নেহা রামু। বয়স সবে ১২।
প্রসঙ্গত, নেহার বাবা ভারতীয় নাগরিক। তবে নেহার পরিবার সাত বছর বয়সে ব্রিটেনে পাড়ি জমান। পেশায় তিনি ডাক্তার।
নেহা প্রসঙ্গে তার বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, স্কুলেই নেহার বুদ্ধির প্রমাণ আমরা দেখতে পেয়েছি। সব পরীক্ষায় নেহা সর্বোচ্চ নম্বর ঘরে তোলে। যা দেখে আমি বরাবরই গর্বিত হতাম।
নেহার মা জয়শ্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের স্কুলে এসে আমি খুব চিন্তায় ছিলাম যে আমার মেয়ে এখানে খাপ খাওয়াতে পারবে কি না। কিন্তু পরে দেখি সে চমৎকারভাবে নিজের প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়ে চলেছে। এতে তার কোনো সমস্যাই আমার চোখে পড়েনি।
নেহা মেনসার আইকিউ পরীক্ষায় অংশ নেয়। অন্য সব প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার গৌরব অর্জন করে।
বড় হয়ে বাবার মতো ডাক্তার হতে চায় নেহা। মাত্র ১২ বছর বয়সে স্যাট (ঝঅঞ) পরীক্ষায় ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৭৪০ পেয়ে সবাইকে বিস্মিত করে দেয়। এটি যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীর চেয়েও বেশি নম্বর বলে জানিয়েছে মেসা।
যাকে নিয়ে এতো আলোচনা। সেই নেহা নিজের সম্পর্কে একটি ব্লগে উল্লেখ করে, আমি নিজেকে কোনো জিনিয়াস হিসেবে দেখতে চাই না। সত্যি! আমি একটা আইকিউ পরীক্ষায় কিছু নম্বর পেয়ে বিশ্বের জ্ঞানী ব্যক্তি হতে পেরেছি বলে তো মনে হয় না।
আমি খুব ছোট। এখনও অনেক কিছু শেখার এবং জানার আছে। বন্ধুরাও মনে করছে, আমি মনে হয় বিশ্বের সব জ্ঞান মাথায় নিয়ে বসে আছি। এ ধারণাটি একদম ভুল। তবে এটা বুঝতে পেরেছি আমার ওপর সবার অন্যরকম আস্থার জায়গা গড়ে উঠেছে।
একজন মানুষের মেধা থেকে কোনো লাভ নেই। যদি না সে মেধা পৃথিবীর কোনো কল্যাণে আসে। সৃষ্টিকর্তা আমাকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমি সে ক্ষমতার সঠিক ব্যবহার করতে চাই। সময়কে সে ক্ষমতা দিয়ে বেগবান করতে চাই।
বাবা মা সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। একটি ঘটনা খুব মনে পড়ছে। নাচের স্কুলে মা ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু আমার নাচতে একদম ভালো লাগতো না। আমি সাঁতার শিখতে চেয়েছিলাম। মা বিষয়টি জানতে পেরে মুহূর্তেই নাচ বন্ধ করে সাঁতার ক্লাসে ভর্তি করিয়ে দিলেন। এতে করেই বোঝা যায়, তারা আমার মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এজন্য তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৩
সম্পাদনা: শেরিফ সায়ার, বিভাগীয় সম্পাদক/ সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর