ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকার প্রথম স্থানে থাকা ব্যক্তিকে হত্যাকারী নেভি সিল সদস্য এক বেকার। ওসামা বিন লাদেনকে তিন তিনটি গুলিকারী ওই সদস্য অর্থ সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এসকুইর নামের একটি সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এ দৈন্যতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তাকে কোনো নিরাপত্তাও দেওয়া হচ্ছে না। আল কায়েদার হামলার শিকার হওয়ার দুশ্চিন্তা নিয়ে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে তাকে। পেনশন থেকেও বঞ্চিত তিনি।
‘দ্য ম্যান হু কিলড ওসামা বিন লাদেন...ইজ স্ক্রুড’ শিরোনামের এসকুইরের প্রতিবেদনে নেভি সিলের এ সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তার রূপক নাম দেওয়া হয়েছে ‘গুলিকারী’।
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। ওই মাসেই সাংবাদিক ফিল ব্রনস্টেইনকে তিনি বলেন, “শুক্রবার সিলস ছেড়ে দিয়েছি। আমার আমার পরিবারের স্বাস্থ্যসেবা শুক্রবার মধ্যরাত থেকে বন্ধ করা হয়েছে। ”
২০১১ সালের ২ মে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেভি সিলের যে ২৩ জন সদস্য পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে বিন লাদেনের আস্তানায় হামলা চালিয়েছিল তাদের মধ্যে দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে অভিযানের কথার বর্ণনা দিলেন ‘গুলিকারী’।
শেষ ব্যক্তি যিনি লাদেনকে শেষবারের মতো জীবন্ত দেখেছেন ‘গুলিকারী’। লাদেনের মাথা ও কপালে তিন তিনটি গুলি করেছেন তিনি।
তিনি সাময়িকীটিকে জানানা, অভিযানের পর তাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ২০ বছর চাকরিতে থাকার নিয়ম থাকলেও এর তিন বছর আগেই তাকে অবসর দেওয়া হয়েছে।
বদলি চাইলেও তাকে তা দেওয়া হয়নি। তাকে অবসর দেওয়াকে ‘অপমান’ হিসেবে দেখছেন তিনি। তিনি বলেন, “তারা বলেন, না। তুমি সেবার বাইরে, তোমার কাজ শেষ। ১৬ বছর সেবা দেওয়ায় তোমাকে ধন্যবাদ। ”
২০ বছর চাকরিতে থাকলে মাসিক দুই হাজার ১৯৭ মার্কিন ডলার পেনশন পেতেন তিনি।
অবশ্য তাকে এবং তার পরিবারকে নিরাপত্তা না দেওয়ার কারণে সরকারের সমালোচনা করেছে সিল।
বিন লাদেন বধ অভিযানে অংশ নেওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে অভিযানের বিষয়ে মুখ খুললেন ‘গুলিকারী’।
তার স্ত্রী বলেন, “সে দেশকে অনেক দিয়েছে কিন্তু এখন মনে হচ্ছে তাকে নর্দমায় ফেলে দেয়া হয়েছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com