ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

মহাশূন্যে ঢেউ!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
মহাশূন্যে ঢেউ! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সমুদ্র বা নদীতে ঢেউ দেখা যায় এটি সবার জানা। কিন্তু নীল আকাশেও যে ঢেউ রয়েছে তা হয়তো অনেকেরই অজানা।

শুধু ঢেউ নয়, বলা যায় সারি সারি সার্ফ-ঢেউ, যেমনটি দেখা যায় উত্তাল সমুদ্রে।

কেলভিন হেল্মহোল্টজ তরঙ্গের কথা অনেকেই শুনে থাকবেন।    সমুদ্র সৈকত, সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে, মেঘ এমনকি মহাশূন্যেও রয়েছে এই তরঙ্গ।

সম্প্রতি গবেষকরা পৃথিবী পরিমণ্ডলের সীমানায় আবিষ্কার করেছেন এমন কুণ্ডলী পাকানো ঢেউ। এ ঘটনা পর্যবেক্ষণের  আগে বিজ্ঞানীরা নিজেরাও জানতেন না এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে মহাশূন্যে।
ficher_1
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাকাশ বিজ্ঞানী শিভা কাভোসি জানান, পৃথিবীর সীমানার চুম্বকীয় পরিবেশের ভেতর কেলভিন হেল্মহোলটজ তরঙ্গ থাকে তা আমরা জানতাম। তবে তাদের তুলনামূলক কম ও শুধু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এই তরঙ্গ বা ঢেউ যায় বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল।
তবে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, প্রভাবশালী এই তরঙ্গ ২০ শতাংশ সময়ই মহাশূন্যের এ এলাকায় উপস্থিত থাকে।

বোস্টন ইউনিভার্সিটি এবং ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর প্লাজমাস্ফেয়ার থেকে নির্গমণ হওয়া গ্যাস মহাশূন্যে এ তরঙ্গ সৃষ্টি করে।

কেলভিন হেল্মহোল্টজ তরঙ্গের এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব জিওফিজিকাল রিসার্চে।
ficher_2
এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে নাসা থেমিস মিশন চালায়। পাঁচটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পৃথিবীর চুম্বকীয়মণ্ডল পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখা যায়, চুম্বকীয় শক্তির বলে পৃথিবীর প্লাজমাস্ফেয়ারের গ্যাস পৃথিবীর পরিমণ্ডলের চুম্বকীয়মণ্ডলে  পৌঁছালে তা কেলভিন হেল্মহোল্টজ তরঙ্গ তৈরি করে।

এরপর বাতাসের প্রভাবে গ্যাস ঘন হয়ে চুম্বকীয় পরিমণ্ডলের প্রান্তে স্তরীভূত হয় এবং তরঙ্গের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে বেগ ও টানের পার্থক্যের কারণেই এ সার্ফ আকৃতি তৈরি করে।
ficher_3
ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ও স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র ইভান থমাস বলেন, কেলভিন হেল্মহোল্টজ তরঙ্গের তত্ত্ব সবার জানা থাকলেও এতদিন তা বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি।

মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্ট নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক ইভান আরও জানান, এ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এই তরঙ্গ প্রত্যাশার তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় তৈরি হয় ও অ‍ামাদের ধারণার চেয়ে এটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এর পুরোটা সম্পর্কে আমরা এখনও জানি না।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।