ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

তরল আতঙ্ক!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৫৩, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১২
তরল আতঙ্ক!

পানীয়ের নাম: নাগা চিলি ভদকা। রাশিয়া নয়, উৎপাদক ব্রিটেনের একটি সংস্থা।

আর পানীয়ের গায়ে সতর্কীকরণ: যদি আপনি সাঙ্ঘাতিক ঝাল এই পানীয় সজ্ঞানে, বিপদের ঝুঁকি নিয়ে এবং নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করতে পারেন, তবেই কিনুন। আর কাউকে এই ভদকা উপহার দিতে হলে, তাকে এর গুণাগুণ সম্পর্কে সাবধান করে দিন।

উৎপাদক বা বিক্রেতা, কোনওভাবেই আপনার ভবিষ্যৎ অবস্থার জন্য দায়ি থাকবে না।

এ হেন পানীয়ের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ওই ‘নাগা’ শব্দেই। নাগাল্যান্ডের বিখ্যাত ঝাল লঙ্কা ‘ভোট জলোকিয়ার’ সঙ্গে জারিত করেই তৈরি হয়েছে এই পানীয়। যার ঝালের শক্তি ২.৫ লাখ স্কোভিল (ঝাল মাপার একক)।

তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ঝালতম লংকার শিরোপা হারিয়েছে ভারতের নাগা লঙ্কা ‘ভোট জলোকিয়া’। বিশ্বের সবচেয়ে ঝাল লঙ্কার মুকুট এখন ত্রিনিদাদের ‘মোরুগা স্করপিওন’ এর শিরে বা বোঁটায়। তবে এর আগে দীর্ঘ সময় বিশ্বের ঝালতম লঙ্কার স্থানটি নাগা-লঙ্কার দখলেই ছিল।

আসাম ও নাগাল্যান্ডে উৎপাদিত ‘ভোট জলোকিয়া’ লঙ্কার ঝালের পরিমাণ ১,০০১,৩০৪ স্কোভিল। কেবল খাদ্য হিসাবে নয়, নাগা ‘ভোট জলোকিয়া’, হাতি তাড়াবার জন্য ঝাল-গ্রেনেড ও বেড়ায় মাখাবার মশলা হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। সেই ভোট জলোকিয়া পচিয়ে, জারিত করে মদ তৈরি হলে তার ঝাঁঝ যে কোথায় পৌঁছবে তা সহজেই অনুমেয়।

যে মাসে নাগা লঙ্কার পদচ্যূতি, সেই ফেব্রুয়ারি মাসেই নাগা লঙ্কা থেকে ভদকা তৈরি হয় ইংল্যান্ডে। সূচনাতেই সুরার জগতে নীরব কিন্তু, ঝাঁঝাল বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে সে। এতই জনপ্রিয় হয়েছে নাগা চিলি ভদকা, যে এই মাসে তার ঝালের মাত্রা আড়াই গুণ বাড়িয়ে দ্বিতীয় ও পরিবর্ধিত সংস্করণ তৈরি করা হল। এই ভদকা ২ অক্টোবর বাজারে ছাড়া হবে। প্রথম পানীয়ের স্কোভিল সূচক ছিল ১ লাখ। আর নয়া সংস্করণের ঝাল সূচক আড়াই লাখ স্কোভিল! আপাতত, সুরার বাজারে নাগা চিলি ভদকার ধারে কাছে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। নিকটতম টক্কর যার সঙ্গে, সেই জালাপেনো মাত্রই ৫০০০ স্কোভিল। জানা গেছে, শুদ্ধ ভদকার সঙ্গে, ১৮ কিলোগ্রাম নাগা লংকা পচিয়ে, মিশিয়ে, ঘুঁটয়ে এক বোতল নাগা চিলি ভদকার জন্ম দিতে হয়।

ইতিমধ্যেই সুরা বিশেষজ্ঞ ও শখের পানীয়-স্বাদ সংগ্রাহকরা এই ভদকা চেখে দেখেছেন। সকলেরই এক মত। এ শুধু পানীয় নয়।

তরল আতঙ্ক! মানুষ মেরে ফেলার পক্ষে যথেষ্ট!

তার পরেও মানুষ এটা চেখে দেখছে কষ্টের কড়ি বিসর্জন দিয়ে। যেমন লা-জওয়াব নাগা চিলি ভদকা তেমনি বেমিশাল এই দু’পেয়েরা!

সৌজন্য: দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২
অমিয় দত্ত ভৌমিক / একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।