গ্রীষ্মের তীব্র খরতাপে চৌচির প্রান্তর মনে করিয়ে দেয় টিএস এলিয়টের বিখ্যাত রচনা দ্য ওয়েস্ট লান্ডের কথা। কবিতায় কবি দীর্ঘ ক্লান্ত যাত্রা শেষে পোড়ো জমির কণ্টকময় মরুপ্রান্তর পেরিয়ে পৌঁছেছিলেন বিশ্বাসের নব উপলব্ধিতে।

এলিয়টীয় অন্তর্জাগতিক উপলব্ধি না হলেও রাজধানীবাসী বুধবার একপশলা বৃষ্টিতে পেয়েছেন অনাবিল শান্তির পরশ। অবসান হতে চলেছে গ্রীষ্মের- এটা যেন বুঝিয়ে দিল প্রকৃতি। তারই প্রস্তুতিপর্ব চলছে যেন।

সবুজ ছনগুলো ম্রিয়মাণ। চৌচির প্রান্তর প্রতীক্ষায় এক ফোঁটা জীবনদায়ী অমৃতের। মৃত্তিকার প্রতিটি কণা যেন যৌবনবতী হওয়ার বাসনায় উদগ্রীব।

দিগন্তে উঁকি দিচ্ছে জলবালিকা। প্রতীক্ষিত সবুজ ঘাসে অমিয় বাতাস। যেন কবি জীবনানন্দের মতো বলছে, ‘আমার মুখের দিকে, ডাইনে আর বাঁয়ে/পোড়ো জমি- খড়- নাড়া- মাঠের ফাটল/শিশিরের জল...’

ঘনায়মান মেঘে দূরদিগন্তে আশার বিদ্যুৎরেখা, জলের জলকেলি। যেন এখনই ধরণী হবে উর্বরা ঊর্বশী। অপেক্ষা...

অতঃপর প্রতীক্ষা অবসানের...
ছবিগুলো বুধবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা থেকে তোলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৪