ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

লাদেনের শহরে বিনোদন পার্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫১, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৩
লাদেনের শহরে বিনোদন পার্ক

ঢাকা: পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত উপজাতি অধ্যুষিত শহর অ্যাবোটাবাদ। এক সময়ের শান্ত নগরী হঠাৎ করেই অশান্ত হতে থাকে ২০১১ সালের শুরুর দিকে।

মার্কিন ড্রোন হামলার মুখে ‘জঙ্গি’দের পাশাপাশি শত শত বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয় ঐ সময়টিতে।

তবে অশান্ত নগরীতে এক বিস্ময়ক ঘটনা ঘটে ২০১১ সালেরই ২ মে। মার্কিন বিশেষ বাহিনীর বিতর্কিত অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল কায়েদার প্রধান নেতা ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু হয়।

ঐ দিন থেকেই লাদেনের নগরী হিসেবে পরিচিত হতে থাকে অ্যাবোটাবাদ। সেই অ্যাবোটাবাদে এবার পর্যটন কেন্দ্র ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ করছে স্থানীয় খাইবার পাখতুনখওয়া সরকার।

লাদেনকে স্মরণে রাখার প্রক্রিয়া কিনা এ ধরনের অমূলক আশঙ্কা নাকচ করে দিয়ে স্থানীয় পর্যটনমন্ত্রী সাইয়েদ আকিল শাহ বলেন, “কেবল দেশের পর্যটন ও বিনোদন সুবিধা বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ”

মার্কিন সেনা বাহিনীর আক্রমণে বিতর্কিত ঐ হত্যাকাণ্ডের পর লাদেনের বসবাস করা বাড়িটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ জন্য, বাড়ির আশপাশ পর্যটন কিংবা বিনোদন কেন্দ্রের অংশ হবে না বলে জানান ‍আকিল শাহ।

সূত্র জানায়, আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিনোদন কেন্দ্রটির কাজ শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। এই পর্যটন কেন্দ্রে চিড়িয়াখানা, ওয়াটার স্পোর্টস, মিনি-গলফ, পর্বতারোহনসহ বিভিন্ন ধরনের রাইডস থাকবে বলে জানানো হয়।

মঙ্গলবার খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের পর্যটন মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বাজেট মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হতে পারে এ প্রকল্পে।

প্রাথমিকভাবে ৫০ একর এলাকাজুড়ে এটি নির্মাণ করা হলেও পর্যায়ক্রমে তা ৫০০ একরে প্রসারিত করা হবে বলেও জানানো হয়।

উল্লেখ্য, লাদেন ও আল কায়েদার অবস্থানের কারণে ২০১১-১২ সালে বেশ আলোচিত ছিল অ্যাবোটাবাদ। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া মার্কিন চলচ্চিত্র জিরো ডার্ক থার্টির হাত ধরে আবার আলোচনার শীর্ষে আসে অ্যাবোটাবাদ। যদিও চলচ্চিত্রটিতে পাকিস্তান সরকারকে আল-কায়েদা জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়, তবে পাকিস্তান সরকার এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।  

স্থানীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী এই আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে পাকিস্তানের পর্যটন শিল্পে ব্যাপক অবদান রাখতে পারে এই অ্যাবোটাবাদ।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৩
সম্পাদনা: হুসাইন আজাদ, নিউজরুম এডিটর-eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।