ঢাকা: বিশ্বে খাবারের অর্ধেক খাদ্য অপচয় হয়। আর এর অন্যতম কারণ খাদ্য ফেলে দেওয়া হয় ।
যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
‘বৈশ্বিক খাদ্য; অপচয় হবে না, অভাব আসবে না’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ইনস্টিটিউশন জানিয়েছে, প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী চারশ কোটি টন খাদ্য উৎপাদিত হয়। আর এর ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ নষ্ট করা হয়। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রতে কেনা খাবারের অর্ধেক ফেলা দেওয়া হয়।
ইনস্টিটিউশনের গবেষক ড. টিম ফক্স বলেন, “অপচয়ের মাত্রা উদ্বেগজনক। ”
ইনস্টিটিউশন অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের শক্তিসম্পদ ও পরিবেশ বিভাগের প্রধান ড. ফক্স বলেন, “বিশ্বজুড়ে যে পরিমাণ খাদ্য অপচয় ও নষ্ট করা হয় তা উদ্বেগজনক। এ খাদ্য দিয়ে বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা মেটানো যেত এবং আজকে যে হাহাকার চলছে তা থাকত না। ”
খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণে ভূমি, পানি ও শক্তিসম্পদ অযথা নষ্ট করা হয় বলে উল্লেখ করেন ড. ফক্স। এই পরিস্থিতির জন্য নিম্নমানের কৃষি পদ্ধতি, পরিবহন সুবিধা এবং সংরক্ষণ অবকাঠামোর অপর্যাপ্ততাকে দায়ী করেন তিনি।
কখনও খাওয়া হয়না এমন শস্য উৎপাদনে বছরে ৫৫ হাজার কোটি কিউবিক মিটার পানির অপচয় হয়।
২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিবছরে খাদ্য উৎপাদনে পানির চাহিদা ১০ থেকে ১৩ লাখ কোটি কিউবিক মিটার প্রয়োজন হবে।
জাতিসংঘের অনুমান, ২০৭৫ সালে অতিরিক্ত তিনশো কোটি মুখ যোগ হবে বর্তমান ভোক্তাদের সঙ্গে। ওই সময় পৃথিবীর জনসংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে ৯ কোটি।
ফক্স বলেন, “এ অবস্থা বন্ধে কৃষক, খাদ্য উৎপাদক থেকে শুরু করে বিক্রেতা ও ভোক্তাদের মানসিকতা পরিবর্তনে সরকার, উন্নয়ন সংস্থা ও জাতিসংঘের মতো সংগঠনগুলোর একত্রে কাজ করা উচিত। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@Banglanews24.com