে। সেই স্মৃতিতে সাগরদ্বীপ হিন্দু মহাতীর্থ।
রাতে ছিলাম যুব আবাসে। সঙ্গে ছিল কৃষ্ণ। সেই কৃষ্ণ যার সঙ্গে আমার এরআগে কোচবিচার, নবদ্বীপ, জলপাইগুঁড়িতে দেখা হয়েছিল।
এবার কৃষ্ণ এবং আমি চললাম সুন্দরবনের দিকে। এই সুন্দরবন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ২ হাজার ৫৪৮ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে। এখানে রয়েছে সুন্দরবন- ব্যাঘ্র প্রকল্প। আর ৫৪টি ছোট বড় ব-দ্বীপ, খাঁড়ি, নদীনালা নিয়ে ৪ হাজার ২৬২ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে সুন্দরবন বনাঞ্চল।
প্রকৃতি এখানে দরজা হলেও সুন্দরবন যেমন ভয়ঙ্কর, তেমনি আকর্ষণীয়। কৃষ্ণ আর আমি সুন্দরবনের পথ ধরে পায়ে হেঁটে চলছি। কেমন জানি ভয় ভয় লাগছে। কৃষ্ণ আমার হাতটা চেপে ধরে বলে- দাদা, ভয় পাবেন না। বাঘ যদি আসে তো দু‘জনে একে অপরকে জড়িয়ে শুয়ে পড়বো। বাঘ খেতে এলে দুজনেই যাবো বাঘের পেটে ...।
কথাগুলো শুনে ভয়ে আঁতকে উঠলাম। এক সময় ভাবছি, ওই বুঝি বাঘ আসছে। ঘণ্টা তিনেক সুন্দরবনে ঘুরেও বাঘ দেখা হলো না। হঠাৎ দেখি কয়েকটি হরিণ। আমাদের দেখেই পালিয়ে গেল।
সুন্দরবনে উঠেছিলাম ফরেস্টের বাংলোতে। আনন্দ করার বেশ মজার জায়গা ডায়মন্ড হারবার- একথা আগেই এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম। কৃষ্ণ আর আমি এলাম ডায়মন্ড হারবারে।
ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে উঠলাম ট্যুরিস্ট লজে। গঙ্গার ধারে অপূর্ব পরিবেশে এই লজে উঠে প্রচন্ড ভালো লেগে গেল। সন্ধ্যা হতে না হতেই গঙ্গার তীরে বসে রইলাম। কৃষ্ণ বললো, একটা বিয়ার আনুন দু’জনে খেয়ে একটু না হয় আনন্দ করি।
কৃষ্ণ যা বলে তাই ভালো লাগে। তাই হোটেল বয়কে ডেকে- এই ছেলে একটা স্ট্রং বিয়ার নিয়ে এসো। বিয়ারে চুমুক দিয়েই কৃষ্ণ বললো, বাহ গঙ্গাতো কত রূপসী, কতই না আদরের দুলালী। কৃষ্ণর কথা শুনে ওর পানেই তাকিয়ে রইলাম। হেসে হেসে কৃষ্ণ বললো, এই মুহূর্তে আপনার কী ভালো লাগছে।
বললাম, চলো ওই গঙ্গায় নৌবিহার করি ...। গঙ্গার বক্ষে দু’জনে নৌকায় বসে আছি। হিমেল ঠান্ডা বাতাসে দু’জনে একে অপরের কাছে এসে বসলাম। কৃষ্ণ গান ধরলোÑ ‘ওগো মায়াবী রাতের এক চাঁদ/ আমি আজ তোমারই মতন/ মনের মাধুরী দিয়ে পেতে চায় মন, পেতে চায় মন/ জানিনি তো কোনদিন ব্যথার কাজল মুছে আঁখিজল/ ভালো লাগা রং দিয়ে সাজায় নয়ন ওগো সাজায় নয়ন/ আমি আজ তোমারই মতন ...। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৩ ঘণ্টা, আগষ্ট ০১, ২০১২
সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
kumar.sarkerbd@gmail.com