ঢাকা: হরতালে সব সময় নগরীতে বেচাকেনা কম হয়। এতে ব্যসায়ীরা পড়েন বিপাকে।
ফুটপাতের এসব দোকানদাররা জানান, তারা দৈনিক দুই থেকে তিন হাজার টাকার বেচাকেনা করলেও হরতালের সময় ৫০০ টাকার বেচাকেনা করতেই হিমশিম খেতে হয় তাদের। একদিন কম বেচাকেনা হলে অনেক সময় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাদের অভুক্ত থাকতে হয়।
মঙ্গলবার ১৮ দলের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে রাজধানীর মিরপুর-২ নম্বরের ফুটপাতে কথা হয় পান-সিগারেট ও চায়ের দোকানি শিল্পী খাতুনের সঙ্গে। তিনি মিরপুর হাউজিং সংলগ্ন বস্তিতে মা রওশনারা খাতুন, বাবা আব্দুল মোতালেব ও ছেলে মুন্নাকে নিয়ে বসবাস করেন। স্বামী মিন্টু হোসেন নেশাগ্রস্ত হওয়ায় ৬ বছর আগে স্বামীর সংসার ত্যাগ করেছেন শিল্পী খাতুন।
এখন সংসারের আয়ের একমাত্র উৎস তিনিই। পান, সিগারেট, চা ও বিস্কিট বিক্রি করে সংসার চলে তাদের।
প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বেচাকেনা হলেও মঙ্গলবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩০০ টাকার বিক্রি করতে পারেননি শিল্পী।
শিল্পী খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, “হরতালে লুক নাই, খাইবে কে? হরতালে সারাদিন বইয়া থাকা ছাড়া কোনো কাজ থাকে না। অন্যান্য দিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বিক্রি হইলেও আইজকা ৫০০ টাকার মাল বেচুনই দায় হয়েছে। সবডি (সমস্ত) মাল রয়ে গ্যাছে। হরতালে কুনসুম বেচাবিক্র হয় কোনসুম হয় না। ”
শুধু শিল্পী খাতুনই নন, হরতালে কপাল পুড়েছে দিনমজুর ও রিকশাচালকদেরও। রিকশাচালকেরা দৈনিক ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা আয় করলেও হরতালে এর অর্ধেকও আয় করতে পারেন না। হরতালে এসব রিকশাচালকদের খাওয়া,বাসা ভাড়া ও রিকশা বাবদ ৮০ টাকা জমা দিয়ে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না।
রংপুর থেকে আসা রিকশাচালক মোসলেম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, “হরতালে তোমাক আর হামার কতা কি কোমু বাপ। অন্যদিন যেখানে ৪০০ টাকার ভাড়া হয় হরতালে এর অর্ধেকও ভাড়া হয় না। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৩
এমআইএস/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- eic@banglanews24.com; জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর