ঢাকা: ন্যানো টেকনোলজি শিল্পের সম্ভাবনা যেমন, তেমনি এর বিপদও রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা বলেছেন, এ প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ন্যানো ফাইবার বা সুক্ষ্ণ তন্তু নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে পৌঁছালে ভয়ানক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
গবেষকরা দেখেছেন, এসব ন্যানো ফাইবার আকৃতিতে অনেকটা অ্যাসবেস্টস তন্তুর মতোই। অ্যাসবেস্টসের এসব তন্তু মেজোথেলিওমা’র মতো ফুসফুসের ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
ইঁদুরের ওপর এ গবেষণার ফলাফল বিজ্ঞান সাময়িকী টক্সিকোলজি সায়েন্সেসে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ন্যানো ফাইবার যতো লম্বা হবে তা ততো বিপজ্জনক।
তবে মানুষ এবং ইঁদুরের ফুসফুসের গঠন আলাদা। এরপরও বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ গবেষণার ফলাফল নিরাপদ ন্যানো ফাইবার তৈরিতে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ন্যানো টেকনোলজির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিমানের ডানা থেকে টেনিস র্যাকেট পর্যন্ত নানা পণ্যে অহরহ ন্যানো ফাইবার ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির রেসপিরেটরি টক্সিকোলজির অধ্যাপক কেন ডোনাল্ডসন বলেছেন, ন্যানো টেকনোলজির নতুন ন্যানো ফাইবার আকার-আকৃতিতে অ্যাসবেস্টসের মতো হওয়ায় তা ফুসফুস ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
গবেষণায়, রূপার ন্যানো ফাইবার ইঁদুরের ফুসফুসের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বিজ্ঞানীরা এই উদ্বেগজনক ফলাফল পেয়েছেন।
এসব তন্তু পাঁচ মাইক্রোমিটার (১ মাইক্রোমিটার= ১ মিটারের ১০ লাখ ভাগের এক ভাগ) বা এক মিলিমিটারের পাঁচ হাজার ভাগের এক ভাগের চেয়ে একটু লম্বা ছিল। প্রবেশ করানোর পর দেখা গেছে, এগুলো ফুসফুসে থেকে যায় এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে।
অধ্যাপক ডোনাল্ডসন জানান, অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তন্তু টিউমার (ক্যানসার) সৃষ্টি করে। অবশ্য এখনো কেউ জানে না ঠিক কতোটা ছোট হলে এধরনের ঝুঁকি এড়ানো যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১২
সম্পাদনা: জাহাঙ্গীর আলম, নিউজরুম এডিটর