ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

মনোমুগ্ধকর চুম্বনে রোগ ছড়ায়!

অমিয় দত্ত ভৌমিক, ওয়েব এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৫, জানুয়ারি ৩, ২০১৩
মনোমুগ্ধকর চুম্বনে রোগ ছড়ায়!

ঢাকা: চুম্বন হচ্ছে প্রেমের মহান প্রকাশ। এর মিষ্টি ছোঁয়া প্রেমের মাত্রাকে দ্বিগুণ করে তোলে।

অথচ গবেষকরা দিচ্ছেন মন খারাপ করে। তারা বলছেন, গভীর বা মনোমুগ্ধকর চুম্বন থেকে ভাইরাস জনিত রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। যাকে ‘mono’ বা ‘চুম্বন রোগ’ বলে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৪৬ জন গবেষকের কলেজ পড়ুয়া ও প্রবীণদের মধ্যে পরিচালিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

‘চুম্বন রোগ’ এর লক্ষণগুলো হচ্ছে- স্বরভঙ্গ, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, জ্বর, খাবারে অনীহা, এবং টনসিল ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। ‘My Health News Daily’র রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কারো কারো ক্ষেত্রে কোনো লক্ষণ ছাড়াই এ রোগ প্রকাশ পাচ্ছে।  

মিনিয়াপলিসে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল স্কুলের এক গবেষণায় পাওয়া যায়, যারা গভীর চুম্বনে অভ্যস্ত তাদের যারা চুম্বন করেননি এমন ব্যক্তিদের তুলনায় ‘মনো’র বিকাশ বেশি।

এ বিষয়ে গবেষকরা বলেন, ছাত্রদের খাদ্যভ্যাস, শরীর চর্চা এবং মানসিক চাপের ওপর ঝুঁকির পরিমাণ নির্ভর করে।

এপস্টাইন বার ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট, ‘mononucleosis’ বা ‘মনো’ শুধু সংক্রমিত ব্যক্তির লালা সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়ায় তা না। এটি কাশি, হাঁচি বা খাদ্যের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। তবে মায়ো ক্লিনিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এ রোগ ঠাণ্ডাজনিত রোগের ভাইরাস হিসেবে সংক্রামক নয়।

গবেষকরা এপস্টাইন বার ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডির জন্য সব ছাত্রের রক্ত পরীক্ষা করেন। এর মধ্যে ৬৩ শতাংশ ছাত্রের অ্যান্টিবডির পরীক্ষায় ইতিবাচক, অর্থাৎ তাদের অতীতে মনো ছিল।

বাকি ১৪৩ জন ছাত্র ৩ বছরে গড়ে ৮ সপ্তাহে একবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকে গিয়েছেন তাদের শারিরীক অবস্থা জানার জন্য। ডাক্তাররা মনো রোগ বহন করছেন এমন ৬৬ জন ছাত্রের মধ্যে ৫৯ জনের শরীরে এ রোগের উপসর্গ পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১২
এএইচএস/ এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।