ঢাকা, সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৯ মে ২০২৫, ২১ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

পানি নিয়ে তরুণদের ভাবনা ও উদ্বেগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৫৫, মার্চ ১২, ২০১৩
পানি নিয়ে তরুণদের ভাবনা ও উদ্বেগ

তারুণ্যের জয়জয়কার আজ সব জায়গায়। দেশের টানে দেশবিরোধীদের শাস্তির দাবিতে তরুণরা যেমন অন্যায়ের প্রতিবাদের গর্জে উঠতে পারে, তেমনি দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রেও তারা পিছিয়ে নেই।

বাংলাদেশের পানি সম্পদ তেমনই এক জায়গা। ন্যায্য পানির হিস্যা বুঝে না পাওয়ায় ধীরে ধীরে জেগে উঠছে তরুণরা। বাংলাদেশের পানি সম্পদ নিয়ে তাদের উদ্বেগের শেষ নেই। তারপরও তারা স্বপ্ন দেখে তাদের এই উদ্বেগ দূর হয়ে যাবে নীতি নির্ধারকদের সঠিক ও কার্যকরী পদক্ষপের মাধ্যমেই।

গত ৪-৫ জানুয়ারি, ২০১৩-তে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী অঙ্গ-সংগঠনের আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘দক্ষিণ এশিয়ার আন্তর্জাতিক পানি-সম্পদ সম্মেলনঃ বৈরীতা থেকে সহযোগিতা’ এ সম্মেলনে অনেক সংগঠনের পাশাপাশি WRE Forum (http://wreforum.org)-ও সহকারী আয়োজক হিসেবে ছিল। সহকারী আয়োজক হিসেবে সম্মেলন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ পরিচালনা করতে ফোরামের পক্ষ থেকে অংশ নেয় পানি সম্পদ নিয়ে আগ্রহী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া প্রায় ১৩ জন স্বেচ্ছাসেবী তরুণ-তরুণী। খুব সামনে থেকে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা এসবতরুণ-তরুণীর অভিজ্ঞতা কি, তারা কি ভাবছে বাংলাদেশের পানি সম্পদ নিয়ে? আজ আমরা সেসব কথাই শুনবো অংশগ্রহণকারীদের মাঝ থেকে ৭ জন তরুণের মুখেই।

সারফরাজ Stu-12আলম (প্রভাষক, পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ, বুয়েট)
 
ভাটির দেশগুলো তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হওয়া, উজানের দেশগুলো দ্বারা অবৈজ্ঞানিকভাবে পানি অপসারণ, পানি বন্টন চুক্তি বাস্তবায়নে ব্যর্থতা আলোচনা ও  এরকম আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধিই এখন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। WRE Forum এর একজন প্রতিনিধি হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার আন্তর্জাতিক পানি-সম্পদ সম্মেলনে ভলান্টিয়ারের দায়িত্ব পালন ও এর বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল।

এছাড়াও আমার সাথে ডঃ জাহিদুল ইসলাম ও ডঃ খালেকুজ্জামানের গঙ্গা পানি চুক্তির ওপর একটি প্রবন্ধও প্রকাশিত হয় এ সম্মেলনে। পানি সম্পদ নিয়ে কাজ করে বা পানি সম্পদের সাথে জড়িত বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের অংশগ্রহণ, মতামত, চিন্তাচেতনা, যুক্তি বিশ্লেষণ, ধ্যান ধারণা সব কিছু মিলিয়ে সম্মেলনটি ছিল অসাধারণ।
যে বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে তা হল ভাটির দেশগুলোর তাদের ন্যায্য পানি প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, ফলে ভাটির দেশ মূলত বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশের স্বার্থ রক্ষা ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে সুসম্পর্ক বজায় রাখার স্বার্থে ন্যায়সম্মত পানিবন্টন চুক্তি স্বাক্ষর ও বাস্তবায়নে অবিলম্বে গুরুত্বপূর্ণ পদেক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

Stu-720130আহম্মেদ জুলফিকার রহমান  (পানি সম্পদ কৌশলী, বুয়েট)
 
পানি সম্পদ নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আমার সবসময়ই ছিল। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন পানি সম্পদ নিয়ে কাজ করার পথ নিঃসন্দেহে আরও সুগম করে দিয়েছে । সম্মেলন থেকে দেশ-বিদেশের  বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষদের আলোচনা থেকে আমি যা বুঝতে পেরেছি তা হলো, এখনই সময় এই দক্ষিণ এশিয়ার উজানে থাকা দেশগুলোর নীতি-নির্ধারকদের  আন্তঃসীমা নদীগুলোর ব্যাপারে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ট্র্যাডিশন বা দূরভিসন্ধিমূলক কূটনৈতিক ইচ্ছা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

পানি বন্টনে পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে ভাটির দেশগুলোর সাথে দ্বি-পার্শ্বীয় আলোচনার ভিত্তিতে মতৈক্যে পৌঁছানোর কোন বিকল্প নেই। আর এটা নিশ্চিত করতে আমাদের দেশের নীতি নির্ধারকদেরও রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।
সম্মেলন শেষে প্রচলিত ‘বৈরী’-গুলো কিভাবে সমাধান করা যায় সে মর্মে একটি রেজুলেশনও উত্থাপিত হয়। সৌভাগ্যক্রমে এই সম্মেলনে সাকিব ইশতিয়াক (মাস্টার্সে অধ্যয়নরত , ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি)  ও আসিফ আহমেদ (প্রভাষক , প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ)- এর সাথে কাজ করে আমি একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করি।  
            
Stu-6রায়হানুল হক খান (পানি সম্পদ কৌশলী, বুয়েট)
 
পানিসম্পদের সমস্যা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বিষয়ে কোন সম্মেলনে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা আমার এটাই প্রথম। ডাব্লিওআরই ফোরামের পক্ষ থেকে সম্মেলনে অংশ নেওয়ায়, সুযোগ হয়েছিল র‍্যাপোর্টিয়ার (rapporteur) হিসেবে কাজ করার। এসময় খুব কাছ থেকে প্রাণবন্ত কিছু টেকনিক্যাল ও প্ল্যানারি সেশন পরখ করার অভিজ্ঞতা হয়।

নিঃসন্দেহে দক্ষিণ এশিয়ার পানিসম্পদ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সচেতন কিছু মানুষের সমাগম ঘটেছিল এই সম্মেলনে। একজন পানিসম্পদ কৌশলী হিসেবে এই সম্মেলন থেকে আমার পর্যবেক্ষণ হল, এই অঞ্চলে পানিসম্পদ নিয়ে বিদ্যমান অনেক সমস্যা বছরের পর বছর অমীমাংসিত থেকে গেছে সমন্বিত উদ্যোগের অভাবে। সেই সাথে প্রতিনিয়ত যোগ হয়েছে নতুন নতুন সমস্যার। কাজেই, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সহযোগিতায় একটি সমন্বিত আইনগত কাঠামোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের পানিসম্পদ রক্ষা ও তার সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবী। এই সম্মেলনে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ডাব্লিওআরই ফোরামের জন্য আরও একটি মাইলফলক বলে মনে করি। অনলাইনে উৎসাহব্যাঞ্জক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এধরণের উদ্যোগে সামিল থেকে ডাব্লিওআরই ফোরাম তাদের লক্ষ্য অর্জনের অগ্রযাত্রা আরও গতিশীল করবে বলে আমার বিশ্বাস।

Stu-520মাহমুদুল হাসান (প্রকৌশলী, পুর কৌশল বিভাগ, বুয়েট)
 
আমার আগেও কয়েকটি সম্মেলনে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু এই সম্মেলনে যাওয়ার মুহূর্তে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করেছিল। কারণ এর বিষয়বস্তু ছিল আমাদের দেশেরই জালের মত ছড়িয়ে থাকা একটি বাস্তব প্রেক্ষাপট।

নদীমাতৃক বাংলাদেশ, অথচ নদীগুলোতে পানি থাকেনা। এটা নিয়ে আগে থেকেই ক্ষোভ ছিল, সব সময়ই আশা করতাম এই সমস্যাটিকে সামনে রেখে অনেক আলোচনা হোক। এই সম্মেলনটি সেরকম আলোচনার দ্বার খুলে দিয়েছিল। এখান থেকে একটি বিষয় বুঝতে পেরেছি, তা হলো আমরা যে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পানি ন্যায্য হারে পাচ্ছি না সেটা ওই দেশগুলোর মানুষরাও স্বীকার করে, কিন্তু হয়তো তারা এ নিয়ে তাদের সাথে কথা বলে না। বা বললেও তাদের কথা আমলে নেয়া হয় না।

এমনকি তারা সম্মেলনে এটা বলেও যান যে, এখন থেকে তাদের দেশে এ নিয়ে কথা বলবেন। তবে তারা কথা রাখুক না রাখুক, তারা যে আমাদের সমর্থন দিয়েছেন এটাই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

stu-420সাকী রেজওয়ানা (পানি সম্পদ কৌশলী, বুয়েট)
 
ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল তখন। এসময় হুট করেই সম্মেলনে যাওয়ার আমন্ত্রণ পাই। চিন্তা ছাড়াই রাজী হয়ে গেলাম rapporteur হিসেবে কাজ করার জন্য। এবার কাজের কথায় আসি। জীবনের প্রথম কোনো সম্মেলন। কত পরিচিত-অপরিচিত মুখ,অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এই সম্মেলন সম্পর্কে বলতে গেলে শুরুতেই যে কথাটি বলতে হয়, আমি এই সম্মেলন থেকে খুব ভালভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছি বাংলাদেশের আন্তঃসীমাস্থ নদীগুলো ও সেখানে বিদ্যমান সমস্যা, সমস্যার সমাধান  সম্পর্কে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- পানি বন্টন, প্রয়োজনীয় উপাত্ত উন্মুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা, পানি আইন ইত্যাদি। সম্মেলনের কাজ শেষে মনে হয়েছে আমিও হয়তো একদিন এরকম পানি সম্পদ ভিত্তিক গবেষণামূলক কাজ করে বাংলাদেশের জন্য কিছু করতে পারব। একজন নব্য পানি সম্পদ প্রকৌশলী হিসেবে আমি বলতে চাই, এরকম সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা ছিল আমার জীবনের প্রফেশনাল কাজের ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ।

stu-320সোয়েলেম আফনান ইহাম (তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত,পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ, বুয়েট)
 
দক্ষিণ এশীয় আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে যে বিষয়টা আমাকে সবচেয়ে বেশি ভাবিয়েছে তা হলো আন্তঃসীমান্ত নদীসমূহের পানিবন্টনের সংকট। এ বিষয়টা নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান এতটাই দ্বিমুখী যে তারা বাংলাদেশকে তিস্তা নদীর ন্যায্য পানির হিস্যা দিতে রাজি নয় কিন্তু ভারত সরকারই চীনকে ব্রম্মপুত্র নদীর বাঁধ না দিতে ক্রমাগত সতর্ক করে যাচ্ছে।

এমনকি টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে তাদের নিজেদের দেশের মানুষের অবস্থান সম্পর্কেও তারা সচেতন নয়, যে কারণে টিপাইমুখের উজানে অবস্থিত মনিপুর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পানি বিশেষজ্ঞ একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসে টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান প্রকাশ করতে বাধ্য হন, নিজের দেশে তাদের স্বার্থ রক্ষার আর্জি শোনার মত কেউ নেই। বায়ুর মত পানিও জীবনধারণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ, এটা কোন ব্যবসা করার বিষয় নয়, বিষয়টি নীতিনির্ধারণী মহল যত দ্রুত অনুধাবন করতে পারবে ততই মঙ্গল।

Stu-220তারিক হাসান (তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত, পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ, বুয়েট)
 
এই কনফারেন্স আমাকে বিশ্ববিখ্যাত পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞদের ভাবনা, নদী বণ্টন চুক্তিগুলোর ব্যাপারে তাদের অভিমত সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়। এটি নতুন অভিজ্ঞতা। বাঁধ নির্মাণ জাতীয় কাজে প্রতিবেশী দেশ গুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কতটা জরুরী তা বোঝার সুযোগ হলো। নদীর সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে । সেই ছোটবেলা থেকে নৌকা করে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে স্কুলে যেতাম, পরে এ’ লেভেল পড়ার সময়ও ব্রিজ পার হয়ে মাস্টারমাইন্ড স্কুলে যেতাম।

তাই আজ যখন বুয়েটে পানি সম্পদ কৌশল বিভাগের ছাত্র হিসেবে যখন আমি নদীটি পার হই। মনের অজান্তেই কোথা থেকে যেন এ নদীটির প্রতি টান অনুভব করি। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল গত বছর বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সামিট ২০১২-এ গিয়ে। এশিয়ার নোবেল খ্যাত ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ম্যামের পরিবেশ বিষয়ক আলোচনা শোনার। এরপর থেকেই এ বিষয় নিয়ে আমি নতুন করে ভাবতে অনুপ্রাণিত হই।

তারুণ্যই শক্তি। দক্ষিণ এশিয়ার আন্তর্জাতিক পানি সম্পদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা এই তরুণদের যে উচ্ছ্বাস, পানি সম্পদ নিয়ে কাজ করার আগ্রহ, জানার আগ্রহ, সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ, সমাধানের আকুতি সেসব কিছুকেই শক্তিতে পরিণত করে পানি সম্পদ সংক্রান্ত সকল সমস্যা দুর করে এগিয়ে যেতে খুব একটা সমস্যা আছেন। দূরীকরণে এগিয়ে যেতে হবে। সচেতন হতে হবে নিজেকে, সচেতন করতে হবে মানুষকে। বাংলাদেশের পানি সম্পদকে এগিয়ে নিতে তরুণদের নিয়ে কাজ করতে WRE Forum বদ্ধপরিকর।

লেখক ও সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীঃ আহম্মেদ জুলফিকার রহমান, পানি সম্পদ কৌশলী

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৩
সম্পাদনা: শেরিফ সায়ার, বিভাগীয় সম্পাদক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।