ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

পুরুলিয়ার রূপের তুলনা নেই

লিয়াকত হোসেন খোকন, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩১, ডিসেম্বর ২৬, ২০১২
পুরুলিয়ার রূপের তুলনা নেই

ঢাকা : পশ্চিম বাংলার একদম পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া। পুরুলিয়া জেলার পশ্চিমে-উত্তরে আর দক্ষিণে ঝাড়খণ্ড রাজ্য।

আর পূর্বে বাঁকুড়া জেলা।   আগেই জানতাম-  পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের নানা আকর্ষণের কথা। গ্রীষ্মকাল ও ঘোর বর্ষা ছাড়া বছরের বাকি সময় বেড়ানোর উপযুক্ত সময় এই অযোধ্যা পাহাড়।

এখানে রুক্ষ সমতল ছাড়িয়ে উঠেছে জঙ্গলে ঢাকা পাহাড়। হাজার দুয়েক ফুট উচ্চতা। তাই সমতলে যখন হালকা গরম, অযোধ্যা পাহাড়ের মাথায় তখন মনোরম আবহাওয়া। জঙ্গলে হাতি, ভল্লুক, হরিণ ও জংলী শূকরের বাস- তবে শিকার ও জঙ্গল ধ্বংসের ফলে তাদের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

পাহাড় ঘিরে ছোট-বড় টিলা, নানা সময়ে সেখানে চলে শৈলারোহণ প্রশিক্ষণ শিবির। অযোধ্যা পাহাড় ঘিরে আদিবাসী গ্রাম। তাদের জীবনধারা ও সামাজিক উৎসব প্রত্যক্ষ করার সুযোগ মেলে এখানে এলে। পাহাড়ের নিচে চড়িদা গ্রামে ছৌ-নৃত্যশিল্পীদের বসবাস।

ছৌ নাচ, মুখোশ তৈরি, শিল্পীদের জীবনযাত্রা সম্পর্কেও বিশদভাবে জানা যায়। ইচ্ছে হলে মুখোশ কিনে বাড়ি সাজাবার জন্য নিয়েও আসা যায়। ট্রেক করে পাহাড়ে যাওয়া যায় আজকাল। কিংবা পুরুলিয়া শহর থেকে সরাসরি বাসেও যাওয়া যায় পাহাড়ের মাথায়।

কলকাতা থেকে হাওড়া-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জারে গিয়ে বলরামপুর নেমে কিংবা রাঁচি-হাতিয়া এক্সপ্রেসে সুইস নেমে বাসে বা জিপে পৌঁছতে হয় বাগমুন্ডি। বাগমুন্ডি ১ কিলোমিটার আগে অযোধ্যা মোড়। সেখান থেকে পাহাড়ে ওঠার হাঁটাপথ শুরু। ১৪ কিলোমিটার রাস্তা, প্রায় সবটাই এসেছে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে।

জঙ্গল এসে হঠাৎ শেষ হয় এক বিশাল মাঠের ধারে। অযোধ্যা পাহাড়ের মাথাটি সমতল। এখানে মাঠ পেরিয়ে লোকালয়। সংখ্যায় কম হলেও বাগমুন্ডি থেকে জিপ ভাড়া করেও অযোধ্যা পাহাড়ের মাথায় পৌঁছানো যায়।

কলকাতা থেকে ট্রেনে কিংবা বাসে পুরুলিয়া পৌঁছেও অযোধ্যা পাহাড়ে যাওয়া যায়। পুরুলিয়া থেকে সিরকাবাদ হয়ে বাস যাচ্ছে পাহাড়ের মাথায়।

হাওড়া থেকে ট্রেনে উঠে এলাম পুরুলিয়ায়। পৌঁছুতে সময় লাগলো প্রায় ৭ ঘণ্টা। পুরুলিয়া থেকে জিপে গেলাম অযোধ্যা পাহাড়ে। ওখানে গিয়ে উঠলাম রাজ্য পর্যটন দফতরের ট্যুরিস্ট লজে। সঙ্গে ছিল বন্ধু ফাহিম।

পুরুলিয়া জেলার মহকুমা ৩টি। পুরুলিয়া সদর পূর্ব, পুরুলিয়া সদর পশ্চিম এবং রঘুনাথপুর। জেলা সদর বসেছে পুরুলিয়ায়।

২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে এই জেলায় মোট জনসংখ্যা ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৬৫ জন। মোট আয়তন ৬ হাজার ২৫৯ বর্গ কিমি‍ঃ। এখানকার জমি উঁচু-নিচু, মাটিতে কাঁকর বেশি। পাহাড় দেখা যায়, এদের মেধ্য অযোধ্যা, গজবুরু, বাঘমুণ্ডি ও পাকেং পাহাড় বিখ্যাত।

এখানে অনেক জায়গায় বনাঞ্চল আছে। দ্বারকেশ্বর, কাঁসাই, দামোদর, কুনারী, সুবর্ণরেখা ও শিলাই এখানকার প্রধান নদ-নদী। পুরুলিয়ায় বৃষ্টিপাত কম, জমি চাষের পক্ষে বিশেষ অনুকূল নয়। প্রধান ফসল ধান। কিছু পরিমাণ ভুট্টা ও গম হয়।

বন থেকে মধু, কয়লা, আকরিক লোহা, কিছু খনিজদ্রব্য পাওয়া যায়। বেলগুমা এলাকায় পশু পালন হয়। প্রধান বন্য দ্রব্য জ্বালানি কাঠ ও কেন্দুপাতা। এই জেলায় কুসুম, শাল, কুল, পলাশ ইত্যাদি লাক্ষাকীট পালন করে জমাট লাক্ষা পাওয়া যায়।

লাক্ষা থেকে গালা তৈরির অনেক কারখানা আছে। সাঁওতালডিহি থার্মাল পাওয়ার স্টেশন হওয়ার পর অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে ও নানা প্রকার শিল্পাঞ্চল বেড়েছে। বলরামপুর, ঝালদা প্রভৃতি জায়গায় গালার কারখানা আছে।

রঘুনাথপুর তসর শিল্পের জন্য বিখ্যাত। পুরুলিয়া জেলার প্রসিদ্ধ স্থান পুরুলিয়া মহকুমা আর জেলার সদর, ব্যবসা-বাণিজ্য আর ভালো জল-হাওয়ার জন্য বিখ্যাত। এখানের আদ্রা একটা বড় রেল জংশন।

দেউলি, গড় পঞ্চকোট, সাঁওতালডিহি, অযোধ্যা পাহাড় প্রভৃতি দর্শনীয় স্থান। জেলার থানাগুলো হলো- আরসা, বলরামপুর, বাঘমুক্তি, বরো, থানা মানবাজার, পুঞ্চা, পুরুলিয়া (গ্রাম), পুরুলিয়া (শহর), সাঁওতালডিহি, রঘুনাথপুর।

ট্যুরিস্ট লজ আছে বেশ কয়েকটি। যেমন- পুরুলিয়া কমলালয়, সাঁওতাল ডিগি গেস্ট হাউস, হোস্টেল রাজহংস, ইয়ুথ হোটেল পুরুলিয়া, সার্কিট হাউস পুরুলিয়া (নিউ), সার্কিট হাউস পুরুলিয়া (ওল্ড)।

পুরুলিয়া জেলার সুন্দর জায়গাগুলো হলো- কাশিদিহি, কালিমাটি, দেউলি, বীরগ্রাম, সিন্দ্রী, মাঠা, রাঙ্গামাটি, ধান-চাটানি, সীতারামপুর, মহারাজনগর, ফুফুনদি, হরিপুরপুর, বোগালমারি প্রভৃতি।

ট্যুরিস্ট লজের ছাদে উঠে, এলাম আমি ও ফাহিম। দু’নয়ন ভরে দেখে যাচ্ছি চারদিকের নানারকম দৃশ্য। দেখে অভিভূত না হয়ে কী পারা যায়। সে অপূর্ব দৃশ্যে মাতোয়ারা হলাম দু’জনে।

ওইদিন বিকেলে আমরা এলাম বামনি ঝরণার কাছে। দেখলাম, পাহাড়ি ঢালে ধাক্কা খেয়ে নামছে জলের ধারা। ওয়াচ টাওয়ারও আছে এখানে। পাথুরে ধাপ বেয়ে ঝরণার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কয়েকটি ছেলে।

আমরাও সেদিকে পা বাড়ালাম। ওদের সঙ্গে পরিচয় হলো। জানতে পারলাম, এরপরে ওরা যাবে তুর্গা বাঁধ ও তুন্দ্রা জলপ্রপাত দেখতে। আমরাও ওদের সঙ্গে সেই পথে চললাম।

ওদেরই একজন আমাদেরকে বললো, পাহাড়ে ওঠা বা নামার পথে বলরামপুরে ও বাগমুন্ডির মধ্যবতী মাঠাতে এক রাত কাটাতে মন্দ লাগবে না। মাঠা অঞ্চলের ছোট বড় টিলাগুলো শৈলারোহণ প্রশিক্ষণের জন্য জনপ্রিয়। মাঠা বা বাগমুন্ডিতে গিয়ে দেখে নিতে পারেন পাখি পাহাড়।


রাতের বেলা অযোধ্যা পাহাড়ের ট্যুরিস্ট লজে থাকতে কেমন জানি ভয় ভয় লাগছিল। রাত যতই বাড়ছে ততোই জানি থমথম করছিল সর্বত্র। মাঝে মধ্যে বিকট আওয়াজ কানে ভেসে আসতেই ফাহিম আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল  ‘পাহাড়ে রাতে থেকে কী ভুল করলাম। ’

ভয়ে ভয়ে রাতটা কোনোভাবে পার করলাম। তেমন একটা ঘুমই হলো না। ফাহিমই বললো, চলুন পুরুলিয়া শহরে গিয়ে থাকি। ফিরে এলাম পুরুলিয়ায়। এবার উঠলাম ইয়ুথ হোটেলে। ওখানেই ছিল খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। খেয়েদেয়ে বিছানায় কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে এবার বের হলাম পুরুলিয়া শহর দেখতে।

ওখানে গিয়েই শুনলাম, পুরুলিয়া শহরের সাহেব বাঁধ অর্থাৎ ১৮৪৩ সালে শুরু হয়ে ১৮৪৮ সালে শেষ করা হয়। এখানে আশ্রয় নিয়েছে এখন হাজারো পাখি। পুরুলিয়া শহরটা নির্জন নিরিবিলি মনে হলো। বসে আছি ওখানের এক পার্কে। ফাহিম বললো, চলুন কালকে কোথাও থেকে ঘুরে আসি।

এবার চললাম দুয়ারসিনির দিকে। এই জায়গাটি পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানে অবস্থিত। ওখানে ঝাড়খন্ড রাজ্যের সীমানায় রয়েছে সাতগুডুং নদী। আর ওপারে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলা।

এখানে সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ছোট মালভূমির মাঝে শাল, পিয়াল আর মহুয়া গাছের ছায়ায়, পাহাড়ের পাদদেশে পরপর তিনটে ধানগোলার আকৃতির থাকার ঘর। জমি থেকে সিঁড়ি উঠে গেছে ঘরের দরজায়।

এখানে এসে মনে হলো- দুয়ারসিনি সাধারণ বেড়ানোর জায়গা নয়। প্রকৃত অর্থেই পরিবেশ-পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেই। খাবার দাবারের ভার দুয়ারসিনির আসানপানি গ্রামের স্থানীয় বনসুরক্ষা বাহিনীর হাতে।

দেড় কিলোমিটার পশ্চিমে ষাট-সত্তর ঘরের বসতি। বন উন্নয়ন নিগমের ইকো ট্যুরিজম সেন্টারও রয়েছে এখানে। ইকো ট্যুরিজমে একটা সিট পেলাম। সেখানে ফাহিম ও আমি উঠলাম। ভাবলাম, এক-দু’রাত থাকবো যতোই কষ্ট হোক দু’জনে থাকলে তো বেশ ভালোই লাগবে। এখানে উঠে দেখলাম, বিজলি বাতি নেই। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত জেনারেটর চলে।

সন্ধ্যা বেলায় দুয়ারসিনির প্রাঙ্গণ মেতে ওঠে দুলদুল, বসন্তবৌরী, কাঠঠোকরা, টিয়া, টুনটুনি, ময়নাসহ বিভিন্ন পাখির কলকাকলীতে। শাল, কেন্দু, পিয়াল, মহুয়া গাছ তো আছেই।

আরও আছে প্ল্যানটেশনের ইউক্যালিপটাস আর আকাশমণিদের সঙ্গে কুসুম, পিয়াল, পলাশ, নিম, জাম, হরীতকী, আমলা, বয়রা। ভল্লুক, নেকড়ে, বন্য শূকর, হাতিও আছে এখানের জঙ্গলে। ধান পাকলে দলমা থেকে নেমে আসে হাতির পাল। দাপিয়ে বেড়ায় অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত।

আর আছে বন-মোরগ, ময়ূর, নানা প্রজাতির পাখি। সেদিন ছিল শনিবার। ওখানের এক বাসিন্দা বললেন, এক মাইলও যেতে হবে না এর আগে দেখবেন একটি হাট। বড্ড ভালো লাগবে। ওখানে কত না পসরা নিয়ে বসে আছে বিক্রেতারা। এদের অধিকাংশই মহিলা।  


হাটের একদিকে নির্জন জায়গায় গিয়ে দেখলাম, একটি ভাস্কর্য। ফাহিম আর আমি বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখছিলাম। ওখানেই পরিচয় হলো এক বৃদ্ধের সঙ্গে। তার মুখেই শুনলাম, এটি চিত্রার ভাস্কর্য। স্বামীর সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিল না ঠিক তখনি স্বামী প্রশান্ত চলে আসে দুয়ারসিনির অরণ্যে।

অরণ্যের এক কোণে একটি সরাইখানা। সরাইখানার মালিক পাহাড়ি ও তার সঙ্গিনী ঝরণা। এই সরাইখানায় আসে তুলার কুলীরা। আর তাদের সঙ্গে আসে তাদের অত্যাচারী সর্দার ...। পাহাড়ির সরাইখানায় এক সময় প্রশান্ত এসে বাসা বাঁধে।

সঙ্গে তার পিস্তল, বন্দুক আর একটি প্রকাণ্ড দাঁতালো হাতি। প্রশান্তর সঙ্গে সর্দারের ঝগড়া বাঁধে, সেই নিয়ে সর্দারের প্রচণাড আক্রোশ। প্রধান কারণ ছিল, একবার তুলার কুলীদের সামনে সে সর্দারকে ভারী অপমান করেছিল।

একদিন সর্দারের সঙ্গে প্রশান্তর দেখা হয় সরাইখানায়। প্রশান্তর কাছে যেদিন সে অপমাণিত হয় সেদিন প্রশান্তর পকেট থেকে অলক্ষ্যে পড়ে গিয়েছিল চিত্রার একখানা ফটোগ্রাফ।      

প্রশান্তর গুলিতে আহত হয়ে সর্দার পালায়। অরণ্যের ক্যাম্পে শহর থেকে চিত্রা তাঁর বাবার সঙ্গে বেড়াতে আসে। সঙ্গে চিত্রার বাবার ফার্মের ৮-১০ জন কর্মচারীও ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল অরণ্য দেখা।

সর্দার ক্যাম্পে যায় ... সেখানে গিয়ে চিত্রাকে দেখে চিনতে পারে। কেননা, প্রশান্তর কাছে সে তার ছবি দেখেছে। রাতের অন্ধকারে চিত্রাকে হরণ করে সে ...।

সরাইখানার বাইরে কোলাহল শোনা যায়- পাহাড়ি ও প্রশান্ত বাইরে বের হয়ে আসে। চিত্রার বাবা ধমক দিয়ে বলেন- ‘চিত্রা কোথায়?’ প্রশান্ত বললো- আমি জানতুম সর্দার প্রতিশোধ নেবে ... কিন্তু ও মস্ত একটা ভুল করেছে ...।

প্রশান্ত পিস্তল নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে ছুটে বের হয়ে যায়। একটি রুমে ঢুকেই দেখে চিত্রার মুখ হাত বাঁধা। সেখানে প্রশান্তর পিস্তলের গুলিতে সর্দারের অনুচরেরা একে একে প্রাণ দেয়। সর্দার একটি ছোরা টেনে নেয়- সর্দারের লক্ষ্য অব্যর্থ-ছোরাখানি প্রশান্তর গায়ে এসে বেঁধে।

সর্দারও প্রশান্তরগুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। চিত্রা এ অবস্থা দেখে জ্ঞান হারায়। প্রশান্ত আর চিত্রার হলো সহমরণ ...। সেই চিত্রার স্মরণে এই ভাস্কর্যটি।

বৃদ্ধের কথাগুলো শুনে মনে হলো, এ যেনো কোনো সিনেমার কাহিনী। দুয়ারসিনি দেখা শেষ করে ফিরে এলাম পুরুলিয়ায় ...।

বাংলাদেশ সময় : ১৮২৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১২
সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।