ঢাকা: একটা নয়, দুটো নয়, ১৯২টি বাড়ি তার। বিশ্বের শীর্ষধনীও নন তিনি।
চীনের শীর্ষদুনীতিবাজদের মধ্যে অন্যতম দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের লিউফেং শহরের ঝাও হাইবিন। চীনের সাবেক পুলিশ প্রধান তিনি।
ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চপদে থাকা হাইবিনের এতোগুলো বাড়ির মালিক হওয়ার খবরটি প্রকাশ করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা।
ভুয়া পরিচয়পত্রের বিষয়টি স্বীকার করলেও হাইবিন দাবি বাড়িগুলো তার ভাইয়ের কাছ থেকে তিনি নিয়েছেন।
চীনের একটি স্থানীয় পত্রিকা জানায়, ২০১১ সালে এক ব্যবসায়ী হাইবিনের সম্পদের বিষয়টি ফাঁস করেন।
হাইবিনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ব্যবসায়ী এ তথ্য ফাঁস করেন। ওই সময় হাইবিনের ভুয়া পরিচয়পত্র বাতিল করে কর্তৃপক্ষ।
লুফেং কমনিউস্ট পার্টির শাস্তিবিষয়ক বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, “ওই ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে এবং ঝাও পুনরায় দলের পদ ফিরে পেয়েছেন। ”
গত বছর দুর্নীতি দমনে চীনের নতুন নেতা শি জিংপিং দৃঢ় ঘোষণা দেওয়ার পর এ ধরনের অনেক ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। ওই সময় দুর্নীতিকে কমুউনিস্ট পার্টির ক্ষমতায় থাকার প্রতি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেন জিংপিং।
ঊর্ধ্বতন থেকে অধঃস্তন সব কর্মকর্তাকে ইঙ্গিত করে গত মাসে তিনি ঘোষণা দেন, তিনি ‘বাঘ’ ও ‘মাছি’ উভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালাবেন।
চলতি সপ্তাহে এক নারীকে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে একশ কোটি ইউয়ান মুল্যের ৪০ টিরও বেশি স্থাপনা কেনার দায়ে আটক করে।
সোমবার ইউলিন শহরের এক ব্যাংকের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জং আইআইকে কাগজপত্রাদি জালিয়াতি ও সরকারি স্ট্যাম্প ব্যবহারের জন্য আটক করা হয়। এই জালিয়াতিতে তাকে সাহায্য করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাসহ আরো সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
চীনের পূর্বান্ঞ্চলের পুলিশ জানান, ওই ব্যক্তির স্ত্রীর নামে ডজন সংখ্যক বাড়ি কিনেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেটি খতিয়ে দেখছেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৩
সম্পাদনা: সানজিদা সামরিন ও শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com