ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

ফেসবুক হতাশা ও অসন্তোষ বাড়ায়!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:২০, জানুয়ারি ২৩, ২০১৩
ফেসবুক হতাশা ও অসন্তোষ বাড়ায়!

ঢাকা: ফেসবুক। বিশ্বের এক প্রান্তের মানুষের সঙ্গে আরেক প্রান্তের মানুষের অনলাইননির্ভর যোগাযোগ তৈরির এক বিস্ময়কর মাধ্যম!

চলমান প্রাযুক্তিক সভ্যতায় সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি, জীবনের গল্প বলার শ্রেষ্ঠ মাধ্যমই যেন এই ফেসবুক।

কতো দূরের মানুষ কিছু দিনের ব্যবহারে হয়ে যায় আপন। ‍আর সেই লক্ষ্য মাইল দূরের মানুষটির সঙ্গে কতো অবলীলায় নিজের মনের ভেতরকার কথাগুলো প্রকাশ করা যায়। এসবই যে ফেসবুকের কারণেই সম্ভব।

আদর-স্নেহ-শ্রদ্ধা-ভালোবাসা ভাগাভাগির এ প্রাযুক্তিক মাধ্যমটি বর্তমান সময়ের শ্রেষ্ঠ পরামর্শ পাওয়ার মাধ্যমও বটে। একটি সমস্যার সমাধানে পরামর্শ চেয়ে পোস্ট করলে কতো-শতো সমাধান মুহূর্তেই পাওয়া যায়।

কিন্তু একটি গবেষণা বলছে বিপরীত কথা! ফেসবুক ব্যবহারকারীর মনে দুঃখ-কষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, কখনো কখনো ব্যবহারকারীকে দ্রোহীও বানিয়ে দিতে পারে!

একদল ফেসবুক ব্যবহারকারীর উপর পরিচালিত গবেষণা শেষে বলা হয়, ‘সফল’ বন্ধুদের দেখে বিপজ্জনক রকমের বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে ব্যবহারকারীর! বিদ্রোহ কখনো হতাশা ‍আবার কখনো জীবনের প্রতি ঘৃণা বাড়িয়ে দেয়। যেটা স্বাভাবিক জীবনের প্রতি অসন্তোষ ডেকে আনে।

জার্মানির হামবল্ডট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. হান্না ক্রাসনোভা’র নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণা শেষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহারের কারণে অনেকের মধ্যে অনুভূতির পরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় আচরণ, ভাব-ভঙ্গি প্রকাশের ধরনও। কিন্তু এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ ব্যক্তির মধ্যেই নেতিবাচক অনুভূতি কাজ করে।

ড. হান্না ক্রাসনোভা গবেষণার মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরে বলেন, “সবারই অনুভূতির পরিবর্তন হয়। কিন্তু যখন ফেসবুকে পরিচিত কোনো বন্ধুর বা আগে থেকে পরিচিত বন্ধুর সফলতার ঈর্ষণীয় ছবি প্রকাশ করা হয়, তখন নিজের মধ্যে এক ধরনের জ্বালা তৈরি হয়। যেটাকে বিদ্রোহ বলা চলে। ”

হান্না বলেন, বন্ধুর সফলতার প্রতীক ছবি, গল্প, সামাজিক তুলনা অনেক বেশি ঈর্ষা বাড়িয়ে দেয়। যেটা হতাশার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে অসন্তোষ বয়ে আনে!

গবেষণা দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “ফেসবুক ব্যবহার ছেড়ে দেওয়া কিংবা ফেসবুক ব্যবহারে বিস্ময়করভাবে অনিয়মিত হওয়ার মূল কারণ এ ধরনের হতাশা এবং অসন্তোষই!”


বাংলাদেশ সময় : ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা : হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।