ঢাকা, সোমবার, ৯ ভাদ্র ১৪৩২, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

ফিচার

ইরানের নৌ মহড়া: শক্তি, প্রযুক্তি ও কৌশলের সমন্বিত প্রদর্শনী

আশরাফুর রহমান, তেহরান থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৯, আগস্ট ২৪, ২০২৫
ইরানের নৌ মহড়া: শক্তি, প্রযুক্তি ও কৌশলের সমন্বিত প্রদর্শনী

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের নৌবাহিনী ২১ ও ২২ আগস্ট ‘ইক্তেদার-১৪০৪’ বা ‘টেকসই শক্তিমত্তা-২০২৫’ নামে এক আভিজাত্যপূর্ণ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন মহড়া আয়োজন করেছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তর ভারত মহাসাগর ও ওমান সাগরে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় ইরান তার ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতা, দেশীয় প্রযুক্তি ও সমন্বিত কৌশল প্রদর্শন করেছে।

সমন্বিত মহড়ায় নৌবাহিনীর ক্ষমতার প্রদর্শন

মহড়ায় অংশ নেয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, বিমান, উপকূলীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যাটারি এবং বিশেষায়িত জঙ্গল যুদ্ধ ইউনিট। প্রতিটি ইউনিট একে অপরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে অত্যাধুনিক কৌশল অনুসারে লক্ষ্য অর্জন করেছে।

এই মহড়ায় মোতায়েন করা হয় নানা ধরনের দেশীয়ভাবে উৎপাদিত উন্নত অস্ত্রশস্ত্র, যার মধ্যে ছিল স্বল্প-পাল্লার নাসর, মধ্যপাল্লার কাদর, দীর্ঘপাল্লার জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র গাদির এবং ‘বভার-৫’ আত্মঘাতী ড্রোন। প্রতিটি সমরাস্ত্রই নিজ নিজ লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানে, যা প্রতিপক্ষকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।


রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্বাস হাসানি

মহড়ার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্বাস হাসানি বলেন, এ মহড়ায় ব্যবহৃত প্রতিটি অস্ত্র, কৌশলগত ব্যবস্থা এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে ইরানের জাতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পে নকশা ও উৎপাদিত। এটি দেশের আত্মনির্ভরশীলতা ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রতিফলন।

মহড়াটি জটিল বাস্তবসম্মত যুদ্ধ পরিস্থিতি অনুকরণ করে সাজানো হয়েছিল। এতে ড্রোনের আক্রমণ ব্যর্থ করতে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ব্যবস্থা প্রদর্শিত হয়। একই সঙ্গে আত্মঘাতী মিশনে ড্রোন ব্যবহার করে নৌ-লক্ষ্যবস্তু নিখুঁতভাবে ধ্বংস করা হয়। এটি ইরানের বহুমাত্রিক প্রতিরক্ষা ও আক্রমণাত্মক কৌশলের প্রমাণ।

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের অস্থির নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মহড়াটি প্রতিপক্ষকে একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। আর তা হলো, ইরানের বিরুদ্ধে নতুন কোনো আগ্রাসন হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। যে অঞ্চলে মহড়া পরিচালিত হয়েছে, তা বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র করিডোর। এভাবে ইরান আবারও দেখাল যে, এসব আন্তর্জাতিক জলপথে নিরাপত্তার অন্যতম প্রধান রক্ষক সে-ই।

রিয়ার অ্যাডমিরাল আব্বাস হাসানি আরও জানান, মহড়ার মূল লক্ষ্য ছিল— নৌবাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতি বৃদ্ধি, জাতীয় মনোবল শক্তিশালী করা, জটিল যুদ্ধ পরিচালনা ও কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল ব্যবস্থার দক্ষতা শাণিত করা এবং একটি অপ্রতিরোধ্য প্রতিরোধ ঢাল গড়ে তোলা, যা সবই সম্ভব হয়েছে দেশীয় বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের দক্ষতার মাধ্যমে।


মহড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের একটি দৃশ্য

কী ধরনের মহড়া পরিচালিত হয়?

সহায়ক জাহাজ ‘গানাভেহ’ এবং ফ্রিগেট ‘সাবালান’ লাইভ-ফায়ার মহড়ায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা রাখে। এরা একযোগে ‘নাসর’ ও ‘কাদির’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে একটি জাহাজ ধ্বংস করে। একই সময়ে উপকূল থেকে ‘কাদর’ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে, যা ইরানের বহুমাত্রিক সমন্বিত আঘাত পরিচালনার সক্ষমতা তুলে ধরে।

প্রযুক্তিগত দিক থেকে ‘কাদর’ হলো মধ্য-পাল্লার স্টেলথ অ্যান্টি-শিপ মিসাইল, ‘গাদির’ তার দীর্ঘ-পাল্লার রাডার-এভেডিং সংস্করণ আর ‘নাসর’ হলো শক্তিশালী স্বল্প-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। একটি বিশেষ প্রদর্শনীতে ‘বভার-৫’ লোটারিং মিউনিশন নৌযান থেকে নিক্ষেপ করা হয়। এটি ৪০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার লক্ষ্য সনাক্ত ও ধ্বংস করে। ফলে উপকূলীয় ও নৌ-লক্ষ্যে তার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়।

নাসর: স্বল্প-পাল্লার অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র

নাসর (বিজয়) হলো, ইরান উদ্ভাবিত স্বল্প-পাল্লার জাহাজবিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, যা পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালীর মতো কৌশলগত পানিসীমায় নৌসম্পদ রক্ষার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) নৌবাহিনী ২০০৮ সালে প্রথমবার এটি উন্মোচন করে। এটি মূলত চীনা ‘সি-৭০৪’ ক্ষেপণাস্ত্রের দেশীয় সংস্করণ।


নাসর: স্বল্প-পাল্লার অ্যান্টি-শিপ ক্ষেপণাস্ত্র

নাসরের পাল্লা ৩৫–১২০ কিলোমিটার এবং এতে ১৫০–২০০ কেজির উচ্চ-বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন ক্ষমতা রয়েছে। এটি সাবসনিক গতিতে (ম্যাক ০.৯) চলে এবং নির্দেশনা ব্যবস্থায় মধ্যপথে ইনারশিয়াল ন্যাভিগেশন ও টার্মিনালে সক্রিয় রাডার হোমিং অন্তর্ভুক্ত। উপকূলীয় ব্যাটারি, দ্রুতগামী আক্রমণ নৌকা এবং হেলিকপ্টার থেকে নাসর মোতায়েন করা যায়। এটি ছোট ও মাঝারি আকারের জাহাজ ধ্বংসে সক্ষম এবং ২০১৫ সালের ‘শ্রেষ্ঠনবী-৯’ নামের মহড়ায় একযোগে ব্যবহারের মাধ্যমে ইরানের অসম যুদ্ধ কৌশলে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রমাণ করেছে।

কাদর: মধ্য-পাল্লার স্টেলথ ক্রুজ মিসাইল

কাদর হলো মধ্য-পাল্লার অ্যান্টি-শিপ ক্রুজ মিসাইল, যা ২০১১ সালের আগস্টে উন্মোচিত হয়। এটি নাসরের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। চীনা ‘সি-৮০২’ থেকে উদ্ভুত হলেও এটি সম্পূর্ণরূপে দেশীয়করণ করা হয়েছে। কাদরের পাল্লা সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার এবং এতে ৪০০–৪৫০ কেজির উচ্চ-বিস্ফোরক ওয়ারহেড রয়েছে। সাবসনিক গতিতে (ম্যাক ০.৯) চলা কাদর ইনারশিয়াল ন্যাভিগেশন, সক্রিয় রাডার সিকার এবং জিপিএস সংশোধন ব্যবহার করে লক্ষ্যভেদ নিশ্চিত করে। এটি মোতায়েন করা যায় মোবাইল উপকূল ব্যাটারি, জাহাজ এবং সম্ভাব্য এয়ারবোর্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে। ইরানি কর্মকর্তাদের মতে, কাদর তাদের নৌবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র, যা পারস্য উপসাগর ছাড়িয়ে আরও দূরবর্তী অঞ্চলে শত্রু চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা দেয়।


মধ্য-পাল্লার স্টেলথ ক্রুজ মিসাইল ‘কাদর’

গাদির: দীর্ঘ-পাল্লার অ্যান্টি-শিপ মিসাইল

গাদির ২০২০ সালে উন্মোচিত হয় এবং নাসরের উন্নত সংস্করণ হিসেবে ইরানের নৌ-আক্রমণ সক্ষমতায় নতুন অধ্যায় যোগ করে। গাদিরের পাল্লা সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার এবং ওয়ারহেডের ওজন ৪০০–৫০০ কেজি। সাবসনিক গতিতে (ম্যাক ০.৮৫–০.৯) চলা এই ক্ষেপণাস্ত্র স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন ও টার্মিনাল সক্রিয় রাডার হোমিং ব্যবহারের মাধ্যমে নিখুঁত আঘাত নিশ্চিত করে। স্টেলথ বডি ও কম রাডার-ক্রস সেকশনের কারণে এটি সহজে ধরা পড়ে না। গাদির উপকূলীয় লঞ্চার, পৃষ্ঠজাহাজ এবং সাবমেরিন (যেমন ফাতেহ-শ্রেণি) থেকে মোতায়েনযোগ্য। ২০২০ সালে ‘শ্রেষ্ঠনবী-১৪’ নামের মহড়ায় কাদিরের সফল পরীক্ষা- পারস্য উপসাগরের বাইরে ইরানের প্রতিরোধ বলয়কে বিস্তৃত করেছে।


জাহাজবিধ্বংসী দীর্ঘ-পাল্লার ক্রুজ মিসাইল ‘গাদির’

বভার-৫ ড্রোন: বহু-ভূমিকাধারী আক্রমণ ও নজরদারি

বভার-৫ (অর্থ: বিশ্বাস) হলো একটি বহু-ভূমিকাধারী ড্রোন, যা আইআরজিসি এয়ারোস্পেস ফোর্স নজরদারি, গোয়েন্দা ও আক্রমণাত্মক মিশনের জন্য তৈরি করেছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে উন্মোচিত এই ড্রোনটির পাল্লা সর্বোচ্চ ১,৫০০ কিলোমিটার এবং এটি ১২–১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত আকাশে টিকে থাকতে সক্ষম। ১৫০ কেজি পর্যন্ত পেলোড বহনযোগ্য ‘বভার-৫ ড্রোন’ স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশন এবং ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ও ইনফ্রারেড সেন্সর ব্যবহার করে লক্ষ্য সনাক্তকরণ ও আঘাত নিশ্চিত করে। ঘণ্টায় ২০০–২৫০ কিলোমিটার গতিতে উড়ে এবং সর্বোচ্চ ৬,০০০ মিটার উচ্চতায় অপারেশন সম্পন্ন করতে সক্ষম এই ড্রোনটি ইরানের অসম যুদ্ধ সক্ষমতা ও কৌশলগত প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। ২০২৫ সালের শুরুর দিকে অনুমান করা হয় যে, ৫০–১০০ ইউনিট সক্রিয় সেবায় যুক্ত রয়েছে।
 
নৌমহড়ায় ‘বভার ৫’ ড্রোন সফলভাবে তার লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছে

মহড়ার সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্ত

মহড়ার মূল আকর্ষণ ছিল—নাসর, কাদর, গাদির ও বভার-৫ ড্রোন একযোগে একই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত। এটি প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের প্রমাণই নয়, বরং অঞ্চলে অবস্থানরত বহিরাগত শক্তিগুলোর জন্য সরাসরি সতর্কবার্তা।

সহায়ক জাহাজ ‘গানাভেহ’ ও ফ্রিগেট ‘সাবালান’ লাইভ-ফায়ার মহড়ায় অংশ নিয়ে একযোগে নাসর ও কাদির ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে। একই সময়ে উপকূল থেকে কাদর ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে, যা ইরানের বহুমাত্রিক সমন্বিত আঘাত পরিচালনার ক্ষমতা প্রমাণ করে।

সেনাপ্রধান ও আইআরজিসি কমান্ডারের বক্তব্য 

ভারত মহাসাগর ও ওমান সাগরে নৌবাহিনীর দু’দিনব্যাপী মহড়া শেষে ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামি ঘোষণা করেছেন, তার বাহিনী যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পূর্বের তুলনায় আরও ‘বিধ্বংসী’ প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ১৯৮০-৮৮ সালের ইরাকি যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক মার্কিন-ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় ইরান তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতার শিখরে পৌঁছেছে, যা দেশের জনগণ ও দেশীয় প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল।


ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল আমির হাতামি

আমির হাতামি বলেন, “১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধ প্রমাণ করেছে যে জাতীয় ঐক্য ও সংহতির কৌশল—ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলি খামেনেয়ির প্রজ্ঞাপূর্ণ দিকনির্দেশনা, সশস্ত্র বাহিনীর আত্মত্যাগ এবং সর্বোপরি ইসলামি ইরানের প্রিয় জনগণের দূরদর্শী ও সচেতন প্রতিরোধ—আমাদের দেশকে অশুভ জোটের বিরুদ্ধে বিজয়ে পৌঁছে দিয়েছে এবং শত্রুর দুষ্ট উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে দিয়েছে। ”

আইআরজিসি কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ পাকপুরও আত্মনির্ভরতা ও সর্বাত্মক শক্তি গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইরানের প্রতিরক্ষা খাতের অর্জনগুলোকে প্রশংসা করে পাকপুর বলেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষা শিল্পের মহান ও গৌরবোজ্জ্বল সাফল্য এসেছে ঈমান, আত্মবিশ্বাস, উদ্ভাবন এবং বিপ্লবী যুবসমাজের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ। সর্বোচ্চ নেতার দিকনির্দেশনায় এই প্রচেষ্টাগুলো আমাদের দেশকে প্রতিরক্ষাগত স্বাধীনতা ও শক্তির পথে পরিচালিত করেছে। আজ এই সক্ষমতার ওপর নির্ভর করেই ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিরোধ ক্ষমতার শিখরে অবস্থান করছে। ”

সাম্প্রতিক ১২ দিনের মার্কিন-ইসরায়েলি যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে পাকপুর বলেন, “এই পবিত্র প্রতিরক্ষা অভিজ্ঞতা আবারও প্রমাণ করেছে যে সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা শক্তি গঠন এবং দেশীয় সক্ষমতার ওপর নির্ভরশীলতা শত্রুদের অশুভ উদ্দেশ্য ব্যর্থ করে এবং তাদের নতুন উসকানি থেকে বিরত রাখে। ”

শত্রুদের উদ্দেশে পাকপুর সতর্ক করে বলেন, “ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনী মহামান্য নেতা ও সর্বাধিনায়কের দিকনির্দেশনায় সতর্ক এবং সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে দেশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য। শত্রুর যেকোনো ভুল হিসাবের জবাব হবে দৃঢ়, দ্রুত এবং অনুতাপজনক। ”

নৌমহড়ার বার্তা

ভারত মহাসাগর ও ওমান সাগরে মহড়া শেষে ইরানের কমান্ডাররা স্পষ্ট করে বলেছেন, শত্রুর যেকোনো আগ্রাসনের জবাব হবে বিধ্বংসী, দ্রুত এবং নিশ্চিত। আইআরজিসি এবং নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা দেশীয় প্রযুক্তি, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর অবদানের মাধ্যমে অর্জিত এই সক্ষমতাকে দেশের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক প্রতিরোধ শক্তির চূড়ান্ত প্রতীক হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। এই মহড়া স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনী সর্বদা সতর্ক, প্রস্তুত এবং দেশের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।