কলকাতা : ৩৭ বছর আগে এ দিনটিতে পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ‘মেঘে ঢাকা তারা’,‘অযান্ত্রিক,’‘তিতাস একটি নদীর নাম’-এর স্রষ্টা। বাংলা চলচ্চিত্রের ব্যতিক্রমী পুরুষ ঋত্বিক ঘটক।
এদিন নন্দনে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেখানো হয় ‘মেঘে ঢাকা তারা’। মৃত্যুকে তিনি খুব কাছ থেকে অনুভব করেছেন এবং বাঁচার আর্তি বারবার ফুটে উঠেছে তাঁর বিভিন্ন সৃষ্টিতে।
বাবার ৩৭তম প্রয়াণবার্ষিকীতে এর থেকে ভাল কোনও শ্রদ্ধার্ঘ্য হতে পারে না বলে মনে করছেন ঋত্বিক-কন্যা সংহিতা ঘটক। শুধু জনপ্রিয় বলেই ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নয়, আমরা আসলে দেখাতে চেয়েছি মৃত্যুকে” বলছেন সংহিতা।
সম্প্রতি যাঁর নিজের মেয়ে অদিতি ঘটকের অকালমৃত্যু নাড়া দিয়েছে ঘটক পরিবারকে। সম্ভবত সেই ঘটনার কথা মনে রেখেই সংহিতার বক্তব্য, এই সিনেমাটি এদিন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। ”
ঋত্বিক ঘটকের সিনেমা নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের কথায় মানুষটি কবে জন্মেছেণ বা মারা গিয়েছেন সেটা বড় কথা নয়। মূল উদ্দেশ্য হল তাঁকে স্মরণ করা। সাধারণ ঘটনাকে অসামান্যভাবে রূপদান করা, দর্শনকে সিনেমার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া, এসব ছিল ঋত্বিক ঘরানার চলচ্চিত্রের মূল বৈশিষ্ট্য।
তাঁর হাত দিয়ে যেসব সিনেমা তৈরি হয়েছে সেই সবক’টির প্রাসঙ্গিকতা আজও বহমান বলে মনে করেন ঋত্বিকপ্রেমীরা।
ঋত্বিকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দিনে তাঁরা একটি ঋত্বিক আর্কাইভ তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন। কলকাতা ও মুম্বাইতে তাঁর কর্মজীবনের পুঙ্খণাপুঙ্খ তথ্য, লেখা, প্রবন্ধ, চলচ্চিত্রকে তুলে ধরা হবে এই আর্কাইভে।
কারণ তিনি মানুষের কাছে থাকতে চেয়েছিলেন এবং চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কীর্তিগুলিকে জড়ো করে গবেষক সিনেমাপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছেন তাঁরা।
ঋত্বিকপুত্র ঋতবান ঘটকও গত এক বছর ধরে বাবার সারা জীবনের কর্মকা- নিয়ে একটি সিনেমা তৈরি করছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৩৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৩
বৈদ্য/ সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর