ঢাকা, শুক্রবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৬ মে ২০২৫, ১৮ জিলকদ ১৪৪৬

ফিচার

তিমির লম্ফ-ঝম্প

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৫২, অক্টোবর ৪, ২০১৪
তিমির লম্ফ-ঝম্প

ঢাকা: শুধু জল নয়, স্থলের বিবেচনায়ও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী। সমুদ্রে তার বাস।

সে যখন খেলায় মেতে উঠবে, তখন সে এক দেখার দৃশ্য বটে!

বলা হচ্ছে সমুদ্র দানব তিমির কথা। সম্প্রতি এক হাম্পব্যাক তিমিকে (পিঠ কুঁজো প্রজাতির তিমি) মনের আনন্দে লাফ-ঝাঁপ করতে দেখা গেল দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলে।

দুর্লভ এই দৃশ্য ফ্রেমবন্দি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার মেরিন ট্যুর গাইড স্টিভেন বেঞ্জামিন। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার মোজাম্বিক ও মাদাগাস্কারের উষ্ণ জলে মাইগ্রেশন করা প্রায় এক হাজার তিমির উপর তথ্যচিত্র তৈরি করছেন।

ছবি দেখে তিমির লম্ফ-ঝম্পের দৃশ্য ফ্রেমবন্দি করা যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবতা ঠিক তার উল্টো। মুহূর্তের এই অসাধারণ দৃশ্যগুলো কাছ থেকে ক্যামেরায় ধারণ করা যথেষ্ট কঠিন।

এরকমটা শোনা গেল স্টিভেনের মুখেও, সেকেন্ডেরও অল্প সময়ের মধ্যে তারা লাফ দিয়ে উঠে আবার পানিতে ডুবে যায়। ওরা ডুব দিতেই বিশাল আকারের সব ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে ক্যামেরার ফ্রেম ঠিকঠাক ধরে রাখাটা খুবই কঠিন!

আমি যে ছবিগুলো তুলতে পেরেছি এটা আমার ভাগ্য। আমার তো বিশ্বাসই হতে চায় না! আমি এর আগে এতবড় তিমি দেখিনি, যোগ করেন তিনি।  
ছয় বছর আগে থেকে বেঞ্জামিন তিমির ছবি তোলা শুরু করেন। স্থানীয় একটি আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় ক্যামেরাও জিতেছেন।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছবি তোলার প্রসঙ্গে বেঞ্জামিনের ভাষ্য, মানুষ বিশ্বাসই করতে চায় না যে এগুলো বাস্তব। সবাই ভাবে ফটোশপের  মাধ্যমে বানানো।   
প্রাণিজগতের সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী প্রাণী হচ্ছে এই হাম্পব্যাক তিমি। এই অতিকায় প্রাণীটি লম্বায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ ফুট হয়ে থাকে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।