ছবিগুলো দেখে আপনার মনে হতেই পারে, এগুলো নতুন প্রজাতির কোনো পাখি বা ভিনগ্রহবাসীদের মহাকাশযান। আসলে এসব কিছুই নয়।
নতুন প্রজন্মের যাত্রীদের জন্য এই বিমান তৈরিতে নাসা তিন ধরনের নকশার ধারণা প্রকাশ করেছে, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ওড়ার জন্য তৈরি করা হবে।
লকহিড মার্টিন, নরথ্রপ গ্রুম্মান এবং দ্য বোয়িং কোম্পানি- বিশ্বখ্যাত এই তিন প্রতিষ্ঠান নাসার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গত বছরের শেষের দিকে এই নকশাগুলো তৈরি করে। চলতি বছর এসব নকশা নিয়ে গবেষণা, উন্নয়ন এবং তাদের ধারণাগুলো পরীক্ষা করা হবে।
বর্তমান আকাশযানের চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন, বড়, দক্ষ এবং জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী এসব বিমান তৈরি করতে নাসা ‘সুপার প্ল্যান’ করেছে।
নাসার বেঁধে দেওয়া ডিজাইন অনুযায়ী, নতুন এই বিমানগুলোর প্রত্যেকটির উড্ডয়ন পাল্লা হবে সাত হাজার মাইল। আর উড়বে শব্দের গতির চেয়ে ৮৫ শতাংশ বেশি গতিতে। মালবাহী ও যাত্রীবাহী দু ধরনের বিমানই ৫০ হাজার থেকে এক লাখ একক (পেলোড) ভার বহন করতে পারবে।
তবে ঠিক কবে নাগাদ এই নকশাগুলো বাস্তবরূপ নেবে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রযুক্তি এবং আবিষ্কারবিষয়ক ওয়েবসাইট ফার্স্ট কোম্পানি মার্কিন পত্রিকা হাফিংটন পোস্টকে বলেন, ‘এই বিমানগুলো তৈরি হতে কতদিন সময় লাগবে তা বোঝা যাচ্ছে না। ’
সূত্র: ডেইলি মেইল
বাংলাদেশ সময় ১৫১১, ১৬ জানুয়ারি ২০১১