আজ কেমন যাবে
তারিখ- ১৬/০৭/২০১৪মেষ: (২১ মার্চ – ২০ এপ্রিল) শুভ রং : লাল, শুভ সংখ্যা : ৬
চিকিৎসক ও আইনজ্ঞদের জন্য আজ শুভ দিন। তবে বন্ধুবেশী দুর্জনের প্রলোভন বা প্ররোচণায় পা দেওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে।
টোটকা: কিছুটা দই, কিছুটা গম এবং একটি আদার টুকরো মাটির পাত্রে রেখে ঘরের বাইরে পশ্চিম কোণে সূর্য ডোবার আগে পর্যন্ত রেখে দিন।

শত্রুর অত্যাচারে উদ্বেগ বাড়তে পারে। বাসস্থান পরিবর্তনের চিন্তা মনে আসতে পারে। মন ও বুদ্ধির অস্থিরতায় কর্মক্ষেত্রে জটিলতা বাড়বে। সাহিত্য ও শিল্পের অনুশীলনে মেধার বিকাশ হবে। জমিজমা কেনার জন্য পরিবারে আলাপ-আলোচনা করলে ফল শুভ হবে। সন্তানের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে দুশ্চিন্তার অবসান হবে।
টোটকা: একটি নিমপাতা ও সামান্য চাল সকালে উঠে চিবিয়ে সেটিকে জলে ফেলে দিন।

বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে স্বজনদের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেবে। বহুমূত্র জাতীয় সমস্যা বৃদ্ধিতে দুর্ভোগ দেখা দিতে পারে। বিকল্প জীবিকার সন্ধানে স্থানান্তরে যাত্রার সুযোগ আসবে। বহু চেষ্টা করেও সঞ্চয় আশানুরূপ হবে না। কর্মক্ষেত্রে শ্রম, অধ্যবসায় ও দক্ষতা সত্ত্বেও আজকের দিনে উন্নতি অধরা থাকবে। প্রেম-প্রণয়ে ব্যর্থতা মানসিক স্থিতি কিছুটা টলিয়ে দিতে পারে।
টোটকা: একটি মাটির পাত্রে কিছুটা গুড়, একটি পান, কিছুটা তেল একসঙ্গে রেখে বাড়ির পশ্চিম কোণে রেখে দিন।

মৌলিক চিন্তা ও পরিকল্পনার জন্য কর্মে উন্নতি ও প্রশাসনিক দায়িত্ব বাড়বে। সৃষ্টিশীল প্রতিভা বিকাশের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আজ বিদ্যার্থী ও গবেষকদের পক্ষে শুভ দিন। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় কাজকর্মে ব্যাঘাত। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের যোগ। রক্তচাপ বৃদ্ধি ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতায় বিপত্তি দেখা দিতে পারে।
টোটকা: সদর দরজার সামনে দু’টি মাটির মঙ্গল ঘটে জল দিয়ে তাতে কিছুটা কাঁচা হলুদ, দুর্বা ঘাস এবং কিছুটা ফুল ডাবের জলে ভিজিয়ে রাখুন।

হঠকারি সিদ্ধান্তের ফলে বিপাকে পড়তে পারেন। সাহিত্য ও দর্শণশাস্ত্রের চর্চায় আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবেন। কপট বন্ধুর প্ররোচণায় অর্থ ক্ষতি ও মানহানির আশঙ্কা আছে। বিপদের সময়ে স্বজনদের পাশে পেতে পারেন। আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সমতার অভাবে অর্থকষ্টের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্তদের বিশেষ সাফল্যের যোগ দেখা যাচ্ছে।
টোটকা: একটি একটি গোটা সুপারি, তিনটি বেল পাতা এবং একটি কলা বাড়ির পশ্চিম দিকের কোণে রেখে দিন।

বুদ্ধিভ্রম ও পরিকল্পনার ভুলের জন্য কর্মক্ষেত্রে অশান্তির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। আপাতত বিনিয়োগ না করাই ভালো। কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের ফলে ভাগ্যোদয়ের সম্ভাবনা আছে। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যোগদান ও উন্নয়নের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। প্রকাশনায় যুক্ত ব্যক্তিদের আয় বৃদ্ধির শুভ যোগ আছে। মধ্যভাগে শত্রুর শক্তিক্ষয়ের সংবাদে স্বস্তি পাবেন।
টোটকা: একটি হলুদ কাপড়ে কিছুটা সরষে এবং তিল পুটুলি করে বেঁধে জলে ভাসিয়ে দিন।

দীর্ঘদিনের কোনো কামনা পূরণের সম্ভাবনা আছে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের সূত্রে বিকল্প কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আলসার জাতীয় ব্যাধিতে দুর্ভোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নতুন উদ্যম ও কর্ম পরিচালনায় সাফল্যের যোগ। অতিরিক্ত ব্যয়ের জন্য সঞ্চয় বৃদ্ধিতে বাধা।
টোটকা: সদর দরজার ঠিক নীচে উত্তর দিকে মুখ করে তেল ও সিঁদুর দিয়ে একটি মাছের ছবি এঁকে রাখুন।

দুষ্ট সহকর্মীর অপপ্রচারে কর্মক্ষেত্রে জটিলতা বৃদ্ধি ও পদোন্নতিতে বাধা আসতে পারে। আগের শত্রুদের নতুন চালে ক্ষতির আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। পৈতৃক ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য নতুনভাবে আর্থিক পরিকল্পনা করতে হতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর যৌথ প্রচেষ্টায় পারিবারিক সমস্যার সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সন্তানের স্বাস্থ্যহানির জন্য লেখাপড়ায় বাধা আসতে পারে।
টোটকা: একটি বৃন্তে তিনটি বেলপাতা আছে এমন পাঁচটি বৃন্তকে একত্রে বেঁধে সেটিকে একটি পিতলের পাত্রে সরিষার তেলের মধ্যে কাঁচা হলুদ দিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখুন।

আজ পারিবারিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিজ্ঞান গবেষণায় সাফল্য আসতে পারে। ছাত্রদের জন্য দিনটি শুভ। বায়ুপথে ভ্রমণে বিপত্তি দেখা দিতে পারে। দিনের শেষভাগে পরোপকারে অর্থ ব্যয় হতে পারে। চিত্রপরিচালক ও অভিনেতাদের শুভ দিন। হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে।
টোটকা: একটি জামপাতাসহ জাম ডালকে কিছুটা সিঁদুর, কিছুটা চাল সামান্য মাটি, অল্প জল একটি পাত্রে রেখে জলাশয়ে ভাসিয়ে দিন।

গৃহ সংস্কার ও নতুন নির্মাণের জন্য অর্থের সংস্থান হবে। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। গুরুজনের স্বাস্থ্যোদ্ধারের জন্য স্বাস্থ্যকর স্থানে অবস্থানের পরিকল্পনা করতে হবে। বিতর্ক, বিবাদ ও কর্কশ বাক্য ব্যবহার করবেন না। আজকের দিনে মকদ্দমার ফল অনুকূলে যেতে পারে। সামাজিক কাজের সুবাদে সুনাম ও সামাজিক প্রতিপত্তি বৃদ্ধি।
টোটকা: সম্ভব হলে সর্পগন্ধা বা পাথর কুচি গাছ রোপণ করুন। অথবা কোনো সর্পগন্ধা গাছে জল দিন।

সামাজিক কাজের সুবাদে সুনাম ও সামাজিক প্রতিপত্তি বাড়বে। দিনের শুরুতে বহু ব্যয়ের কারণে সঞ্চয় বৃদ্ধিতে বাধা আসবে। আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য তীর্থভ্রমণের পরিকল্পনা হতে পারে। দিনের মধ্যভাগে সন্তানের গতিবিধির উপরে বিশেষ নজরদারি দরকার। দুঃস্থ ব্যক্তিকে অর্থ সাহায্য করতে পারবেন। গুণী ব্যক্তির সান্নিধ্যে মানসিক শান্তি ফিরে পাবেন।
টোটকা: আমলকি ও কাঁচা ডুমুর একটি স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা ঘটে রেখে বসার ঘরের দক্ষিণে রেখে দিন।

গুরুজনের স্বাস্থ্যহানিতে উদ্বেগ ও ব্যয় হতে পারে। নৃত্য, অভিনয় এবং চারুকলার চর্চায় কৃতিত্ব মিলতে পারে। মাত্রাছাড়া ক্রোধ বিপত্তি ডেকে আনতে পারে। সপরিবারে মনোরম স্থানে ভ্রমণের যোগ আছে। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে জটিল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য স্থানান্তরে যাত্রার উদ্যোগে সাফল্যের ইঙ্গিত পাবেন।
টোটকা: পাঁচটি আমের পল্লবের উপর লাল সিঁদুরের একটি করে ফোঁটা দিয়ে প্রধান দরজায় ঝুলিয়ে রাখুন।
জানতে চান আপনার প্রেম, বিয়ে, চাকরি, ব্যবসা!
সভ্যতার উষালগ্ন থেকে বিজ্ঞানের যে দু’টি ধারা বিকল্পহীনভাবে আজও আমাদের রোজকার জীবনে অবস্থান করে আছে সে দু’টির একটি হলো চিকিৎসা বিজ্ঞান, অন্যটি জ্যোতিষ বিজ্ঞান। বারবার গবেষণা করে এ দুই বিজ্ঞানের উন্নতি ঘটছে প্রতিনিয়তই।
একজন চিকিৎসক যেমন রোগীকে সঠিক মাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করে সুস্থ করে তোলেন, তেমন একজন জ্যোতিষ গবেষক মানুষের জীবনের সমস্যার জটিল কারণগুলিক গ্রহ,নক্ষত্র, দশার নির্ভুল বিচার করে সমস্যার কারণ বের করে আনতে পারেন।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বিচার করতে কতগুলি জিনিস খুবই প্রয়োজনীয়। এর মধ্যে প্রধান বিষয়গুলি হলো, রাশি, লগ্ন, গ্রহের অবস্থান, তিথি, নক্ষত্র বিচার, জাতকের গণ,পক্ষ ইত্যাদি।
জ্যোতিষ মতে ১২টি রাশি, ৯টি গ্রহ, ২৭টি নক্ষত্র, ১৬টি তিথি, ৩টি গণ ও দু’টি পক্ষের বিচার করে একজন মানুষের জীবনের সমস্যা নির্ধারণ ও তার সমাধানের পথ নির্ণয় করতে হয়।
বিষয়গুলিকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ বিভিন্ন অঙ্কের মাধ্যমে তৈরি হয় কুষ্ঠি। এর সঙ্গে যুক্ত হয় জাতকের জন্ম তারিখ, স্থান, সময় ইত্যাদি। প্রায় ৭৯টি বিষয় একত্রিত করে নির্ভুলভাবে বিচার করে যেকোনো মানুষের জীবনের চড়াই উতরাই অথবা তার জীবনে কখন ভালো দিক আবার কখন বা মন্দ সময় আসতে চলেছে তার একটা ধারণা করা হয়।
তবে সমস্যা জানাটাই শেষ কথা নয়। এর পরের ধাপটি আছে সমস্যা সমাধানের। সমাধানের সময় দেখতে হয় জাতকের বাস্তুজীবন। অর্থাৎ, সে যে স্থানে বসবাস করছে বা যে স্থানে সে কাজ করছে সেই স্থানের পরিস্থিতি।
যদি সেই স্থানের কোনো দোষ দেখা দেয় তবে সে স্থানের বাস্তুদোষ সংশোধন করতে হয়। এসব কিছুই বেশ জটিল গাণিতিক পক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। আর এ গাণিতিক প্রক্রিয়ার সূক্ষ্মতার উপরেই নির্ভর করে সম্পূর্ণ জ্যোতিষ বিজ্ঞান।
অনেকে মনে করেন জ্যোতিষ শুধুমাত্র একটি ধর্মের মানুষদের চর্চার বিষয়। কিন্তু প্রাচীন গ্রিস, মিশর, ব্যাবিলনসহ ভারতীয় উপমহাদেশে এ বিদ্যার গভীর চর্চা শত শত বছর ধরে চলে আসছে। যা অভ্রান্ত ও নির্ভুল।
জ্যোতিষ= গণনা= গণিত। আর গাণিতিক এ শাস্ত্র বহুযুগ ধরে মনুষ্য জাতির উপকারে কাজ করে আসছে। ঠিক তখন থেকেই যখন থেকে সৃষ্টি হয়েছে পৃথিবী চাঁদ, সূর্যের মতো মাহাজগতিক গ্রহ, উপগ্রহ নক্ষত্রেরা।
ভারতীয় প্রখ্যাত জ্যোতিষী রুবাই দীর্ঘদিন এসব বিষয়ে নিয়মিত জানাচ্ছেন বাংলানিউজের পাঠকদের। বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে তার ভবিষ্যদ্বাণীও অনেকটা প্রমাণিত কিন্তু পাঠকের জিজ্ঞাসা অপরিসীম। তারা আরও নানা বিষয় জানতে চান। কিন্তু সেগুলোর জন্য প্রয়োজন হয় বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত।
বাংলানিউজ ও বাংলানিউজ রাশিফল পাঠককে সবসময় দিতে চায় ভিন্নতার স্বাদ। কারণ পাঠকের চাহিদাকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেই।
বাংলানিউজের অগণিত পাঠকের চাহিদা বিবেচনায় তাই জ্যোতিষ রুবাইর নেতৃত্বে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল নির্বাচিত করেছি আমরা। এই বিশেষজ্ঞ প্যানেল আপনার পাঠানো তথ্য-উপাত্ত ও আপনার সমস্যা ঘেঁটে মেটাবে মনে জমে থাকা সব প্রশ্নের উত্তর।
যারা রাশি, লগ্ন, গণ, তিথি, বাস্তুশাস্ত্রসহ মনের বিভিন্ন প্রশ্নের অবসান ঘটাতে চান তারা যোগাযোগ করুন এই মেইলে: apnarrashifol.bn24@gmail.com
ফিরতি মেইলে জানানো হবে বিস্তারিত নিয়ম-কানুন। সব জেনে পুনরায় মেইল করলে নির্দিষ্ট সময় পর জানতে পারবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল।
মনে রাখবেন বাংলানিউজ এই যোগাযোগের মাধ্যম মাত্র। পাঠককে সর্বোচ্চ সেবা দেওয়াই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময়: ০০০১ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৪