ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

‘নয়া ফাঁদ! সাবধান’ ও পাঠকের অভিজ্ঞতা

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২২, আগস্ট ৭, ২০১২
‘নয়া ফাঁদ! সাবধান’ ও পাঠকের অভিজ্ঞতা

গত ৬ আগস্ট বাংলানিউজে আপ হওয়া ‘নয়া ফাঁদ! সাবধান’ শিরোনামের লেখাটি পড়ে অনেকেই প্রতিক্রিয়া তথা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এখানে একজন পাঠক এ সংক্রান্ত নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।

তিনিও চাইছেন সবার সঙ্গে তার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করতে। বাংলইনউজের পাঠকদের জন্য লেখাটি এখানে প্রকাশ করা হলো

৫ বছর আগে বিশ্ব ইজতেমার সময় এই ডলার টাইপের ঘটনা আমার সাথেও ঘটেছিলো। তখন আমি র‌্যাব-পুলিস, কারও কাছ থেকে কোনো হেল্প পাই নাই। বরং পুলিশের গাফলতির জন্য আমি অনেক বড় একটা রিস্ক-এ পড়তে যাচ্ছিলাম।

এই ঘটনাটি আমার সাথে ঘটার পর যখন বুঝতে পারি এটা একটা চক্রের কাজ। তখন আমি বাড্ডা থানাতে গিয়েছিলাম পুলিশের হেল্প নেওয়ার জন্য। আমি ঘটনাটি ডিউটি অফিসারকে বলি। তিনি আমাকে এসআই তানভীএর সাথে দেখা করে জানাতে বলেন।

আমি এসআই তানভীরকে বলি পুরো ঘটনা এবং তাদের (দুর্বৃত্তদের) কথা যেটা আমি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছিলাম সেটাও শোনাই। সব কিছু শোনার পর তিনি একটা প্লান জানান আমাকে। বলেন, পুলিশ সিভিল পোশাকে তাদেরকে হাতে নাতে ধরবে। আমি তাদের কথায় আশ্বস্ত হলাম, রাজি হলাম হেল্প করার জন্য।

আমাকে এসআই তানভির বললেন, তাদেরকে (ডলার বিক্রি করতে) বারিধারার অপজিটে কোকাকোলা (প্রগতি সরনি) নামক জায়গায় ডাকতে এবং তারা আসার আগেই তাকে (এসআই তানভির) কল দিয়ে টাইমটা জানাতে। আমি গ্যাংটাকে জানালাম।

এরপর কথামত টাইমটা জানালাম পুলিশকে। কিন্তু এরপর যখন সময় এলো, তখন এসআই তানভিরকে ফোন করে পেলাম না। ১ ঘণ্টা তার ফোনে ট্রাই করার পরও না পেয়ে র‌্যাবের হেডকোয়ার্টার ফোন দিলাম। সেখান থেকে নাম্বার নিয়ে র‌্যাবের বাড্ডা জোনের ত‍ৎকালীন ইনচার্জ মেজর হায়দারকে ফোন দিলাম।

তাকে সবকিছু খুলে বললাম।

তিনি বললেন, সবাই ইজতেমা নিয়ে ব্যস্ত এই মুহুর্তে কিছু করা পসিবল না, বেটার আপনি সেখানে না জান।

এখন আমার মত পরিস্থিতিতে পড়লে তারা হয়তো বুঝতো কি করা দরকার আর কি না। আমার নাম্বারে দুর্বৃত্তরা সমানে কল দিয়ে যাচ্ছিলো, আমি রিসিভ করি নাই।  

৭ দিন ফোন অফ রাখলাম। ৭ দিন পর তারা আবার কল করলো। আমি বললাম, আমার একটি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ছিলো যার কারণে আমি কিছু করতে পারি নাই। আর এখন আমার ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস চলছে, হাতে টাকা পয়সা নেই।

তারা আমাকে অনেক কনভিন্স করার চেষ্টা করলো, হলাম না।

কথাটা শেয়ার করার উদ্দেশ্য, তখন যদি আমি এসআই তানভীরের কথা মত স্পটে যেতাম আমার সাথে হয়তো কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। পুলিশের এরকম গাফিলতি ঠিক না। একইসঙ্গে হয়তো আমাদের এরকম অ্যাটেম্পট নেওয়াও ঠিক না। কিংবা কোনটা ঠিক হয় তো জানিনা। আপনারা কাহিনীটা (নয়া ফাঁদ! সাবধান!) রিলিজ করেছেন, ভালো লাগলো। এ জন্য ইচ্ছা হলো আমার অভিজ্ঞতাটাও শেয়ার করি।

(লেখকের ইচ্ছানুযায়ী তার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হলো)

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১২
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর; আহ্‌সান কবীর, আউটপুট এডিটর / ahsan.akraza@gmail.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।