ঢাকা: পুষ্টি ও শারীরিক কর্মকাণ্ডের মতো ঘুমও সুস্বাস্থ্য এবং ভালো থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য দেখলেই বলা যায় কে কেমন খায়।
ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার পেরেলমান স্কুল অব মেডিসিন গবেষণাটি চালিয়েছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য স্বল্প কিংবা দীর্ঘ ঘুমের ওপর প্রভাব নির্ধারণের এটিই প্রথম গবেষণা। অ্যাপেটাইট নামক জার্নালে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাটিতে দেখা গেছে, যারা মোটামুটি স্বাস্ব্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করে তাদের ঘুমও স্বাস্থ্যসম্মত হয়।
সাধারণত প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টার ঘুমকে স্বাস্থ্যসমত মনে করা হয়। তাহলে স্বপ্ল বা দীর্ঘ কিংবা মানসম্মত ঘুমের ব্যাপ্তি কতক্ষণ?
ঘুমের এই ব্যাপ্তি নির্ধারণে প্রতিরাতে পাঁচ ঘণ্টা ঘুমকে খুবই স্বল্প, পাঁচ-থেকে ছয় ঘণ্টা ঘুমকে স্বল্প, সাত-আট ঘণ্টাকে মানসম্মত এবং নয় ঘণ্টা বা তার বেশি সময়ের ঘুমকে দীর্ঘতর হিসেবে ধরেছেন গবেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বয়সের মানুষদের নমুনা নেওয়া হয়েছে গবেষণাটিতে।
গবেষকরা দেখেছেন ঘুমের ব্যাপ্তির তারতম্যের সঙ্গে ক্যালরি গ্রহণেরও তারতম্য রয়েছে। স্বাভাবিক ঘুমপায়ীদের ক্ষেত্রে খাবারের ভিন্নতা সর্বোচ্চ এবং খুবই কম সময়ের ঘুমপায়ীদের ক্ষেত্রে এ ভিন্নতা সর্বনিম্ন। আমিষ, শর্করা, ভিটামিন ও খনিজসহ অনেক ধরনের পুষ্টি গ্রহণের ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা গেছে।
যাদের খুব কম সময় ঘুম হয় তারা পানি ও লাইকোপেন (এ উপাদানটি লাল ও কমলা রঙের খাবারে থাকে) ও শর্করা কম গ্রহণ করেন। যাদের ঘুম স্বল্প সময়ের হয় তারা পানি, ভিটামিন সি, সেলেনিউম (বাদাম, মাংস ও শামুক এ উপাদানটি থাকে) কম এবং বেশি পরিমাণে সবুজ-শাকসবজি গ্রহণ করে।
যাতের দীর্ঘক্ষণ ঘুম হয় তারা বেশি পরিমাণে অ্যালকোহল এবং কমপরিমাণে থিওব্রমিন (চকলেট ও চায়ে এ উপাদান থাকে), কোলাইন (ডিম ও চর্বিযুক্ত মাংসে এ উপাদান থাকে), শর্করা কমগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com