অনেক ঘটন-অঘটনের টাইটানিক আগামী ২০ বছরের মধ্যে একেবারেই নেই হয়ে যাবে। দীর্ঘকাল সমুদ্রের তলে থাকা টাইটানিকের যেটুকু ধ্বংসাবশেষ আছে, তাও হারিয়ে যেতে বসেছে।
পানির নিচের কীটের খাদ্যে পরিণত হওয়ায় একদিন এর আর কোনো অস্তিত্বই থাকবে না বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন সন্ধান পাওয়া এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া জাহাজটির লোহা খেয়ে ফেলছে বলে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন। ফলে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বিশাল এ জাহাজের ধ্বংসাবশেষ অদৃশ্য হয়ে যাবে।
১৯১২ সালে দু’ভাগে ভাগ হয়ে সমুদ্রের প্রায় আড়াই মাইল গভীরে তলিয়ে যাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত হালমোনাস টিটানিসে নামের ব্যাকটেরিয়া জাহাজটির ৫০ হাজার টন লোহা নিঃশেষ করে ফেলেছে। এ হিসেবে ২০৩০ সালের মধ্যে টাইটানিক পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।
কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. হেনরিয়েটা ম্যান ও ভবলিন কৌর এবং স্পেনের সেভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা টাইটানিকে কীট আক্রমণের বিষয়টি প্রথম লক্ষ করেন।
জনপ্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. ম্যান বলেন, ‘আর ১৫ থেকে ২০ বছর টাইটানিক বেঁচে থাকবে বলে আমরা ধারণা করছি। এর বেশি আর সময় আছে বলে আমরা মনে করছি না। ’
‘ইতিমধ্যেই এটা শত বছর অতিক্রম করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আটলান্টিকের তলদেশে মরিচার আস্তরণ ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। ’
১৯৯১ সালে একদল বিজ্ঞানী জাহাজটির ধ্বংসাবশেষ থেকে সংগৃহীত মরিচার মধ্যে প্রথম হ্যালোমোনাডাসিয়া গোত্রের আণুবীক্ষণিক এ ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান। এ দলটি ২০ বছর ধরে টাইটানিক নিয়ে গবেষণা করছেন।
আর এ ব্যাকটেরিয়ার লোহা খেয়ে ফেলার ধ্বংসাত্মক প্রবণতা শেষ পর্যন্ত বিশাল এ জাহাজটিকে লোনা পানির গুঁড়াতে পরিণত করবে। ফলে এখনো যেটুকু এটির অস্তিত্ব আছে, তাও আর থাকবে না। এটি হয়ে পড়বে পুরোপুরি অতীত-ইতিহাসের অংশ।
বাংলাদেশ সময় ১৫১৫, জানুয়ারি ১৮, ২০১১