ঢাকা: ভারত মহাসাগরের তলদেশে চাপা পড়া একটি মহাদেশকে আবিষ্কার করা গেছে। দুইশ কোটি থেকে আট সাড়ে আট কোটি বছর আগে ছিল ওই মহাদেশের অস্থিত্ব।
মরিশিয়া আবিষ্কারের বিষয় ন্যাচার জিওসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ৭৫ কোটি বছর আগে পৃথিবীর ভূখণ্ড নিয়ে বিশালাকারের একটিমাত্র মহাদেশ ছিল, যার নাম রোদিনিয়া। তা আজকের হাজার হাজার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সাগরের মাধ্যমে হয়ে খণ্ড-বিখণ্ডিত। সেসময় আজকের আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার ও এশিয়ার ভারত ছিল প্রতিবেশি।
নিজের অবস্থান থেকে সরে যেতে যেতে বিলুপ্ত হয়ে যায় মরিশিয়া। গবেষকদের দাবি, তারা ওই মহাদেশেরেএকটি ফাটল পেয়েছেন। ক্ষুদ্র মহাদেশ নামের ওই খণ্ডটি দুই অংশকে একত্রিত করেছিল। মরিশাসের সমুদ্র সৈকতের বালুকণা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন গবেষকরা।
বালুকণা পরীক্ষায় দেখা গেছে, নয় হাজার বছর আগের একটি আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ধরা পরেছে।
এই গবেষণা পরিচালনাকারী দলের একজন নরওয়ের অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ট্রোন্ড টোরসভিক।
টোরসভিক বলেন, “ আমরা জিরকন পেয়েছি যা আমরা সমুদ্রসৈকত থেকে প্রাপ্ত বালু থেকে বের করেছি এবং এ ধরনের কিছু শুধু আপনি পেতে পারেন মহাদেশীয় ভূত্বক থেকে। বয়সে তারা পুরোনো। ”
জিরকনগুলো ১৯৭ কোটি থেকে ৬০ কোটি বছর আগের বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষকরা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন, প্রাচীন ভূখণ্ডের অবশিষ্টাংশ এগুলো।
সাড়ে আট কোটি বছর আগে মাদাগাস্কার থেকে ভারত সরে গেলে ক্ষুদ্র মহাদেশটি ভেঙ্গে যেতে থাকে এবং একসময় সাগরের ঢেউয়ে তলিয়ে যায়। কিন্তু একটি ক্ষুদ্র অংশের অস্থিত্ব এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
তিনি ব্যাখা করেন, “এই মুহূর্তে সিচিলিস হচ্ছে গ্রানাইট শিলা খণ্ড বা মহাদেশীয় ভূত্বক। ”
বর্তমানে ভারত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত সিচিলিস এক সময় মাদাগাস্কারের উত্তরে ছিল বলে জানান টোরসভিক। তিনি বলেন, “এটি আরও বড় ছিল এবং অনেকগুলো খণ্ড সাগরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
মহাদেশটির হারিয়ে যাওয়া অংশগুলো আবিষ্কারে আরও গবেষণা চালাতে হবে বলে জানান তিনি। ট্রোন্ড টোরসভিক আরও বলেন, “আমাদের প্রয়োজন ভূকম্পীয় তথ্য যা প্রতিচ্ছবি তৈরি করতে পারে..এটাই হবে চূড়ান্ত প্রমাণ। বিকল্প হিসেবে আপনি (সাগরের) গভীরে খুড়তে পারেন কিন্তু তা হবে ব্যাপক ব্যয়বহুল। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর, eic@banglanews24.com