হতে পারে জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা বা না পাওয়ার হতাশা। হতে পারে এমন কিছু যা তাকে প্ররোচিত করেছে নিজের মূল্যবান জীবনটিকে অবলীলায় শেষ করে ফেলতে।
কিন্তু না! আমরা যে প্রকৃতির খেয়ালের শিকার তার প্রমাণ আরও একবার প্রত্যক্ষ করল আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সের হতবিহ্বল প্রত্যক্ষদর্শীরা। কারণটা যাই হোক সুউচ্চ ২৩ তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েও শেষ ‘রক্ষা’ হলো না ওই নারীর। অর্থাৎ ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ তিনি বেঁচে গেছেন।
২৪ জানুয়ারি সোমবার নিজের জীবনটি ধ্বংস করে দিতে বুয়েনস আয়ার্সের একটি ২৩ তলা হোটেলের ওপর থেকে লাফিয়ে পড়ার পর ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্যাক্সির ক্ষতি করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেননি ওই নারী। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং পুলিশ এমনটাই জানিয়েছেন।
নিজের ইচ্ছায় লাফিয়ে ট্যাক্সির ওপর পড়ার পর ৩০ বছরের ওই নারীকে হাসপাতাল নেওয়া হয় বলে এক ফটোগ্রাফার তার তোলা ছবিতে দেখিয়েছেন। হাসপাতালে তার ফুসফুস, একটি কিডনি এবং প্লিহা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
শহরের প্যানামেরিক্যানো হোটেলের ওপরের রেস্টুরেন্টের প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা দেন কীভাবে ওই নারী শান্তভাবে কফির ফরমায়েশ করেন এবং তার ব্যাগ ও জুতা রেখে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ওপরের উঠে লাফিয়ে পড়েন।
যে ট্যাক্সির ওপর তিনি পড়েন সেই ট্যাক্সির চালক হতবিহ্বল মিগুয়েল (৩৯) বলেন, ‘আমি যদি তখন ট্যাক্সি থেকে বের হয়ে না আসতাম তাহলে সে নিশ্চিত আমাকে মেরে ফেলতো। আমি আগেই এটা টের পেয়ে যাই এবং ওই নারীকে আমি গাড়ির ছাদে পড়ে থাকতে দেখি। ’
তিনি আরো বলেন, ‘এ ঘটনার পর পরই প্রথম আমি আমার পরিবারকে ফোন করি এবং তারপর আমি কাঁদতে শুরু করি। এ ধরনের কোনো কিছু প্রত্যক্ষ করা সত্যিই খুব কষ্টকর। ’
সূত্র : এএফপি
বাংলাদেশ সময় ২২৪০, জানুয়ারি ২৫, ২০১১