ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

এ জোয়ার রুখবে তারা কেমন করে...

স্বপ্নযাত্রা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:২৭, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৩
এ জোয়ার রুখবে তারা কেমন করে...

উত্তাল শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে লাখো বাঙালির অন্তরে। বাংলানিউজ প্রতিমুহূর্তের খবর দিচ্ছে।

যারা এখনও শাহবাগ যায়নি তাদের কৌতুহলী মন পড়ে রয়েছে প্রজন্ম চত্বরে।  

আন্দোলনের শুরু থেকেই বাংলানিউজে পাঠকরা মতামত দিয়ে আসছেন। স্বপ্নযাত্রা বিভাগেও পাঠক ও লেখকদের মতামত নিয়ে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এবারের আয়োজনেও থাকছে পাঠকদের মতামত।

সালেক খোকন
গবেষক ও লেখক

প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ব্লগাদের। যারা এ প্রজন্মকে জাগ্রত ও ঐক্যবদ্ধ করেছে রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে। জয়বাংলা স্লোগানকে যারা ফিরিয়ে এনেছে গণমানুষের স্লোগান হিসেবে। রাজাকারদের ফাঁসি না হলে এ জাতির ইতিহাস কলন্কমুক্ত হবে না।

রাজাকার কাদের মোল্লার রায়ে আমরা হতাশা হয়েছি। পত্রিকায় তার ‘‌ভি’ সুচক ছবি আমাদের মনে নানা প্রশ্নের ঝড় তুলেছে। রাষ্ট্র, সরকার ও মহামান্য আদালত এ সবকিছুই জনগণের জন্য। আমরা রাজাকারদের বিচার নিয়ে কোনো রাজনীতি দেখতে চাই না।

তাই সকল রাজনৈতিক দলের সদস্য ও সমর্থকদের কাছে আহবান, তথাকথিত রাজনৈতিক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসুন। একটি চিন্তায় চলুন সবাই এক হই, আওয়াজ তুলি- ফাঁসি, ফাঁসি, ফাঁসি চাই, রাজাকারদের ফাঁসি।

তরুণ প্রজন্ম আজ যে দাবীতে জাগরণ তৈরি করেছে তা করার কথা ছিল রাজনীতিবিদদের। কিন্তু স্বাধীনের পর রাজাকারদের গাড়িতে উড়েছে লালসবুজ পতাকা। রাজাকার হয়েছে এদেশের রাস্ট্রপতি। এদেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো রাজাকারদের সঙ্গে শখতা রেখে রাজনীতি করেছেন। ফলে রাজাকাররা আঙ্গুল ফুলে আজ কলাগাছ একজন রাজাকার সবসময়ই রাজাকার।

এ প্রজন্ম কি চায় এদেশের রাজনীতিবিদরা কি তা বুঝতে পারে? যদি পারত তবে তো তারাই শাহবাগে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিত  ‘রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে কোন রাজনীতি আমরা করব না’। এ জাগরণ ধরে রাখার ক্ষেত্রে বাধা হয়তো আসবে, কিন্তু গণজাগরণের শক্তির কাছে তা হবে অতি তুচ্ছ।

এদেশের মানুষ যেহেতু জেগেছে, সুতরাং বিজয় সুনিশ্চিত। তাই শাহবাগসহ সারাদেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড় জোরে, দেখা হবে তোমার আমার অন্য গায়ের ভোরে। সবশেষে বলব, হাল ছেড় না।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৩
সম্পাদনা: শেরিফ সায়ার, বিভাগীয় সম্পাদক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।